আপনার কঠস্বরেই কি প্রকাশিত হয় মনের ভাব?
মনোবিজ্ঞানী হেনরি ওয়ার্ডসওর্থ লংফেলো মানুষের কন্ঠস্বর এবং মনের সংযোগের উপর একটি বই লিখেছিলেন। বইটির নাম ছিল “The human voice is the organ of the soul”। তাঁর ভাগ্য তেমন সুপ্রসন্ন না থাকায় বৈজ্ঞানিকভাবে বিষয়টি স্বীকৃত হয়নি। তাঁর মৃত্যুর ১০০ বছর পর বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে তাঁর বক্তব্য সঠিক প্রমাণিত হয়। আমাদের কন্ঠস্বর অনেক ভালো যোগাযোগ করতে সক্ষম, এমনকি কথ্য ভাষার চেয়েও বেশি। কন্ঠস্বর শুনে অনুভব করা যায় আবেগ, শারীরিক আকর্ষণ এমনকি ব্যাক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য।
ড. ভিনিতা মেহতা (Ph.D. , Ed.M) বিভিন্ন গবেষণার ফল তুলে ধরেন তার লেখনীতে। আসুন জেনে নিই তার মতানুযায়ী কন্ঠস্বরের ৩টি অবাক করা বার্তা, যা আমরা আমাদের অজান্তেই অন্যের কাছে পৌঁছে দিই।
আমি তোমার সাথে প্রতারণা করছি-
নারী পুরুষ উভয়েই যখন কথা বলে তখন বন্ধু এবং প্রিয়জন বিশেষে তাদের কন্ঠ বদলে যায়। এমনকি প্রতারণার ক্ষেত্রেও কন্ঠস্বরে তারতম্য টের পাওয়া যায়। তরুণ-তরুণীরা তাদের প্রেমিকের সাথে কেমন কন্ঠে কথা বলে আর স্বল্প সময়ের জন্য যৌন ভাবনা দ্বারা তাড়িত হয়ে কোনো বন্ধুর সাথে কেমন কন্ঠে কথা বলে তা বোঝার জন্য একটি গবেষণা করা হয়। গবেষকরা সদ্য নতুন সম্পর্কে জড়ানো ২৪ জন তরুণ-তরুণীর উপর এই গবেষণা করেন। ফোনে কথা বলার সময় তাদের কন্ঠস্বর রেকর্ড করা হয়। ৮০ জন বিচারকের কাছে পরীক্ষা করতে দেয়া হয় সেই রেকর্ডগুলো। ফলাফলে বেরিয়ে আসে, প্রেমের সম্পর্কে মানুষ অনেক নরম, মিষ্টি গলায় কথা বলে। সল্প সময়ের জন্য যারা তাদের বন্ধু তাদের সাথে তুলনামূলক কঠোর কন্ঠে কথা বলেন তারা।
আমি তোমার চেয়ে বড়-
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষরা তাদের কন্ঠস্বর দ্বারা শারীরিক গঠন এবং আকৃতির ব্যাপারে ইঙ্গিত করতে পারে। গবেষকরা ৫০ জন বিষমকামী পুরুষের উপর এই পরীক্ষা চালান। তারা প্রত্যেককে ইংরেজি স্বরবর্ণ a,e,i,o উচ্চারণ করতে বলেন। তদের কন্ঠস্বর রেকর্ড করা হয়। তাদের প্রত্যেকের শারীরিক মাপ ও নেয়া হয়, উওচ্চতা থেকে শুরু করে, মাথা, গলা, কাঁধ সব কিছুর মাপ রাখা হয়। দেখা যায় যাদের দৈহিক কাঠামো বিশাল কন্ঠস্বর তাদের তেমনই ক্ষীণ। তবে ওজনের সাথে কন্ঠস্বরের বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে। গবেষকরা মনে করেন, মানুষের শরীরের জীনের সাথে বিষয়টি সম্পর্কিত। শারীরিকভাবেই ভালো শারীরিক গঠন এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তিরা নরম কন্ঠস্বর পেয়ে থাকেন। বিপরীতভাবে প্রগাঢ় কন্ঠস্বর পান কম উচ্চতা এবং আকৃতির পুরুষেরা।
শারীরিক উর্বরতা-
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসকল নারী শারিরিকভাবে উর্বর তাদের কন্ঠস্বরের মাধুর্যও বেশি। গবেষকরা ৬৯ জন মহিলার উপরে এই গবেষণা করেন। তাদের গর্ভকালীন সময়ে দেখা যায় যখন তারা গর্ভাবস্থার সবচেয়ে ভালো পর্যায়ে আছেন সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে তখন তাদের কন্ঠস্বরও পরিবর্তিত হয়। এই গবেষণায় আরও বেরিয়ে আসে, একজন উর্বরা নারীর কন্ঠস্বর অনেক বেশি নারীসুলভ হয় এবং বিপরীত লিঙ্গের কাছে আকর্ষণীয় হয়। ডিম্বাশয়ের উচ্চ উর্বর অবস্থায় নারী পুরুষকে তার সৌন্দর্য দ্বারা আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে এবং তার কন্ঠস্বরও তাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন