‘আপনি আমার ধর্মের ভাই, আমার সর্বনাশ করবেন না’

পনি আমার ধর্মের ভাই। প্লিজ আমার সর্বনাশ করবেন না। আমার বয়সী আপনারও তো ছোট বোন আছে। প্লিজ প্লিজ। তারপরও লম্পট নকিব হায়দার আমার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। আমি আর বাঁচতে চাই না।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সাপোর্ট সেন্টারে ভর্তি ছাত্রীর আকুতি এটি। এভাবে আকুতি করেও লম্পটের কাছ থেকে বাঁচতে পারলেন না তিনি। লম্পট নকিব হায়দার তার সর্বনাশ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। পরে পুলিশের সহায়তা চাইলে ওই ছাত্রীটিকে নানাভাবে বিষয়টি সমঝোতার প্রস্তাব দেয়া হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুরাহার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওই ছাত্রীটি নিজের ইজ্জত হরনকারীর বিচারের দাবিতে অনড় থাকায় শেষতক মামলা রেকর্ড করতে হয়। পরে ওই বখাটে লম্পট নকিবকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রামের ঘটনা এটি। রোববার বেলা ২টায় চান্দগাঁও থানার চররাঙ্গামাটিয়া এলাকার নিজ বাসায় ধর্ষণের শিকার হয় ছাত্রীটি। ধর্ষণ করে তারই প্রতিবেশী নকিব হায়দার। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেছে। পুলিশ গভীর রাতেই নকিব হায়দারকে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা নগরীর একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তার বাবা কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সাপোর্ট সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানা পুলিশ ওই ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে ২ লাখ টাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার ও সমঝোতার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিবারের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত চান্দগাঁও থানা পুলিশ সেই ধর্ষক নকিবকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। গ্রেফতারের পর তাকে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়।
ওই ছাত্রী বলেন, রোববার দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি বাথরুমে যাই। বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখি ঘরের দরজা খোলা। আমার শোবার ঘরে লম্পট নকিব বসে আছে। আমি চিৎকার দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে জোর করে ধরে আমার জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। তার পায়ে ধরে বলি, প্লিজ আমার সর্বনাশ করবেন না। আমরা গরিব মানুষ। আমি তাকে ধর্মের ভাই ডেকে বলি, আপনারও ছোট বোন আছে। কিন্তু হিংস্র হয়ে ওঠা নকিবের মন গলেনি। আমার সর্বনাশ করে পালিয়ে যায় সে। যাওয়ার সময় বলে যায়, এ কথা কাউকে জানালে ধর্ষণের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
প্রথমে বিষয়টি গোপন করব ভেবেছিলাম। একবার আত্মহত্যা করব বলেও ভাবি। আবার মায়ের মুখচ্ছবি মনে পড়ে যায়। বাবাও নিখোঁজ। মা আমাকে ছাড়া কী করে বাঁচবে। সেই চিন্তা থেকে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি। রোববার দুপুরে ঘটনা ঘটলেও রাত ৮টার দিকে বাসায় ফিরেন পোশাক শ্রমিক মা। মেয়েকে বিমর্ষ অবস্থায় দেখে জানতে চান কী হয়েছে। অঝোর নয়নে কেঁদে তার সর্বনাশ হওয়ার কথা জানালে মা-মেয়ে দুজন কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ থাকেন বাসায়। পরে ওই লম্পটের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন