আপনার স্বামী কি অসুখী?
আপনার কি কখনো সন্দেহ হয়েছে যে আপনার স্বামী আপনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অসন্তুষ্ট? একটু ভালো করে লক্ষ করলেই বুঝবেন যে, আপনার স্বামী বিবাহিত জীবনে অসুখী। দম্পতিদের সম্পর্ককে অতিষ্ঠ করে তুলতে পারে এ রকম ছয়টি সচরাচর ঘটা লক্ষণ নিয়ে মনোবিজ্ঞানীদের এবং বিয়ে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া পরামর্শ প্রকাশিত হয়েছে হাফিংটন পোস্টে।
১. সারাক্ষণ সমালোচনা
কার্ট স্মিথ, উত্তর ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক বিয়ে এবং পরিবারবিষয়ক বিশেষজ্ঞ যিনি মূলত পুরুষদের কাউন্সেলিং করে থাকেন, তাঁর মতে- অনেক পুরুষই যাঁরা বিয়ের পর নিজেকে অসুখী ভাবেন, তাঁরা প্রায়শই বলে থাকেন তাঁদের স্ত্রীরা কখনোই তাঁদের কোনো কাজের প্রতি সন্তুষ্ট নয়।
অর্থাৎ যেসব স্বামী মনে করেন, তাঁদের স্ত্রী প্রশংসা তো দূরে থাক সারাক্ষণ নিন্দামন্দই করেন, যে কোনো কাজেই স্বামীর ভুল ধরেন তাঁরা আসলে সংসারে অসুখী।
২. নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া
স্ত্রীর উচিত নয় নিজের সিদ্ধান্ত স্বামীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া। সেটা হোক পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে কিংবা বাজার করার সময়। দম্পতিরা প্রায় বিভিন্ন পার্টিতে যায়, এখন সেখানে যাওয়ার আগে যদি স্ত্রী নির্দিষ্ট করে দেন স্বামীকে লাল টাই পরতেই হবে এবং স্বামীর যদি পছন্দ হয় নীল টাই তাহলে তো ঝামেলা বাধবেই। আর এতে স্ত্রীর ওপর ক্ষোভ জমা হবে স্বামীর। ধীরে ধীরে এই ক্ষোভ পরিণত হবে বিষণ্ণতায়।
৩. খুঁতখুঁতে হওয়া
মনোবিজ্ঞানী এবং বিবাহবিচ্ছেদ মধ্যস্থতাকারী ক্রিস্টিন ডেভিন বলেন, তাঁর কাছে প্রায়ই খুঁতখুঁতে স্বভাবের অনেক স্বামী-স্ত্রী আসেন। তিনি বলেন, ‘সচরাচর আমরা যেসব গল্প শুনি তা বাস্তবে দেখা ঘটনাকেও হার মানায়। প্রায়ই দেখা যায়, স্ত্রীরা অভিযোগ করেন তাঁদের স্বামী তাঁদের কথা শোনেন না। এবং অধিকাংশ সময়ই তাঁরা স্বামীর খুঁত ধরতে ব্যস্ত থাকেন।’ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, স্ত্রীরা যদি সারাক্ষণ স্বামীর দোষের পেছনে পড়ে থাকেন তাহলে স্বামী বেচারার প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়।
৪. কর্মক্ষেত্রে বেশি সময় ব্যয়
আপনার স্বামী কি অফিসের কাজের সময় যতটুকু, তার বাইরেও অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে? আপনার স্বামী কি ছুটির দিনগুলোতেও অফিসের কাজ নিয়ে বাড়ির বাইরে সময় কাটায়? তাহলে বুঝতে হবে তিনি পারিবারিক জীবন নিয়ে সুখী নন। আর এর কারণ কী হতে পারে সেটা স্ত্রীদেরই খুঁজে বের করতে হবে। অবশ্য সব সময় যে অসুখী হলেই বাড়তি সময় কাজে ব্যয় করবে তা নয়, স্বামীদের সত্যিই কাজ থাকতে পারে।
৫. দুজনের মধ্যে সমঝোতার অভাব
প্রত্যেকেরই একটু শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য খালি জায়গা প্রয়োজন। ধরুন আপনার স্বামী যদি মাসে দু-একবার তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করেন বা ক্রিকেট মাঠে খেলা দেখতে যেতে চান, তাহলে আপনার তাঁকে ছাড়া উচিত। আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখলে স্বামী নাখোশ হবেন। সব সময়ই যদি তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে ‘না’ শোনেন, তাহলে একটা সময় পরিবার তাঁর জন্য বোঝা মনে হবে। তখন তিনি নানা মিথ্যা কথা বলেন, কাজের অজুহাত দিয়ে ঘরের বাইরে থাকবেন।
৬. গুরুত্বপূর্ণ কথায় কান না দেওয়া
আপনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছেন, দেখা গেল আপনার স্বামী সেটাতে কান দিচ্ছেন না। তাঁর মানে সংসার তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এবং সংসার তাঁর কাছে সুখের নয়। তিনি অসুখী। আপনার গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার সময় প্রায়ই যদি এমনটা হয়, তাহলে বুঝতে হবে তিনি আসলেই সুখী নন। তবে মাঝে মাঝে আপনার স্বামী তাঁর নিজের কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে পারেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন