আত্মঘাতী বিএনপি
বাঙালির চরিত্র বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লন্ডনপ্রবাসী প্রয়াত লেখক নীরোদ চন্দ্র চৌধুরী তাঁর একটি বইয়ে এই জাতিকে ‘আত্মঘাতী বাঙ্গালী’ বলে অভিহিত করেছেন। সম্ভবত এই অভিধাটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এখন। কারণ নানা কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সাম্প্রতিককালে দলটি নিজেই নিজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে বলে দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি এর শুভাকাঙ্ক্ষী বুদ্ধিজীবীরাও মনে করছেন। তাঁদের মতে, জাতীয় কাউন্সিলের পর যেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা, সেখানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা ও সিদ্ধান্ত বিএনপিকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে কাউন্সিলের দুই মাসের মধ্যেও সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী স্থায়ী কমিটি ঘোষিত না হওয়ায় দলটির সর্বস্তরে নেমে এসেছে হতাশা। আবার যেসব কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে তা নিয়েও অসন্তোষ চলছে। সর্বশেষ যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতার বৈঠক নিয়ে দেশে-বিদেশে বেশ বিপাকেই পড়েছে বিএনপি। এদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার গতি দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন খালেদা জিয়াসহ দলের নেতারা। যদিও আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি চলছে; তবে সত্যিকার অর্থে খালেদা জিয়ার ‘সাজা’ হলে রাজনৈতিকভাবে এ পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেওয়া হবে বা দল কিভাবে চলবে সে বিষয়ে কোনো আলোচনাই নেই। কারণ বলতে গেলে সিনিয়র নেতারা কেউ খালেদার পাশে নেই। চেয়ারপারসনও তাঁদের ডাকেন না; আবার তাঁরা নিজেরাও যান না। তাঁদের ক্ষোভ গুলশান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ওপর।
ওই কর্মকর্তারা, বিশেষ করে চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসই ভুল বুঝিয়ে তাঁদের খালেদা জিয়ার কাছে অবিশ্বস্ত করে তুলছেন বলে এই নেতারা মনে করছেন। পাশাপাশি শিমুল গুলশান কার্যালয় এবং সদ্য নিযুক্ত সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের নেতৃত্বে নয়াপল্টন কার্যালয় চলছে বলে তাঁরা ধরে নিয়েছেন। ফলে ওই দুজনের ওপর সিনিয়র নেতারা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরে বসে আছেন। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় তাঁরা বলছেন, শিমুল-রিজভী পারলে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে যাক। তাঁদের অভিযোগ, দলের নিয়ন্ত্রণ পেতে শিমুল ও রিজভীই মিথ্যা তথ্য ও খবর দিয়ে চেয়ারপারসনের কান ভারী করেছেন।
সিনিয়র একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সম্ভবত দলের নিয়ন্ত্রণ নিতে শিমুল বিশ্বাসই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কাউকে সরকারের এজেন্ট, কাউকে চক্রান্তকারী আখ্যা দিয়ে চেয়ারপারসনের কাছে অবিশ্বস্ত করে তুলেছেন।’ এ ছাড়া কয়েকজন বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী নেতার মাধ্যমে খালেদা জিয়ার কাছে তারেক রহমান-সংক্রান্ত নানা মিথ্যা সংবাদ পৌঁছানো হচ্ছে। যে কারণে মা-ছেলের মধ্যে ইদানীং কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে—যোগ করেন ওই নেতারা। তাঁরা বলেন, ‘অমুক দেশ তারেক রহমানকে পছন্দ করে না বা তারেক উচ্চ পদে গেলে অমুক দেশ ক্ষমতায় যেতে সাহায্য করবে না, এমন কথা চেয়ারপারসনের কাছে বুদ্ধিজীবীদের মাধ্যমে শিমুলই পৌঁছাচ্ছেন বলে আমাদের ধারণা। তাঁর উদ্দেশ্য হলো, তারেককে খালেদা জিয়ার কাছে মূল্যহীন করে গোটা দলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা।’
শিমুলের কর্তৃত্ব কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তার উদাহরণ দেন খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আরেক নেতা। তিনি বলেন, শিমুল বিশ্বাস তাঁর ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে চেয়ারপারসনের বাসায় গত ৩০ বছর ধরে আনুগত্যের সঙ্গে কাজ করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একে একে বিদায় করে দিয়েছেন। এমনকি বাসায় নামাজ পড়ানো মৌলভিকে পর্যন্ত বিতাড়িত করা হয়েছে। এক-এগারোর পর খালেদা পরিবারের একমাত্র সদস্য মাহবুব আল আমিন ডিউ চেয়ারপারসনের বাসায় এবং গুলশান কার্যালয়ে বিশেষ সহকারী হিসেবে ছিলেন। কিন্তু শিমুল তাঁকেও বিদায় করেছেন।
