সাকা চৌধুরী-মুজাহিদের ফাঁসি
আনন্দে আত্মহারা সংসদ
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় সংসদ সদস্যরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেন, এ রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতির ৪৪ বছরের কলঙ্ক-মুক্তি আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হলে প্রশ্নোত্তর পর্বে এই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সংসদ সদস্যরা।
শুরুতেই প্রশ্নোত্তর পর্বে নির্ধারিত প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বিষয়টির অবতারণা করে বলেন, ‘আমি আজ আনন্দে আত্মহারা। সারা দেশের মানুষও কেউ শনিবার রাতে ঘুমায়নি। ফাঁসি কার্যকর প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারা টেলিভিশনের সামনে বসেছিল।’
সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য খোরশেদ আরা হকের লিখিত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার শুরুতে মায়া আরো বলেন, এটি একমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জন্য। আজ সব মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে অন্তরের অন্তঃস্তল থেকে শ্রদ্ধা জানাই। আল্লাহর কাছে তাঁর শত বছরের দীর্ঘায়ুও কামনা করি।’
মায়া বলেন, ‘আমি প্রায়ই বলি, শেখ হাসিনা থাকলে দেশ বাঁচবে, গণতন্ত্র থাকবে, এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা চিরকাল থাকবে। এই মুজাহিদ, আমার সহযোদ্ধা জুয়েল, বদি, রুমিকে হত্যা করেছে। আমি যখন তাদের বাড়িতে যেতাম, তখন রুমির মা জাহানারা ইমাম আমার শার্টের কলার ধরে বলেছিলেন, আমার রুমি হত্যার কী বিচার হবে না! সেদিন আমি তাঁর কথার কোনো উত্তর দিতে পারিনি।’
‘আজ মহান সংসদে দাঁড়িয়ে সারা দেশের মানুষকে চিৎকার করে বলতে চাই, শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশে কোনো রাজাকার, আলবদর, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কোনোদিন এই দেশে মাথাচাড়া দিতে পারবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে, শেষও হবে। আজ প্রমাণ হয়েছে, বাংলাদেশে কেবল স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি।’ যোগ করেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
এরপর চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, ‘আজ চট্টগ্রামবাসীসহ সারা দেশের মানুষ খুশিতে আত্মহারা। আমরা খুশি।’
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন উত্থাপনকালে দুই মানবতাবিরোধীর রায় কার্যকরের বিষয়টি সামনে এনে বলেন, আজ সারা দেশে ‘সাবাস, সাবাস’ বলে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সরকারি দলের এ কে এম শাহাজাহান কামাল বলেন, কেবল বাংলাদেশের মানুষ নয়, দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় সারা বিশ্বের বাঙালিরা আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত। একমাত্র শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন