আপনার চুল যেসব কারণে অকালেই পেকে যাচ্ছে
বয়স বিশের কোঠা পেরিয়ে সবে ত্রিশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, চেহারায় এখনো উজ্জ্বল তারুণ্যের দ্যুতি। কিন্তু একী! ঘন কালো চুলের ফাঁকে ফাঁকে দেখা যাচ্ছে ধুসরের ছোঁয়া। এতো কম সময়ে কী চুল ধুসর হবার কথা? অনেকের আবার মধ্যবয়সে স্বাস্থ্য তরতাজা থাকার পরেও চুল পাকতে শুরু করে, বলাই বাহুল্য চেহারায় আসে বয়সের ছাপ। কী কারণে আমাদের কালো চুল এভাবে হারিয়ে যায়? চলুন দেখে নেই অকালে চুল পেকে যাবার কারণগুলো-
১) পারিবারিক ইতিহাস
আপনার বাবা অথবা মায়ের যদি কম বয়সে চুল পেকে গিয়ে থাকে, তবে আপনার ক্ষেত্রেও তা হবার সম্ভাবনা থাকে। এই ব্যাপারটা আসলে আপনার জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের মাঝেই থাকে। মাথায় টাক পড়ার ব্যাপারটা যেমন পারিবারিকভাবে আসতে পারে, তেমনি চুল কম বয়সে পাকার ব্যাপারটাও আসতে পারে পিতামাতা উভয়ের থেকেই।
২) আপনার একটা অটোইমিউন জটিলতা আছে
অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়াটা নামের একটি অটোইমিউন ডিজিজ আছে যা ত্বক এবং চুলকে প্রভাবিত করে অনেক বেশি। এই জটিলতায় আক্রান্ত মানুষের তালুতে ছোট গোল গোল টাক পড়তে পারে। এছাড়া তাদের পুরো মাথা এমনকি পুরো শরীরেই চুল পরে যেতে পারে। তাদের ইমিউন সিস্টেমই তাদের চুলের ফলিকলকে আক্রমণ করে ফলে চুল পড়ে যায়। এরপর সেই চুল আবার গজালে তা সাদা হয়ে গজায়। আপনার শরীরে বা মাথায় যদি এমন টাক দেখা দেয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
৩) আপনি দূষিত পরিবেশে থাকেন
টক্সিন এবং দূষক পদার্থ আপনার চুল পাকিয়ে ফেলতে পারে অকালে। এগুলো মেলানিনের উৎপাদনকে প্রভাবিত করে এবং চুল পাকার হাড় বাড়ায়। দূষণের কারণে আপনার স্ট্রেস বাড়লে মূলত সেটাই এই চুল পাকার ব্যাপারটাকে প্রভাবিত করে।
৪) আপনি প্রচুর স্ট্রেসের মাঝে আছেন
এটা আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি যে স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা মানুষের চুল পাকিয়ে দেয়। অনেক সময়েই মায়েরা বলেন বাচ্চার জন্য চিন্তায় তার চুল পেকে যাচ্ছে। এ ব্যপারে অনেক মতভেদ আছে বটে। কিন্তু আপনার জেনেটিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী যে বয়সে চুল পাকার কথা, স্ট্রেসের কারণে সেই সময়টা এগিয়ে আসতে পারে। এ কারণে এই স্ট্রেস ম্যানেজ করা দরকার আপনার।
৫) সিগারেটের ধোঁয়া
আপনি নিজেই ধূমপান করুন অথবা বাড়ির অন্য কেউ করুক, এর ধোঁয়া আপনার চুলের রঙে আনতে পারে পরিবর্তন। ধূমপায়ীদের চুল অকালে পেকে যাবার সম্ভাবনা আড়াই গুণ বেশি হয় অধূমপায়ীদের তুলনায়।
৬) আপনার হরমোনে পরিবর্তন আসছে
কয়েক বছর আগের নিজের একটা ছবি দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার চুলে সময়ের সাথে পরিবর্তন আসছে। চুলের ধরণ, ঘনত্ব এবং রঙে আসে পরিবর্তন। মূলত সময়ের সাথে হরমোনে পরিবর্তন আসে বলেই এসব পরিবর্তন আসে। চুল পাকার পেছনেও দায়ী এই হরমোন।
এছাড়াও যেসব কারণে চুল অকালে পেকে যেতে পারে সেগুলো হলো-
– প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব
– থাইরয়েডের সমস্যা
– অ্যানিমিয়া
আপনার শরীর হয়তো বেশ অনেকটা বয়স পর্যন্ত শক্তসমর্থ আছে, নিজেকে মোটেই অসুস্থ বা বৃদ্ধ মনে করছেন না আপনি। কিন্তু এরপরেও আপনার চুলে পাক ধরতেই পারে বয়সের কারণে। ৩০ বছর বয়সের পর প্রতি দশকে আপনার চুল পাকার সম্ভাবনা ১০ থেকে ২০ শতাংশ করে বাড়ে। এ কারণে কারও কারও চুল অনেকদিন পর্যন্ত কালো থাকলেও একটা সময়ে সবারই চুল ধূসর হয় আসবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন