রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘আগামী ১০০ দিনে যে ৭টি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিবেন ডোনল্ড ট্রাম্প’

শুক্রবার শপথ বাক্য পাঠের মধ্য দিয়ে ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন ডোনল্ড ট্রাম্প। তার শাসনামল শুরুর ১০০ দিনে ৭টি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিবেন। এ ৭টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে ৫ নম্বরটি অর্থাৎ ওবামা কেয়ার বাতিলে ইতিমধ্যে তিনি নির্বাহী আদেশ দিয়ে সই করেছেন। ফলে স্বাস্থ্য খাতে ওবামা প্রশাসন যে বিরাট এক ভর্তুকি দিত তা প্রত্যাহারে মার্কিন নাগরিকদের এখন এখাতে পকেট থেকে প্রায় দ্বিগুণ অর্থ খরচ করতে হবে। একই সঙ্গে ২০২৬ সাল নাগাদ প্রায় ৩২ মিলিয়ন নাগরিক স্বাস্থ্য বিমার বাইরে চলে যাবে।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর বলছে যে ৭টি বিষয় ট্রাম্পের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে সেগুলো হচ্ছে, অভিবাসী, বৈদেশিক নীতি, বাণিজ্য, জালানি ও পরিবেশ, ওবামা কেয়ার, গোয়েন্দা সংস্থা ও ওয়াশিংটন রিফর্ম। তুমুল বিতর্ক থাকলেও ইতিমধ্যে ‘প্রথম রাতেই বিড়াল মারার’ মত ওবামা কেয়ার বাতিল করে দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রকে ফের মহান করে তোলার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প গত ২৯ এপ্রিল শাসনামল শুরুর প্রথম ১০০দিনের যে কর্মসূচি দিয়ে রেখেছেন সেগুলো সম্পর্কে বলা যায়, অভিবাসী প্রসঙ্গ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অনেক বিদেশি নাগরিককে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। ট্রাম্প বলেছেন, প্রথমেই সহজ একটি কাজ শুরু করব এবং তা হচ্ছে মেক্সিকো সীমান্তে ৪০ফুট উঁচু দেওয়াল নির্মাণ। সীমান্ত নিরাপত্তা হিসেবে এটি করবেন তিনি। তবে এ কাজে কংগ্রেসের অনুমোদন সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

দ্বিতীয় গুরুত্¦পূর্ণ কাজ হিসেবে বৈদেশিক নীতিতে ন্যাটো জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলো যদি তার বাধ্যবাধকতা পূরণ না করে তাহলে সে সব দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় তিনি দায়িত্ব নেবেন না। ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তায় নিশ্চয়তা না দেয় তাহলে এশিয়া ও ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার করে নেবেন ট্রাম্প। আইএস জঙ্গিদের নির্মূলে নরকে বোমা ফেলার অঙ্গীকার করে রেখেছেন তিনি। যদি রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করে তাহলে দেশটির ওপর কোনো অবরোধের প্রয়োজন নেই বলেও আশ্বাস দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।

তৃতীয়ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বাণিজ্য চুক্তি বা টিপিপি বাতিল করবেন ট্রাম্প। যে ১২টি দেশ টিপিপি’এর অধীনে রয়েছে তারা বিশ্ব অর্থনীতির ৪০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। এসব দেশে জনসংখ্যা হচ্ছে ৮’শ মিলিয়ন। ইউরোপিয় ইউনিয়নে জনসংখ্যার চেয়ে তা দ্বিগুণ এবং একটি একক বাজার। ‘ব্রেক্সিট’কে দারুণ জিনিষ হিসেবে অভিহিত করে আগামী কয়েক সপ্তাহে দ্রুত কয়েকটি চুক্তি করবেন ট্রাম্প তা স্বাভাবিকভাবে আশা করা যায়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’এর আমন্ত্রণ অনুযায়ী খুব শীঘ্রই তার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প।

পরিবেশ সম্পর্কে নির্বাচনী প্রচারণায় এক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা হ্রাস করবেন এমন আশ্বাস দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। জালানি খাতে ব্যাপক ভিত্তিক কর্মসংস্থানের সূচনা করবেন ট্রাম্প। ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি বাতিল করবেন ট্রাম্প যা তার একাধিক নির্বাচনী ওয়াদার অন্যতম।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে এফবিআই ও সিআইএ’তে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নির্ভরতা কমাবেন ট্রাম্প। ফলে এধরনের গোয়েন্দা সংস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসছে বলেই অনেকে ধারণা করছেন। ভার্জিনিয়ায় সিআইএ’র সদর দফতর থেকে অনেক লোকবল কমিয়ে তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়োগ দেবেন এমন পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। অফিস অফ দি ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ‘স্ফীত ও রাজনৈতিক’ বলে সেখানেও পরিবর্তন আনা হবে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালককে পরিবর্তন করা হবে শিগগির।

ওয়াশিংট রিফর্ম বা এধরনের সংস্কারে লবিষ্ট নিয়োগে পরিবর্তন আনতে চান ট্রাম্প। সরকারি কর্মকর্তারা অবসর নেওয়ার পর অন্তত ৫ বছর পর্যন্ত লবিষ্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এমনটাই পক্ষপাতি তিনি। এধরনের লবিষ্ট নির্ভর প্রশাসনের ব্যাপক পরিবর্তন আনবেন ট্রাম্প।

অভিষেক অনুষ্ঠানে সাবেক কোটিপতি ব্যবসায়ী, সাবেক রিয়ালিটি টিভি স্টার ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি দিন রাত চব্বিশ ঘন্টাই কাজ করবেন ও নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে আমূল পরিবর্তন আনবেন। ‘রিজোলিউট ডেস্ক’ অর্থাৎ সাহসীকতাপূর্ণ ডেস্ক হিসেবে পরিচিত সেই টেবিলে বসে ট্রাম্প তার কাছে দেওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একটি চিঠি একাকি পড়ে দেখেন। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করার আগে সাবেক প্রেসিডেন্টের একটি বার্তা পড়ে নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রে ঐতিহ্য হিসেবে অনুকরণীয় হয়ে আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট অর্থাৎ ৫ মাস বাকি রয়েছে ট্রাম্পের ৭১ বয়সে পা দেওয়ার। যখন অধিকাংশ নেতা শাসনমলের শুরুতে ১’শ দিনের কর্মসূচি প্রণয়নে মনোযোগী হন তখন সোমবার অভিষেক অনুষ্ঠান শেষে রাতে ঘুমাবার আগেই ‘আত্মম্ভরি’ হিেেব পরিচিত ট্রাম্পের প্রথম নির্বাহী আদেশ কাজ করতে শুরু করেছে। নির্বাচনের সময় তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দক্ষিণ সীমান্তে দুর্ভেদ্য দেওয়াল উঠবে এবং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত এমন অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হবে। আরিজোনায় ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, প্রথম দিন, অফিসে বসার ১ ঘন্টার মধ্যে অপরাধী অভিবাসীরা চলে যেতে শুরু করবে। স্কুল ও সামরিক ঘাঁটিগুলোতে অস্ত্রমুক্ত এলাকা বাতিল করার কথা বলেছিলেন প্রথম দিনেই। অভিষেক অনুষ্ঠানের পরের দিন সকালে উঠে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা অবশ্যই ট্রাম্পের সেই ওয়াদার কতটুকু পূরণ হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে শুরু করবে। মিরর

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