সূত্র মতে, এভাবেই গুলশান কার্যালয়ে এককভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শিমুল। ওদিকে, খালেদা জিয়ার দেওয়া বার্তা শিমুলের কাছ থেকে জেনে নিয়ে একের পর এক কমিটি ঘোষণা করছেন রিজভী। পাশাপাশি প্রায় প্রতিদিনই নানা ইস্যুতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করছেন। এতে দলের মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, এই দুজনই বিএনপি চালাচ্ছেন। ফলে এখন যাই ঘটুক, দলটির কোনো নেতাই তার দায় নিতে চাইছেন না। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গেছে যে বিএনপিকে তাঁদের অনেকেই নিজের দল বলে স্বীকৃৎতি দিতে চাইছেন না।
সূত্র মতে, সম্প্রতি পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন বাণিজ্যের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়িতে নেমেছেন। সব শেষ আসলাম চৌধুরীর ঘটনা নিয়েও পক্ষে-বিপক্ষে তত্পর রয়েছেন বিএনপি নেতারা। একদল তাঁকে বহিষ্কারের পক্ষে থাকলেও আরেক অংশ ওই ঘটনাকে সরকারের ‘ষড়যন্ত্র’ বলে উড়িয়ে দিতে চাইছে। আর নেতাদের এ পরস্পরবিরোধী অবস্থানে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন খালেদা জিয়া। ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন। অনেকের মতে এভাবেই বিএনপির সব কাজ থমকে আছে। কে সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট হবেন এমন আশঙ্কায় তিনটি মাত্র শূন্য পদ পূরণ করে গত দুই মাসেও স্থায়ী কমিটি দিতে সাহস পাননি খালেদা জিয়া।
অথচ দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের কোনো কমতি ছিল না। হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম হওয়ায় প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, এবার হয়তো বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু কী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র, কী অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, কোনো দিক থেকেই সুখবর নেই। ঘরে-বাইরে একের পর এক দুর্ঘটনায় দলটি বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে। এ বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যেও গত সোমবার শ্রমিক দলের এক নেতা দলীয় কোন্দলে নিহত হয়েছেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ অবশ্য মনে করেন, বিএনপির সব সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী বা ভুল এ কথা এখনই বলা ঠিক হবে না। তাঁর মতে, হয়তো কাউন্সিলের পর যে গতিতে এগোনোর বা ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ছিল সেটি হচ্ছে না। তিনি বলেন, গত দুই মাসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হলে ভালো হতো। কিন্তু সেটি না হওয়ায় হতাশা বেড়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মহল এ দেশে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তারা সেই অবস্থানেই অটল আছে। তবে এটি বাস্তবায়নে হয়তো সময় লাগছে বলেই মনে হতে পারে পরিস্থিতি বিএনপির প্রতিকূলে চলে গেছে।
গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপি শুধু উল্টো পথে নয়, আত্মঘাতী পথ বেছে নিচ্ছে। কারণ কোনো কিছুই তারা ঠিকভাবে করতে পারছে না। দল গোছানো কিংবা পররাষ্ট্রনীতি—কোনো দিক থেকেই সঠিক অবস্থানে নেই দলটি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ারও উচিত সিনিয়র নেতাদের আস্থায় নেওয়া। আবার স্থায়ী কমিটির নেতাদেরও সব ইস্যুতে কথা বলা উচিত। কিন্তু এখন যা হচ্ছে, সবই আত্মঘাতী। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিমুল ও রিজভীর ব্যাপারে এক ধরনের ‘পারসেপশন’ তৈরি হয়েছে। সত্য-মিথ্যা যা-ই হোক, এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে। খালেদা জিয়ার সবাইকে নিয়ে দল চালাতে হবে। তিনি একা কয়টি ঘটনা সামাল দেবেন—প্রশ্ন করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ মনে করেন, বিএনপির কর্মকাণ্ডকে পুরোপুরি আত্মঘাতী বলার সময় এখনো আসেনি। তাঁর মতে, সরকার ও সরকারের বাইরের বিভিন্ন শক্তির কারণে বিএনপি আপাতত বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। তবে এটা অপ্রত্যাশিত নয়। অতীতে আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও এমন অবস্থা দুইবার দেখা গেছে। বিএনপির কোনো কোনো নেতা বা কর্মী অগ্রহণযোগ্য আচরণ করলে সেটিকে দলের বিপর্যস্ত পরিণতির আলোকে ব্যাখ্যা করা ঠিক হবে না। তিনি বলেন, ‘ব্যাপক গণভিত্তির কারণে দলটি এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবে বলে আমি মনে করি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানের মতে, সাম্প্রতিককালের কয়েকটি ঘটনা বিএনপির ভেতরে-বাইরে নাড়া দিয়েছে। হয়তো সে কারণেই বলা হচ্ছে, দল উল্টো পথে চলছে। কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে বলছেন, দল আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। এর অর্থ হতে পারে জনগণ যেভাবে দেখতে চাইছে বিএনপি সে আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারছে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে মোসাদের বৈঠকের খবর সত্য বা মিথ্যা যা-ই হোক; দলের ভাবমূর্তি এতে চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। তা না হলে দেশের বাইরে ভুল বার্তা যাবে।
উল্লেখ্য, আসলাম চৌধুরীর ঘটনা নিয়ে ফিলিস্তিনের পাশাপাশি বাংলাদেশে সরকারি দলেরও কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে বিএনপি। এ ছাড়া মুসলিমবিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গেও ভুল বোঝাবুঝির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অথচ প্রতিষ্ঠার পর গত প্রায় ৩৮ বছরে ভারতবিরোধী রাজনীতির পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক নিয়ে এক ধরনের আত্মতৃপ্তি ছিল বিএনপির। কিন্তু তাতেও এখন চিড় ধরার আশঙ্কায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিন দূতবাসে ছুটে গিয়ে ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।
মুসলিমবিশ্বকে হারানোর এ আশঙ্কার কারণ, এর আগে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে ঢাকায় তাইওয়ান সেন্টার প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়ে বিএনপি তার সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক মিত্র চীনকে হারিয়েছে। দলটির নেতারা নিজেদের আলোচনায় সুযোগ পেলে এখনো এ জন্য ওই সময় সরকারের সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের দায়ী করেন।
দলটির বেশির ভাগ সিনিয়র নেতার মূল্যায়ন, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কারণেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। অর্থাৎ ভারত একতরফাভাবে এ দেশের অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পেয়েছে। এ কারণে গত সপ্তায় অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চীনপন্থী বলে পরিচিত লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান স্পষ্ট করেই বলেছেন, ইসরায়েলি নেতার সঙ্গে আসলামের বৈঠকের ঘটনা আরেকটি ‘তাইওয়ান এপিসোড’।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, এমনিতেই ভারত বিগড়ে যাওয়ায় তাঁরা বিপদে আছেন। গত কয়েক বছর চেষ্টা করেও এখনো পক্ষে টানা দূরে থাক; অন্তত বাংলাদেশ প্রশ্নে ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থানে আনা যায়নি দিল্লিকে। দৃশ্যমান ও অদৃশ্য কোনো দিক থেকেই সম্পর্ক এখনো জোড়া লাগাতে পারেনি বিএনপি। দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিএনপি এখনো মরিয়া। সর্বশেষ ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের বাংলাদেশ সফর নিয়েও বিএনপির মধ্যে হতাশা আছে। কারণ ভারতের পররাষ্ট্রসচিব জয়শংকর বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। ভারত নিয়ে আশা না থাকলেও বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী দলের মর্যাদা দেয় বলে দলটি প্রত্যাশা করে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ার ঘটনা নিয়েও নানা কথা বলা হচ্ছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী মন্ত্রীর সঙ্গে গত ১৬ মে বিএনপির বৈঠক হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও অংশীদারত্বমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্বের ওপর বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু তাদের সেই প্রত্যাশা কবে এবং কিভাবে পূরণ হবে—তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। তা ছাড়া বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে বিএনপিতে যাঁরা কাজ করেন তাঁদের মধ্যেও সমন্বয় নেই। তাঁরা একজন অন্যজনের বিরুদ্ধে আড়ালে কথা বলেন। শুধু তা-ই নয়, প্রায় প্রতিটি ইস্যুতেই নেতারা দ্বিধাবিভক্ত। তাঁদের একমাত্র বিবেচ্য হচ্ছে ব্যক্তিগত লাভ-অলাভের হিসাব। ফলে এক-এগারো পরবর্তী বিপর্যস্ত বিএনপি এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে স্থায়ী কমিটির প্রবীণ দুই সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ কথা বলতে রাজি হননি। তবে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করেন, বিএনপি যতটা না বিপাকে তার চেয়ে বেশি অপপ্রচার চলছে। চলছে নানামুখী ষড়যন্ত্রও। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বিএনপি সময়ে ঘুরে দাঁড়াবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন