আদালতে কেঁদেছেন, আজ সকালে হাসিমুখে কী বললেন তাপস পাল?
৩০ ডিসেম্বর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অভিনেতা ও তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল। তার পর থেকেই চলছে দফায় দফায় জেরা। রোজভ্যালি চিট ফান্ড কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গতকাল ভুবনেশ্বরের একটি আদালতে তোলা হয়। সেখানে বিচারকের প্রশ্নের সামনে বিহ্বল হয়ে পড়েন তিনি। পরে বেঞ্চে বসে তাঁকে কাঁদতেও দেখা যায়। পাশে বসে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় স্ত্রী নন্দিনীকে।
কিন্তু রবিবার, ২০১৭ সালের প্রথম দিনে তাপস পালকে দেখা গেল হাসিমুখে। রবিবার সকালে ভুবনেশ্বরের সরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে আসা হয় মেডিক্যাল চেকআপের জন্য। তিন দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি কিন্তু আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁকে প্রত্যেকদিন মেডিক্যাল চেক আপ করাতে হবে। এই কারণেই রবিবার সকালে তাঁকে ভুবনেশ্বরের ক্যাপিটাল হসপিটালে নিয়ে আসা হয় সকাল ১১টা নাগাদ।
হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাঁকে হাসিমুখে বলতে শোনা যায়, ‘দোষী নই, নির্দোষ। সত্যটা বেরিয়ে আসুক। নতুন বছর সবার ভাল কাটুক।’ সঙ্গে সঙ্গেই তাপসকে প্রশ্ন করা হয় যে তাঁকে কি রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হচ্ছে? এর উত্তরে তাপস পাল চুপ করে থাকলেও মুখ খোলেন তাঁর স্ত্রী নন্দিনী। প্রথমে তিনি বলেন, ‘তাপস কোনও টাকা নেননি।’ এর পরে তাঁকেও আবার প্রশ্ন করা হয় যে তাপস পালকে কোনও রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হচ্ছে কি না। উত্তরে তিনি বলেন, ‘সেটা আমার মনে হয় দলে যাঁরা সিনিয়র নেতা আছেন তাঁরা বলতে পারবেন।’
মেডিক্যাল চেকআপের পরে আবারও তাঁকে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই কর্তাদের ধারণা, তাপস পাল যে দু’তিনরকম সই করেছেন রোজভ্যালির বিভিন্ন নথিতে, সেটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ বিষয়ে জেরার প্রশ্ন বার বার এড়িয়ে যাচ্ছেন তাপস। তার পরেও নতুন বছরের শুরুতে তাঁর হাসিমুখ ও নিজেকে নির্দোষ ঘোষণা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। এটা কি নিছকই সাংবাদিকদের সামনে নিজেকে সপ্রতিভ রাখার চেষ্টা? আর কোন সত্য উন্মোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন তিনি? সেটা অবশ্য ভবিষ্যতই বলবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন