মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এখন ঘোর সংসারী মানুষ। স্ত্রী সাক্ষী সিংহ রাওয়াত, মেয়ে জিভাকে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার। ভারতের সফলতম অধিনায়ক হিসেবে সবাই ধোনিকে কুর্নিশ করেন।

মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এখন ঘোর সংসারী মানুষ। স্ত্রী সাক্ষী সিংহ রাওয়াত, মেয়ে জিভাকে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার। ভারতের সফলতম অধিনায়ক হিসেবে সবাই ধোনিকে কুর্নিশ করেন। সাক্ষীর সঙ্গে বিয়ের আগে ধোনির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এক মহিলার। সেই মহিলার সঙ্গে একসময়ে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ধোনি। তাঁর নাম প্রিয়ঙ্কা ঝা। ধোনির বয়স তখন বেশি নয়। ২০-র কোঠায় হবে। প্রিয়ঙ্কাকে এতটাই ভালবেসে ফেলেছিলেন ধোনি যে বাকি জীবনটাও তাঁর সঙ্গে কাটাবেন বলেই স্থির করে ফেলেছিলেন ধোনি। কিন্তু মানুষ যা ভাবে তা তো হয় না সব সময়। ধোনির সঙ্গে যাঁর প্রেম ছিল, সেই প্রিয়ঙ্কা এক পথ দুর্ঘটনায় ইহলোক ছেড়ে পরলোকে পাড়ি দেন। ধোনির ঘর বাঁধার স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় তখন।

প্রিয়ঙ্কার মৃত্যু ধোনিকে নাড়িয়ে দেয়। ধোনি-ঘনিষ্ঠরা মনে করতে থাকেন, মাহি বোধহয় বিবাগী হয়ে যাবেন। তাঁর ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নও আর সফল হবে না। প্রিয়ঙ্কা চলে যাওয়ার পরে প্রায় একটা বছর তীব্র মনোকষ্টে ভুগেছিলেন ধোনি। তার পরই নিজেকে বদলাতে শুরু করেন ধোনি। ভারতের সিনিয়র দলে ডাক পান। আর তখনই ধোনির মারকুটে ব্যাটিং ও ক্যারিশমা ক্রিকেটবিশ্বের দৃষ্টি আর্কষণ করে নেয়। কালক্রমে ধোনির হাতে ওঠে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ। দেশের সফলতম অধিনায়কের মর্যাদাও পান রাঁচির রাজপুত্র। তাঁর মুকুটে যোগ হয় একের পর এক সাফল্যের পালক। ভারতের সফলতম অধিনায়কের জীবনের এই কাহিনি অনেকের কাছেই অজানা ছিল।

ধোনির বায়োপিকে রাঁচির রাজপুত্রের এ হেন প্রেম কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। রূপোলি পর্দায় ধোনির এমন অজানা প্রেম কাহিনি তুলে ধরার জন্য অবশ্য মাহির কাছ থেকে অনুমতিও চেয়ে নেওয়া হয়েছিল। ধোনি সম্মতি দেওয়ায় তবেই প্রিয়ঙ্কা চরিত্রের উত্থাপ্পন করা হয়েছে ছবিতে। ধোনির জীবনে প্রিয়ঙ্কার প্রভাব যথেষ্ট রয়েছে। আর সেটাই দেখানো হবে ধোনির বায়োপিকে।