আজ নজর থাকবে যাঁদের ওপর
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে লঙ্কান অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গাকে নিয়ে। তাঁর দারুণ ইয়র্কারগুলো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কিভাবে সামলাবেন সেই আলোচনাই বেশি হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে। তবে এশিয়া কাপের এই ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেন আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।
সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি বিন মুর্তজার মতো তারকাখ্যাতি পাননি মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ডানহাতি এই অলরাউন্ডার ঠিকই পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটারে। এশিয়া কাপের গত ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট হাতে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর বল হাতেও তিনি নিয়েছিলেন দুইটি উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের চারটি টি-টোয়েন্টির মধ্যে মাহমুদউল্লাহ খেলেছিলেন তিনটিতেই। ব্যাট হাতে করেছিলেন ৫৬ রান। বল হাতে নিয়েছিলেন তিনটি উইকেট।
মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি জ্বলে উঠতে পারেন সাব্বির রহমানও। অল্প সময়ের মধ্যেই যিনি পেয়ে গেছেন ‘টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টের’ খেতাব। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেও সাব্বির খেলেছেন ৪৪ রানের লড়াকু ইনিংস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাব্বির অবশ্য খেলেছেন একটি টি-টোয়েন্টি। ২০১৪ সালের সেই ম্যাচে সাব্বিরের ব্যাট থেকে এসেছিল ২৬ রান।
বল হাতে লঙ্কান শিবিরে ভীতি ছড়াতে পারেন তরুণ বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এখন পর্যন্ত মুস্তাফিজের বল খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি শ্রীলঙ্কার। ফলে প্রথমবারের মতো মুস্তাফিজের দুর্দান্ত সব কাটার-ইয়র্কার মোকাবিলা করতে গিয়ে বিপদে পড়তে পারেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা।
এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন বাংলাদেশের দুই নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁরাও জ্বলে উঠতে পারেন দারুণভাবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিবের আগের রেকর্ডও খারাপ না। আগে তিনটি ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে করেছিলেন ৫৬ রান। বল হাতে নিয়েছিলেন চারটি উইকেট।
বাংলাদেশের জন্য মালিঙ্গার পাশাপাশি হুমকি হয়ে উঠতে পারেন তিলকারত্নে দিলশান, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দিনেশ চান্দিমাল, থিসারা পেরেরার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। পেরেরা এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচে খেলে ব্যাট হাতে করেছিলেন ৭৬ রান। সবগুলো ম্যাচেই ছিলেন অপরাজিত। বল হাতেও নিয়েছিলেন চারটি উইকেট। তিন ম্যাচ খেলে ম্যাথিউস করেছিলেন ৪৩ রান। নিয়েছিলেন দুইটি উইকেট। বল হাতে জ্বলে উঠতে পারেন নুয়ান কুলাসেকারাও। আগের দুইটি ম্যাচ খেলে তিনি পেয়েছিলেন চারটি উইকেট।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সবগুলো টি-টোয়েন্টিতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল মালিঙ্গার। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক এই চারটি ম্যাচ খেলে দারুণ বোলিং করে নিয়েছিলেন ছয়টি উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এর আগে চারটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে চারটিতেই হারের মুখ দেখেছিল বাংলাদেশ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন