আপত্তিকর দৃশ্য থাকায় মহেশ ভাটকে মিমের না
বলিউডে বিশেষ ফিল্ম মানেই অন্যরকম একটা ব্যাপার-স্যাপার। বলিউডে অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবির নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এই বিশেষ ফিল্মস। বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যাঁরা এই প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেননি। প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় আছেন মহেশ ভাট ও মুকেশ ভাট। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী মিমকে নিয়ে ছবি তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে দাবি করেছেন মিম।
বললেন, ‘শুরুতে বলিউডের ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে খুশি হলেও পরে সেই ছবির ক্ষেত্রে নানা শর্ত আরোপ থাকায় তা করতে বিন্দুমাত্র আগ্রহ প্রকাশ করিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমকে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই মডেল ও অভিনেত্রী।
ভারতের কলকাতায় আজ মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পী মিম অভিনীত চলচ্চিত্র ‘ব্ল্যাক’। রাজা চন্দ পরিচালিত এ ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার সোহম। এ দিকে ‘ব্ল্যাক’ ছবিটি মুক্তির আগেই মিমের কাছে বলিউডের ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব এসেছে। ভারতের নামজাদা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বিশেষ ফিল্মস গত ২৪ নভেম্বর মিম বরাবর একটি ই-মেইল পাঠান। তাতে তাঁরা মিমকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং মিমের মতামতও জানতে চান। পরে মুঠোফোনে এ নিয়ে কথাবার্তাও হয়। শেষ পর্যন্ত সবকিছু মনঃপূত না হওয়াতে মিম বিশেষ ফিল্মসের এই প্রস্তাব না করে দেন।
মিম বলেন, ‘আমি অভিনয়শিল্পী। অভিনয় করাটাই আমার কাজ। হোক তা দেশে কিংবা দেশের বাইরে। দেশের বাইরে অভিনয় করার মধ্য দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করাটাই আমার কাজ। কিন্তু দেশের বাইরের কাজ বলে আমার যেনতেন উপস্থাপন হবে তা আমি কোনো দিন মেনে নেব না। তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন, ছবিতে কিছু আপত্তিকর দৃশ্য থাকবে, যাতে আমাকে কাজ করতে হবে। সবকিছু শোনার পর আমি ভাবলাম, আমার দেশের সংস্কৃতি আলাদা। তাই আমার কাজের ধরনটাও ভিন্ন। বাইরের দেশের ছবিগুলো সে দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী নির্মিত হয়। বিশেষ ফিল্মসের মতো এক বড় একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আমাকে নিয়ে যে কাজ করার কথা ভেবেছেন তার জন্য আমি সম্মানিতবোধ করছি। কিন্তু এটাও ঠিক যে, কোনো ধরনের শর্ত মেনে আমার পক্ষে কাজ করাটা মোটেও সম্ভব না।’
মিম এও বলেন, ‘ই-মেইলটি পাওয়ার পর আমার কাছের অনেক বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গেও ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করেছি। তাঁরাও আমাকে এই বিষয়টির ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করেছেন। একটা কথা কি, আমার কিন্তু ক্যারিয়ার নিয়ে আমার এত তাড়াহুড়া নেই। অল্প সময়ের অভিনয়জীবনে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই আমি কাজ করতে চাই। আমার কারণে দেশের মানসম্মান হানি হয় এমন কাজ আমি করতে চাই না।’
২০০৭ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে অভিনয়ে নাম লেখান বিদ্যা সিনহা মিম। টিভি নাটকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনচিত্রেরও মডেল হয়েছেন তিনি। কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ ছবিতে অভিনয় করার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে মিমের। এরপর তিনি জাকির হোসেন রাজুর ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’, খালিদ মাহমুদ মিঠুর ‘জোনাকির আলো’ ও মুহাম্মাদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘তারকাটা’ ছবিতে অভিনয় করেন। মুক্তির অপেক্ষায় আছে মিম অভিনীত দুটি চলচ্চিত্র। ছবি দুটি হচ্ছে তানিয়া আহমেদ পরিচালিত ‘গুডমর্নিং লন্ডন’ আর ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘সুইটহার্ট’।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন