আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ বনাম ভয়ংকর নিউজিল্যান্ড
প্রবাদ আছে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। শেষটা মধুর হলেও শুরুর ব্যর্থতা অনেকটা কমে যায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আছে সেই প্রতীক্ষায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শুরুটা যেভাবে করেছিল শেষটাও ওভাবে করতে চায়।
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ জিতে জয়ের স্বাদ নিয়েছিল নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে। এরপর জয় পায় ওমানের বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকে বাংলাদেশ সুপার টেন নিশ্চিত করে। তবে সুপার টেনের সফরটি ছিল বিষাদময়। জয়হীন কেটেছে সুপার টেনের প্রথম তিন ম্যাচ। তবে মন জয় করেছে ক্রিকেটপ্রেমিদের। পাকিস্তান বাদে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেভাবে লড়াই করেছে তাতে মুগ্ধ ক্রিকেট বিশ্ব। বলাবাহুল্য ছোট-ছোট ভুলগুলো না হলে বাংলাদেশ শেষ চারেও উঠে যেত।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ আজ নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। বিকেল ৩টায় ম্যাচটি কলকাতার ইডেন গার্ডেনে শুরু হবে।
ভারতের মূল মঞ্চে শেষবারের মত মাঠে নামার আগে শুক্রবার ব্যাট-বলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখেনি না বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের অভিজ্ঞতাই আজ টাইগারদের ভরসা। অন্যদিকে তিন ক্রিকেট পরাশক্তিকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেওয়া ভয়ংকর নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশকে হারাতে বড্ড পরিশ্রমী, বড্ড সতর্ক। দলটির লেগ স্পিনার ইশ শৌধী তো বলেই দিয়েছেন বাংলাদেশকে হাল্কাভাবার কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। তাইত বাংলাদেশ দল আজকের ম্যাচের আগে অনুশীলন না করলেও নিউজিল্যান্ড রণ সাজে সজ্জিত। ব্যাটি, বোলিং ও ফিল্ডিং অনুশীলন করেছে ইডেনে।
চলতি বিশ্বকাপে ইডেনে এখনও পা পরেনি কিউইদের। বাংলাদেশ দল সুপার টেনের প্রথম ম্যাচ খেলেছিল ইডেনে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি অবশ্য হেরেছিল মাশরাফির দল। অপরদিকে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড আছে পুরোপুরি ফর্মে। ইডেনে না খেললেও ধর্মশালা ও নাগপুরে দারুণ খেলেছে দলটি। কন্ডিশনের সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিয়েছে তারা। সে কারণে ইডেনে খেলতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে ‘উইকেট’ এ যে টার্ন ও বাউন্স পাবে সে কথা জানিয়েছেন দলটির লেগ স্পিনার। তার মতে,‘ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচটি আমরা দেখেছি। স্পিনাররা টার্ন ও বাউন্স পেয়েছিল। সে রকমই কিছু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও একই কথা বলেছেন,‘সচরাচর এখানে ততটা টার্ন পাওয়া যায় না। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে দেখলাম অনেক টার্ন হয়েছে। টার্ন হলে ওদেরও কিন্তু ভালো স্পিনার আছে। টার্ন হলে আমাদেরও যে সুবিধা আছে ওদেরও সেই সুবিধা হবে। ব্যাটিং উইকেট যদি হয় আমাদের ভালো ব্যাটিং করতে হবে। আর বোলিং উইকেট হলে আমাদের ভালো বোলিং করতে হবে।’
বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে। তিনটিতেই জয় কিউইদের। ঘরের মাঠে ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বরের ম্যাচটি বাদে কোনোটিতেই লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। মিরপুরে সর্বশেষ মুখোমুখিতে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৮৯ রানের জবাবে বাংলাদেশ হেরে যায় মাত্র ১৫ রানে। অবশ্য টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ৩-০ ব্যবধানে। ১৫ রানে বাংলাদেশ ম্যাচ হারলেও মন জয় করেছিল ক্রিকেটপ্রেমিদের। ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম মুখোমুখিতে হ্যামিলটনে বাংলাদেশ ওই ম্যাচটি হেরেছিল ১০ উইকেটে, ৭০ বল আগে! বলাবাহুল্য নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশকে পেয়ে বসেছিল কিউইরা। ২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে দ্বিতীয় মুখোমুখিতে নিউজিল্যান্ড ৫৯ রানের বড় তুলে নেয়।
পরিসংখ্যান ও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিচারে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের থেকে ঠের পিছিয়ে। তবে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ যে নিজেদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিতে পারে সেই ভয় আছে কিউই শিবিরে। ফলাফল যাই হোক বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ যে ক্রিকেট প্রেমিদের বাড়তি উন্মাদনা ও আনন্দ দিবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন