আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি মনে করি, ২০৩০ এজেন্ডা হচ্ছে একটি সম্মিলিত পথ-পরিক্রমা। এর বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সরকারি এবং বেসরকারি, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক, সকল উৎস থেকে অধিক পরিমাণে সম্পদের সরবরাহ প্রয়োজন।’
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, আজ রোববার স্থানীয় একটি হোটেলে ‘সাউথ এশিয়ান স্পিকার সামিটে’র সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের আজ ছিল শেষ দিন। সম্মেলনের যৌথ আয়োজক ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নের জন্য আমি দক্ষিণ এশিয়ার পার্লামেন্টগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি গড়ে তোলার ওপর জোর দিতে চাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে এসডিজি লক্ষ্যকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং এর কার্যক্রম মনিটর করার জন্য বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে তামাকের ব্যবহার মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যেমন- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কায় তামাক-গ্রহণকারীর মোট সংখ্যা প্রায় ৩৮৩ মিলিয়ন। এটা বিশ্বের মোট ১ দশমিক ১ বিলিয়ন তামাকগ্রহণকারীর সংখ্যার ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সরকার জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কনভেনশন ‘এফসিটিসি’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আমরা ২০১৩ সালে ধূমপান এবং তামাক জাতীয় পণ্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করেছি এবং ২০১৫ সালে সংশ্লিষ্ট বিধি পাস করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন করছে। এগুলো হচ্ছে- তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- তামাক চাষ প্রসারের ব্যাপকতা হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তার হুমকি মোকাবিলা। অন্যটি হচ্ছে তামাকের চাহিদা এবং সরবরাহ হ্রাসের জন্য একটি ব্যাপকভিত্তিক জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদিও আমরা তামাক নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি, কিন্তু আমরা এ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। এফসিটিসি বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাসের জন্য আমাদের আরো অনেক কিছু করতে হবে। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা জানেন সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা অতি দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি। শহর এবং গ্রামীণ উভয় অঞ্চলেই আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পানি সরবরাহ এবং পয়ঃসেবার মতো মৌলিক বিষয়ে অধিকতর সুবিধা নিশ্চিত করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী এসডিজির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন দেশের স্পিকার এবং সংসদ সদস্যদের প্রয়োজনীয় বাজেট অনুমোদনেরও উদাত্ত আহ্বান জানান।
আইপিইউ সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার থিলাঙ্গা সুমাথিপলা, আফগানিস্তানের ওলেসি জিগরার স্পিকার আব্দুর রউফ ইব্রাহিম, ভুটানের জাতীয় সংসদ সংগুর স্পিকার জিগমে জাংপো, মালদ্বীপের মজলিসের স্পিকার আব্দুল্লাহ মাসেহ মোহামেদ বক্তব্য দেন।
আইপিইউ সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী অনুষ্ঠানে সম্মেলনের ঢাকা ঘোষণা পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানে আইপিইউ সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে ক্রেস্ট উপহার দেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা
দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিবিস্তারিত পড়ুন

শিবির সভাপতি: অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থবিস্তারিত পড়ুন

মহাকাশে কতগুলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, শীর্ষে কোন দেশ?
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে মোট ৩০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণবিস্তারিত পড়ুন