‘আগে ওই হিন্দুর লেখা জাতীয় সংগীত পাল্টাতে দাও’
নৌপরিহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ১৯৭৮ সালের জানুয়ারী মাসে জিয়াউর রহমান চট্রগ্রামে একটি সভায় গিয়েছিলেন। সেখানে জিয়াউর রহমানকে বিএনপির নেতা ডা. ইউসুফ বলেছিলেন, আমরা তো ইসলামী ভাবধারার রাজনীতি করি, কিন্তু আমাদের পতাকায় কোনো ইসলামের চিহ্ন নেই। তখন জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ‘হবে হবে, আমাকে আগে ওই হিন্দুর লেখা জাতীয় সংগীত পাল্টাতে দাও।’ ৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত দিয়ে যে জাতীয় সংগীত আমরা অর্জন করলাম, একটি জাতীয় পতাকা অর্জন করলাম তাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
১৯ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ড কর্তৃক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নৌপরিহন মন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।
শাহজাহান খান বলেছেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে চাই। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তি যোদ্ধারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। দেশের উন্নয়নের জন্য আওয়ালীগ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে ভবিষ্যতেও করবে অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, আমাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি জামাত জোট হরতাল অবরোধের নামে এ দেশের ৬০ হাজার গাছ নিধন, দোকান পাট লুন্ঠন, পেট্টল দিয়ে রাস্তায় বাস পুড়িয়ে দেওয়া, মানুষ হত্যা করাসহ নানান জঙ্গী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এদেশে রাজাকারদের বিচার হয়েছে এখন সময় এসেছে এই মানুষ পুরিয়ে হত্যাকারীদের বিচার শুরু করতে হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জামাত শিবির মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। খালেদা জিয়া রাজাকারদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছে। আমরা যখন এদের বিচার শেষ করতে পারবো তখন আমাদের দেশ কলঙ্ক মুক্ত হবে।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানে না, তাই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বাঙালী জাতি তথা তরুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য চায়ের দোকান, বিভিন্ন অড্ডাস্থল সহ সকল জায়গায় আলোচনার জন্য মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের প্রতি আহবান জানান নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান।গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় আমতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিমূর্লে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী উপরোক্ত কথা বলেন।
আমতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম দেলওয়ার হোসেন’র সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়াশীলীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম সুলতান আহম্মেদ, বরগুনা সংসদের কমান্ডার আলহাজ্ব আবদুর রশিদ ও মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন আলী প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আমতলীর পৌর মেয়র মো: মতিয়ার রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান, মুক্তিযোদ্ধা পটুয়াখালী কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডর মো: হালিম মিয়া, বিআইডাব্লিটিএর কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: আবুল হোসেন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুল মালেক।
মন্ত্রী আরো বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের সময় এদেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এখন সব মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। দেশ এক সময় খাদ্য ঘাটতি ছিল এখন দেশের চাহিদা পুরন করে বিদেশও খাদ্য রফতানি করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি ক্ষতায় এসেছিল সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছে জনগনের ভোটে। তিনি তরুন প্রজন্মের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, তোমরা মুত্তিযুদ্ধ করতে পারনি তাই মুক্তিযোদ্ধাও হতে পারবে না কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের চেতার জন্য লড়াই করলে তোমরাও হবে এ কালের মুক্তিযোদ্ধা। মন্ত্রী সমাবেশ শেষে আমতলী নৌপরিবহন ঘাট পরিদর্শন করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন