আগামী নির্বাচন হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রচলন করেছিল। কিন্তু এখন সেই বাস্তবতা নেই। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই। গত পরশু বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক সভায় নির্ধারিত আলোচনা শেষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ হওয়ায় মন্ত্রিসভায় স্বস্তি প্রকাশ করা হয়। এ প্রসঙ্গে আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামীতে জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, শন্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বাইরে কোনো পদ্ধতি এখন আর গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের মানুষও তা মেনে নেবে না।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও সংশ্লিষ্ট সচিবেরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, বাংলাদেশসহ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ছয়টি দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তিতে সপ্তম দেশ হিসেবে মঙ্গোলিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। সবগুলো সদস্য দেশ সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া অনুমোদন দিলে ১৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে অ্যাপটার মন্ত্রিপর্যায়ের সভায় মঙ্গোলিয়াকে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্তির চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭৫ সালে ব্যাংককে স্বাক্ষরিত একটি বাণিজ্য চুক্তিকে ২০০৫ সালে অ্যাপটা নাম দিয়ে পুনঃস্বাক্ষর করা হয়। বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও লাওসকে নিয়ে গঠিত চুক্তিটি ‘ব্যাংকক অ্যাগ্রিম্যান্ট’ নামে পরিচিত, যার সদরদপ্তর ব্যাংককে। অ্যাপটা চুক্তিপত্রের সঙ্গে কোন কোন জায়গায় ট্যারিফ দেওয়া হবে তার তালিকা করা আছে।
সব সদস্য দেশের জন্য ৫৯৮টি পণ্যে ১০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ছাড়ের সুযোগ দেওয়া হবে। আর এলডিসির (স্বল্পোন্নত দেশ) জন্য বিশেষ তালিকায় অতিরিক্ত আরও চারটি পণ্যে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে। অ্যাপটা চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ৬০২টি পণ্যে শুল্ক ছাড়ের সুযোগ দেবে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে চীন ২ হাজার ১৯১টি পণ্যে ৫ থেকে ১০০ শতাংশ সুবিধা দেবে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য ১৮১টি পণ্যে শূন্য থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ ছাড় দেবে দেশটি। ভারত ৩ হাজার ৩৩৪টি পণ্যে ৫ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক ছাড় দেবে। এলডিসির জন্য ৪৭টি পণ্যে ১৪ থেকে শতভাগ ছাড় দেওয়া হবে। ২ হাজার ৭৯৬টি পণ্যে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। এলডিসির জন্য ৯৬১টি পণ্যে ২০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক ছাড় দেবে। আর শ্রীলঙ্কা অ্যাপটার সব সদস্য দেশের জন্য ৫৮৫টি ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য ৭৫টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দেবে। লাওস ৯৯৯টি পণ্যে ২০ থেকে সাড়ে ৩৭ শতাংশ শুল্ক ছাড় দেবে। এর বাইরে মঙ্গোলিয়া ৩৩৩টি পণ্যে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ শুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন