আজ ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ ও ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবসে’র সমাবেশ
৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তির দিন ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ সমাবেশ করবে বিএনপি। অপরদিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও ধানমন্ডি রাসেল স্কয়ারে দুটি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।
এদিকে জাতীয় পার্টি বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর দোলাইরপাড়ে ‘গণতন্ত্রের জন্য শান্তির মিছিল’ কর্মসুচি পালন করবে। আর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মিছিল, সমাবেশ ও আলোচনা সভার কর্মসূচি ঘোষণা করে সব শাখাকে নির্দেশ দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আজকের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জন ওইদিন বেলা ২টা থেকে ৫টার মধ্যে আওয়ামী লীগকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং বিএনপি নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষ করতে হবে।
পুলিশ কমিশনার মো.আছাদুজ্জামান মিয়া নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, কয়েকটি শর্তে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সমাবেশের শর্তগুলো হলো- নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে, নির্ধারিত এলাকার বাইরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না, সমাবেশ করতে গিয়ে রাস্তাঘাট আটকে যানজট তৈরি করা চলবে না, ফেস্টুন-ব্যানারের আড়ালে লাঠি বা কোনো ধরনের অস্ত্র বহন করা যাবে না, পুলিশের বেঁধে দেওয়া চৌহদ্দির মধ্যেই সমাবেশ সীমিত রাখতে হবে, মিছিল করে সমাবেশে আসা যাবে না।
পুলিশ কমিশনার জানান, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যার যার দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চাওয়ায় পরিস্থিতি যাচাই করে পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের এই অনুমতি দেওয়া হয়।
এর আগে দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও দুই দলকে নিজ নিজ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমিত দেওয়া হয়। নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ দাবি করে ওইদিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ সারা দেশে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ওই ঘোষণার পরপরই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও একই স্থানে কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে উদযাপনের জন্য ওইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। দুই দলের কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পরে রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ জানান, সোহরাওয়ার্দী না পেলে নিজ দলের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চাইবেন তারা।
একইদিন সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না হলে ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি।
আলোচিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিন প্রথমে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে ডিএমপির কাছে সমাবেশের অনুমতি চায়। এরপর একইদিন একই স্থানে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগও। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বেলা ১২টার দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাদের সমাবেশ করতে দেয়া না হলেও বিএনপি কোন সাংঘর্ষিক কর্মসূচি দেবে না। সরকারের প্রতি তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সহযোগিতার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বানও জানানো হয়।
এরপর বিকালে প্রথমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পরে ডিএমপি দুটি দলকেই সমাবেশের অনুমতি দেয়। কিন্তু বিএনপিকে সমাবেশের জন্য নানা শর্ত জুড়ে দেয়া হলেও ক্ষমতাসীনদের বিষয়ে কোন নির্দেশনা বা শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে আজ দুটি দলের সমাবেশ ও অন্যান্য দলের মিছিলসহ অন্যান্য কর্মসূচির কারণে নগরবাসী চরম যানজটের আশংকা করছেন। অনেকেই দিনের প্রথমভাগে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে ব্যস্ত দেখা গেছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন