আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেই বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে বলে মনে করেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা।
তাদের মতে, বাংলাদেশের নিজস্ব আইনে বিচার হলেও আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই বিচার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডেই হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নুরেমবার্গ ট্রায়ালের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার : নুরেমবার্গ থেকে ঢাকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। এখানে কারও প্রতি দয়া বা দাক্ষিণ্য দেখানো হচ্ছে না। নুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতোই এই বিচার গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এই বিচারের মাধ্যমে মানবতাবিরোধীদের বিচার নিশ্চিত হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৩ সালে গঠিত হলেও পরে বিভিন্ন কারণে ২০০৯ সালে আবার এই ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত হয়। আমরা সৌভাগ্যবান আমরা মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ডের নায়কদের বিচার শেষ করতে পেরেছি। এটা খুব সহজ ছিল না।
আইনমন্ত্রী সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা এখনও সক্রিয়। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে। কোটি কোটি মানুষ শরাণার্থী হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়নি। এখন বিচার শুরু হয়েছে। এটা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিচার।
শহীদ ড. আলিম চৌধুরীর কন্যা ড. নুজহাত চৌধুরী বলেন, এই বিচার কোন রাজনৈতিক বিচার নয়। এটা আমার বাবার হত্যার বিচার। এটা স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের হত্যার বিচার।’
তিনি বুদ্ধিজীবী হত্যার মূলহোতা লন্ডনে অবস্থানরত মুসলিম কমিউনিটি নেতা চৌধুরী মুঈনুদ্দিনকে বাংলাদেশে ফেরত আনা ও জামায়াত নিষিদ্ধের জন্য আইনমন্ত্রীর নিকট অনুরোধও জানান।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশে চলমান মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ডের বিচারকে রাজনৈতিক ও প্রতিশোধের নয় বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সজান্ডার এ. নিকোলেভ। তিনি চলমান এই বিচারকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে গঠিত নুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো স্বচ্ছ বলেও দাবি করেছেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সজান্ডার এ. নিকোলেভ বলেন, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ট্রাইব্যুনাল প্রতিশোধের নয়। আমি শতভাগ নিশ্চিত। এই বিচারের নৈতিক ভিত্তি রয়েছে। যারা ৪৪ বছর আগে গণহত্যা করেছে এখন তাদের বিচার হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, আমি এখানে রাষ্ট্রদূত। আমি কোন ব্যক্তি বিশেষের নাম উল্লেখ করে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু এই বিচার নিয়ে আমাদের কোন সন্দেহ নেই। নুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতোই বিচার স্বচ্ছ হচ্ছে।’
বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের কানাডা চ্যাপ্টারের আইনজীবী উইলিয়াম প স্লোয়ান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নুর ইস্যুতে রনি: তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু হবে না
পটুয়াখালী-৩ আসনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের নুরকে সাংগঠনিকবিস্তারিত পড়ুন
বুধবার ফের অবরোধের ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা
অধিভুক্তি বাতিল করে আলাদা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করতেবিস্তারিত পড়ুন
৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্ত প্রকাশ করতে হাইকোর্টের রুল
৩৮তম বিসিএসের ফল কোটামুক্তভাবে পুনর্মূল্যায়ন করে প্রকাশ করতে রুল জারিবিস্তারিত পড়ুন