রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

আগুন লাগায় দিয়া ওরা চইল্যা গেছে, মৃত্যুর আগে গৃহকর্মী। ভিডিওতে দেখুন…(ভিডিওসহ)

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে এক গৃহকর্মীর শরীরে ফুটন্ত পানি ঢেলে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর নাম ফাতেমা বেগম (২২)।

গতকাল মঙ্গলবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফাতেমার মৃত্যু হয়। জীবিত অবস্থায় তাঁর বক্তব্যের ভিডিওচিত্র ধারণ করে স্থানীয় লোকজন। এতে তিনি নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, ফাতেমার পুরো মুখমণ্ডল, মাথা, বুক, পেট ব্যান্ডেজে মোড়ানো। কথা বলছেন কিন্তু তা জড়িয়ে যাচ্ছে।

নিহতের স্বজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সিগনাল টাওয়ার এলাকায় বাড়ি স্বামী পরিত্যক্তা ফাতেমার। প্রায় নয় মাস আগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় দেলোয়ারের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নিয়েছিলেন তিনি। কোনো বেতন ছাড়াই পেটে-ভাতে কাজ করছিলেন। গত ১৬ মার্চ সকালে বাড়ির লোকজনের কাপড় ধোয়ার সময় দুটি কাপড়ে রং লেগে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গৃহকর্তা দেলোয়ার ও তাঁর ছেলে আশিক তাঁকে মারধর করেন। পরে গৃহকর্ত্রী সালমা গৃহকর্মীর শরীরে ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দেন। এতে ফাতেমার শরীর ঝলসে যায়। এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে বাথরুমে আটকে রেখে পুরো শরীরে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন তারা। পরে ফাতেমার পরিবারকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়, ফাতেমা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

স্বজনরা জানান, ঢাকায় ফাতেমার কোনো চিকিৎসা না করে গত ১৭ মার্চ তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে গৃহকর্তা দেলোয়ারের পরিবার। প্রাইভেটকারে করে তাঁকে রেখে তাঁরা চলে যান। ফাতেমার পরিবারের কারো সঙ্গে দেখা করেননি। কেবল ফোনে জানানো হয়, ফাতেমাকে খুলনা মেডিকেলে রাখা হয়েছে।

মৃত্যুর আগে হাসপাতালে স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে গেছেন ফাতেমা বেগম। তাঁর এ বর্ণনার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণা করা হয়।

মৃত্যুর আগে ফাতেমা বলেন, ‘আগুন লাগায় দেছে। আগুন লাগায় দিয়া ওরা চইল্যা গেছে। দরজা লাগায় দেছে। আগুন লাগল ঘরে। আমি চিল্লাইছি ও মা, ও বাবা তোরা কই? ও মা, ও বাবা তোরা কই?… (অস্পষ্ট) হাত থেহা ওজি মোবাইলডা পড়ছে, মোর চুল ধইরা টানে পোলাডা।’

ফাতেমার বড় বোন অরুণা বেগম জানান, যে বাড়িতে কাজ করছিল ফাতেমা সেই বাড়ির গৃহকর্ত্রী তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়। ভালো কাজ ও বেতনের প্রলোভন দিয়ে তাকে নিয়ে যান গৃহকর্তা ও তাঁর স্ত্রী। তিনি ছোট বোনকে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন।

ফাতেমার ছোট ভাই ইউনুস সরদার বলেন, ‘গৃহকর্ত্রী সালমা ফোন করে তাঁকে বলেন, ‘তোমার বোনের গায়ে আগুন লেগেছে। তুমি তাকে নিতে আসো।’ পরের দিন জানান, ফাতেমাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে আনা হয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে দগ্ধ বোনকে ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান জানান, খবর পেয়ে নিহত ফাতেমার বাড়িতে পুলিশ প্রাথমিক ঘটনা অনুসন্ধান করে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাটের হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওসি জানান, ফাতেমাকে নির্মম নির্যাতনসহ আগুনে পুড়িয়ে দগ্ধ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে জানানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

https://youtu.be/1Cq3CfzvjO4

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • সিলেটে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
  • চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • সিলেটে ৯ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
  • সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টি
  • রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীর আত্মহত্যা
  • ছুটি শেষে কর্মচঞ্চল আখাউড়া স্থলবন্দর
  • নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
  • নান্দাইলে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন
  • সিলেট বিভাগের বন্যা ভয়ঙ্কর রুপ নিচ্ছে
  • সবুজবাগে পরিবেশমন্ত্রীর সেলাই মেশিন বিতরণ