আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে মাঠে বিএনপির ৫১ টিম
অল্প সময়ে রাজনীতির মাঠ দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এই মাঠ দখলের আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও থাকছে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলের।
রাজনৈতিকভাবে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই দলকে সুসংগঠিত করতে ইতোমধ্যে নানামুখী কৌশল গ্রহণ করেছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ লক্ষ্যে মাত্র ১৫ দিনের সময় বেধে দিয়ে মাঠে নামিয়েছেন দলের চার শতাধিক নেতাকে। এদের মাধ্যমেই দেশের ৭৫টি সাংগঠনিক জেলায় দলের হাল-হকিকত জানতে চান তিনি। এরপর কর্মকৌশল নিয়ে মাঠে নামবেন বিএনপি প্রধান।
দলের নীতি নির্ধারক ও সিনিয়র একাধিক নেতার সাথে আলাপ করে এমন তথ্য জানা গেছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং আন্দোলনের বিষয়টি মাথায় রেখেই বিএনপি সারা দেশে সাংগঠনিক সফর শুরু করছে।
এদিকে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত নতুন-পুরোনো মামলাসহ পরোয়ানা নিয়ে পাল্টা মাঠে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সারা দেশে সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই একটি মামলায় নিন্ম আদালতে জামিনের আবেদন করলে না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। দেশের অন্তত ২০ জেলায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে বিএনপির দাবি।
দলীয় সূত্রমতে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইতোমধ্যে দলের সুস্থ ও কর্মোদ্দম ৫১ সিনিয়র নেতার নেতৃত্বে ৫১টি টিম গঠন করেছেন। টিম লিডারদের মধ্যে অনেকেই মাঠে। বাকিরাও যাচ্ছে। তারা প্রতিটি জেলায় কর্মীসভা করবেন, কেন্দ্রে দিকনির্দেশনা দেবেন। উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশে বাধাগ্রস্ত হলে নেতার বাসা-বাড়িতেই বৈঠক করবেন। এসব সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের অবস্থান, দলের ঐক্য, জোটের ঐক্য, আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে কথা বলবেন। একই সাথে সরকারের নেতিবাচক কর্মকান্ড সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে বিলি করা হবে লিফলেট ও পোস্টার। আগামী ৭ মের মধ্যে এই ঝটিকা সফর শেষ করে দলীয় প্রধানের কাছে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করবেন।
মঙ্গলবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ৫১ দলের নেতৃবৃন্দ বৈঠকে এর কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ৫১টি দল সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় যাবেন এবং সেখনে আমাদের নেতাকর্মীদের সাথে মিলিত হবেন আনুষ্ঠানিকভাবে ও অনানুষ্ঠানিকভাবে। তারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। আন্দোলন, নির্বাচনসহ সকল বিষয় সেখানে আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি, এই সফরে আমাদের দলের শক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতের কাযর্ক্রমের জন্য নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবে। বিএনপি মহাসচিব জানান, পক্ষকালব্যাপী এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে ২২ এপ্রিল, শেষ হবে ৭ মে।
একাধিক নেতার সাথে আলাপ করে জানা গেছে, মাঠ পর্যায়ের সংগঠনের বর্তমান অবস্থা, আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে মাঠ নেতাদের সাথে টিম প্রধানরা ঘরোয়া আলোচনা করবেন। যেখানে যেখানে কমিটি নিয়ে বিরোধী ও গ্রুপিং আছে সে সম্পর্কেও অবহিত হবেন নেতৃবৃন্দ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন