কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, খুব ভালো কথা। কিন্তু কৃষকের জন্য কী করেছেন? আপনারা কৃষককে কিছু দেননি, শ্রমিকদের দেননি। আদমজী বন্ধ করেছেন। এ দেশের লেখাপড়াকে চুলায় নিয়ে গেছেন।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় মতিয়া এসব কথা বলেন। ১৯৯৫ সালের ১৫ মার্চ কৃষিপণ্যের দাবিতে আন্দোলনরত ১৮ জন কৃষককে হত্যার ঘটনা স্মরণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পড়াশোনা নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পড়াশোনার কথা পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উর্দু আর অঙ্কতে পাস করেছিলেন। আর তাঁর ছেলে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট থেকে টিটিএম, মানে টেনেটুনে ম্যাট্রিক পাস। এরপর থেকে আমরা দেখতে পাই, উনি মানিকগঞ্জ থেকে বিএ পাস করেছেন। কোন কলেজ থেইক্যা। ওই যে একটা কথা আছে না—কদম আলী ডাক্তার ডিগ্রি নাই। তারেক রহমান বিএ পাস করেছে, কলেজের নাম নাই।’

মতিয়া বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমাদের স্লোগান হলো—কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও। আর আপনাদের স্লোগান হলো—নেত্রী মোদের খালেদা, আনন্দ মোদের আলাদা। আপনাদের সবকিছুই আলাদা। কৃষকদের জন্য কাজও আলাদা। শ্রমিকদের জন্য কাজও আলাদা।’

নবগঠিত নির্বাচন কমিশন বিবেক দ্বারা পরিচালিত হবে আশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আশা করি, নবগঠিত নির্বাচন কমিশন বিবেক দ্বারা পরিচালিত হবে, নির্ভীক থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’ তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন বিএনপি বয়কট করলে তারা আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সুতরাং তারা আর সেই ভুল করবে না বলে আশা করি।’

খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য, ধূম্রজাল সৃষ্টির জন্য বিএনপি নানা ষড়যন্ত্র করছে। এ জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে।

কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামসুল হক, সহসভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।