আপনার যে ভুলে সন্তান ক্লাসে অমনোযোগী!
সন্তানের লেখাপড়া নিয়ে সব বাবা মা অনেক ভাবে। বাচ্চাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করবে। সেই ভেবে তাদের পরিশ্রমের অন্ত নেই। কিন্তু এতো পরিশ্রমের মাঝেও নিজেদের সামান্য কিছু ভুলে সব ভাবনা সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। নিজেদের ভুলগুলো হয়তো নিজেরা বুঝতে পরেন না কিন্তু সেই ভুলে ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে সন্তানের। ভুলগুলো বুঝতে শিখুন, সুধরে নিন সময় থাকতে।
১।টিফিন: বাচ্চারা সাধারণত টিফিনের প্রতি খুব আগ্রহী হয়। টিফিন খাক আর না খাক, টিফিনে কি আছে সেটা জানার জন্য মন উতলা হয়ে থাকে। বিস্কিট,চকোলেট জাতীয় বা ভাজা জাতীয় খাবার হলে তারা খুব পছন্দ করে। আর সেগুলো খাওয়ার জন্য তারা ক্লাসের মধ্যে লুকিয়ে লুকিয়ে বক্স খুলে নেয়।ফলে শিক্ষকের গুরুত্বপূর্ণ কোন কথা এড়িয়ে যায়। আবার ক্লাসের মধ্যে লুকিয়ে খেতে না পারলেও মন পড়ে থাকে টিফিন বক্সে। ফলে ক্লাসের পড়ায় মন বসে না। তাই ক্লাসের মধ্যে খেতে পারবে না কিন্তু বাচ্চার প্রিয় এমন কোন খাবার দিন টিফিনে। তাহলে সে টিফিন পিরিয়ডে ছাড়া খেতে পারবে না।
২।বিশ্রামের অভাব: অনেক অভিবাবক আছে বাসায় বাচ্চাকে পড়ার জন্য অনেক চাপ দেয়। স্কুলের পর গোসল খাওয়া বাদে অন্য সময়টা তাকে বই আর শিক্ষক দিয়ে বসিয়ে রাখে। হয়তো বিকেলে খেলার সময় কিন্তু বিশ্রামের অভাব থেকে যায়। এতে বাচ্চা ক্লাসে ক্লান্তি অনুভব করে। অনেক সময় অনেক বাচ্চা ক্লাসে ঘুমিয়েও পড়ে।
৩।বিশেষ কোন বিষয়ে গুরুত্ব: অধীকাংশ অভিবাবক তাদের বাচ্চাকে অংক বা ইংরেজিতে বেশি করে গুরুত্ব দিয়ে পড়ায়। বাচ্চারাও ওই বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়। ফলে বাকি ক্লাসগুলোতে তারা অমনোযোগী থাকে। গল্প করে বা আঁকিবুঁকি করে। কেউ তো অন্য ক্লাসেও ইংরেজি অংক বই খুলে বসে থাকে। কারণ তারা ভাবে এই বিষয়গুলোর কোন গুরুত্ব নেই।
৪।প্রতিশ্রুতি: স্কুলের পরে এই করবো ওই করবো এমন কোন প্রতিশ্রুতি বাচ্চাকে দিবেন না। অনেক মা বাবা আছে সন্তানকে শান্ত মনে স্কুলে পাঠানোর জন্য বলে স্কুল থেকে ফিরলে আইসক্রিম দেবো বা চকোলেট দেবো। অথবা বলে ঘুরতে যাবে,পার্কে যাবো। এতে সন্তানের মন শান্ত হয় ঠিকই কিন্তু মন স্কুলে যায় না। বাচ্চা ক্লাসে বসে সারাক্ষণ এটা ভাবতে থাকে কখন স্কুল ছুটি হবে। কখন বাসায় ফিরে বাবার সাথে আইস্ক্রিম খেতে যাবো। মায়ের হাত ধরে পার্কে যাবো। এসব ভাবতে ভাবতে স্কুল ছুটি হয়ে যায় কিন্তু আপনার সন্তান স্কুল থেকে কিছুই শিখতে পারে না।
এসব ব্যাপারে তাই প্রত্যেক অভিভাবকের সচেতন হওয়া উচিত।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই: প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, প্রতিষ্ঠানিকবিস্তারিত পড়ুন
বেনাপোলের কিশোরী জোনাকির মরদেহ যশোরে উদ্ধার
যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকেবিস্তারিত পড়ুন
শিশুর স্কুল থেকে শেখা বদভ্যাস থামাবেন যেভাবে
স্কুল থেকে শিশুরা জীবনের দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকে। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নিয়মকানুনবিস্তারিত পড়ুন