আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে জনমনে আতঙ্ক
আগামী ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি রাজপথে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ফলে রাজনৈতিক মাঠে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ৫ জানুয়ারি এ দেশের জনগণ বিএনপিকে মাঠে নামতে দেবে না।
অপরদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৫ জানুয়ারি বিএনপি মাঠে কর্মসূচি পালন করবেই।
উভয় দলের কর্মসূচি ঘোষণার কারণে রাজনৈতিক মাঠে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে অনেকে। জনমনে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের তিন বছর পূর্তি ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস পালন করবে। এজন্য দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঠে থেকে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিন সারাদেশে কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি ঢাকা মহানগরে দুটি সমাবেশ হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে রাসেল স্কয়ারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ৫ জানুয়ারি সারাদেশে মহানগর ও জেলায় জেলায় কালো পতাকা ও কালোব্যাজ ধারণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। দিনটিতে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের কালো পতাকা উত্তোলন ও কালোব্যাজ ধারণের নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। রুহুল কবির রিজভী ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ৫ জানুয়ারি কালো পতাকা মিছিল করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ৭ জানুয়ারি সমাবেশের জন্য পুলিশ ও গণপূর্ত বিভাগের কাছে অনুমতি চেয়েছে দলটি।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই সাধারণ জনগণের মুখে অনেক প্রশ্ন। ওইদিন কি হবে?
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে, হোটেল-রেস্তোরাঁয়, গণপরিবহন, বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে আড্ডার জায়গাগুলোতে থাকা হাজারো মানুষের মনে নানা প্রশ্ন। কি হতে যাচ্ছে ৫ জানুয়ারি।
দুই দলই মাঠে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করায় ওইদিন রাজধানীসহ সারাদেশে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে অনেকে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উভয় দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণার কারণে সাধারণ মানুষ বলাবলি করছে, বেশ কিছুদিন ধরে দেশে কোনো রাজনৈতিক হানাহানি ও সংঘর্ষ নেই।অনেকদিন ধরে মানুষ আরামেই রয়েছে।এখন যদি দুই দলই তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠে নামে, তাহলে আবার সংঘর্ষ হবে, মানুষ মরবে। সাধারণ মানুষের অফিস ও কর্মক্ষেত্রে চলাচলে সমস্যা হবে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যেত। এ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্র রক্ষা করেছি। এ কারণেই বিএনপি আজ কথা বলতে পারছে। কর্মসূচি পালন করতে পারছে। ওইদিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তারা ভুল করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে- তাতে দেশের জনগণ আগামী দিনে তাদের এ ধরনের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেবে না। জাগোনিউজ
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন