আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন ব্রাড হজ!
অস্ট্রেলিয়ার সর্বজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ব্রাড হজ। ২০০৩ ও ২০০৭ সালে জিতেছেন বিশ্বকাপ শিরোপা। ৪০ বছর পেরিয়ে এসে খেলেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটও। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল এই ক্রিকেটার নাকি একসময় চিন্তা করেছিলেন আত্মহত্যার কথা। নিজের আত্মজীবনীতে হতাশার সেই দিনগুলোর কথা অকপটেই বলেছেন ৪৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন হজ। বিবাহবিচ্ছেদ ঠেকাতে মরিয়া হয়েই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি বোলার। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই প্রচেষ্টায় সফল হতে পারেননি। ছাড়াছাড়িই হয়ে গিয়েছিল স্ত্রী আন্দ্রেয়ার সঙ্গে। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত হজ কাটিয়েছিলেন খারাপ সময়। মন বসাতে পারেননি কোনো চাকরিতে। হতাশায় শুরু করেছিলেন বেশি মাত্রায় মদ্যপান।
এ রকম একসময়েই আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন হজ। নিজের আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, ‘একদিন সমুদ্রসৈকতে গাড়ি রেখে আমি হাঁটছিলাম। হঠাৎ সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে চিন্তা করলাম, সাঁতরে একটা পাথরের কাছে যাব। যদি ফিরে আসতে পারি, তাহলে ভালো। না হলে ভাগ্যে যা থাকে, তা-ই হবে। আমি সবকিছু ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলাম। সে সময় আমি খুবই খারাপ অবস্থায় ছিলাম। এই চিন্তাটা আমি চারবার করেছি। প্রতিবারই ভেবেছি কিছু একটা ঘটিয়ে ফেলব।’
শেষ পর্যন্ত অবশ্য তেমন কিছুই করেননি হজ। ক্রিকেট অঙ্গনেও ফিরে এসেছেন ভালোভাবে। ২০১১ সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ারটাও যেন নতুন করে শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ান এই ক্রিকেটার। জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলেও। গত বছর খেলেছেন ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা আইপিএলেও। এ বছরও হজকে দেখা যাবে বিগ ব্যাশ লিগে মেলবোর্ন রেনেগেডসের জার্সি গায়ে।
১৯৯৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১২৩টি ওয়ানডে খেলে হজ নিয়েছিলেন ১৫৬ রান। সাতটি টেস্ট খেলে হজের শিকার ১৭ উইকেট।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন