আপনার দৈনন্দিন যে অভ্যাসগুলো আপনার হাড়ের ক্ষতি করছে
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হাড় ও পেশীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য হাড় ভাঙ্গা বা অষ্টিওপোরোসিস হওয়া প্রতিরোধ করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে। ২০ বছর বয়স পর্যন্ত মানুষের হাড়ের ঘনত্ব বেশি থাকে। এর পর থেকেই হাড়ের ভর কমতে থাকে। ফলে হাড় দুর্বল হতে থাকে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এই প্রক্রিয়াকে বন্ধ করার কোন উপায় নেই। জীবনযাপনের নির্দিষ্ট কিছু ধরণের কারণেও হাড়ের ও পেশীর ক্ষতি ত্বরান্বিত হয়। হাড়ের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু অভ্যাসের কথাই আজ আমরা জানবো।
১। ধূমপান
সিগারেটের ধোঁয়া হাড়ের স্বাস্থ্যের প্রাকৃতিক চক্রে হস্তক্ষেপ করে। ধূমপান সুস্থ নতুন হাড় গঠনের অন্তরায় এবং বিদ্যমান হাড়ের টিস্যুকে দ্রুত ভাঙ্গার কারণও সিগারেটের ধোঁয়ার উপাদান। এর ফলে অস্থি ক্রমশ দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। ধূমপান হাড়ের হ্রাস ঘটায় বছরে গড়পড়তা ২ শতাংশ। ধূমপানের পাশাপাশি মদ্যপান করলে বছরে হাড়ের ক্ষতির পরিমাণ ৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
২। ব্যায়াম না করা
অনেক বেশি খাওয়া এবং ব্যায়াম না করা বিধ্বংসী হতে পারে। শারীরিক কসরতের অভাবে পেশী দুর্বল হয়ে যায় এবং আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। ব্যায়াম করলে ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি ঘটে এবং ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে দুর্বল হাড় এবং অষ্টিওপোরোসিসের ক্ষেত্রেও উন্নতি দেখা যায়। হাড়কে শক্তিশালী করার জন্য স্ট্রেসের প্রয়োজন। সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে হাঁটলে হাড়ের উপর স্ট্রেস পড়ে এবং হাড় সুস্থ থাকে।
৩। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি
ভিটামিন ডি এর ঘাটতির ফলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়ামের শোষণ যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি করা যায় না। ফলশ্রুতিতে ক্যালসিয়াম কংকাল থেকে সংহত হয়। ফলে হাড়ের ক্ষয় হয়। দুধ পান করে যে শিশুরা তাদের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে বয়স্ক মানুষরা বেশীরভাগ সময় ঘরের ভেতরে কাটান তাদের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভিটামিন ডি এর ঘাটতির ফলে পেশী দুর্বল ও ব্যথাযুক্ত হয়। আপনি যদি খাদ্যের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ না করেন তাহলে আপনার শরীর তার প্রয়োজন মেটাতে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করবে।
৪। অতিরিক্ত কফি পান করা
অতিরিক্ত কফি পান করলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। ক্যাফেইন শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বের করে দিতে উদ্বুদ্ধ করে কিডনিকে। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে হাড়ের পুনর্নির্মাণের ক্ষমতা কমে যায়।
এছাড়াও আরো যে অভ্যাসগুলো হাড়ের ক্ষয়ের জন্য দায়ী সেগুলো হচ্ছে- সোডা বা কোমল পানীয় পান করা, দুর্ঘটনা, বংশগত রোগ মাস্কুলার ডিস্ট্রোফি, আরএসআইএস, স্পোর্টস ইনজুরি, দেহভঙ্গি ইত্যাদি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন