আরও ২২ কেজি স্বর্ণ জব্দ আপন জুয়েলার্সের !
গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটে আপন জুয়েলার্স শাখা থেকে ফিরে যাবার সময় অতিরিক্ত আরও ২২ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
পূর্বের হিসাব অনুযায়ী স্বর্ণ থাকার কথা ছিল ৬৮ কেজি ও ৩৩৮টি ডায়মন্ডের ছোট নাকফুল। ফেরার পথে গোপন লকার থেকে আরও ২২ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে জব্দ করা হলো মোট ৯০ কেজি স্বর্ণ।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জব্দ করা সব স্বর্ণ ও ডায়মন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এর আগে, ১৪ ও ১৫ মে অভিযান চালিয়ে রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুম থেকে ১৩ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে সাময়িক জব্দ করা হয়। এগুলো পরে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেয়া হয়।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক (এডি) আরজিনা খাতুনের নের্তৃত্বে গুলশান-১ ডিএনসিসি মার্কেট শাখায় স্বর্ণ জব্দের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এছাড়া পৃথক পাঁচটি দল রোববার সকাল ৯টায় একযোগে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো-রুমে এ প্রক্রিয়া শুরু করে। শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক (এডি) আরজিনা খাতুন এ ব্যাপারে বলেন, আপন জুয়েলার্সকে সময় দেয়া হয়েছিল। তারা তিন দফায় সময় নিয়েও স্বর্ণের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। যে কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিএনসিসি মার্কেট শাখায় মোট ৬৮ কেজি স্বর্ণ ও ৩৩৮টি ডায়মন্ডের নাকফুল ছিল জব্দের তালিকায়। ফেরার পথে গোপন লকার থেকে আরও ২২ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। পুলিশ ও র্যা ব পাহারায় জব্দ করা ৯০ কেজি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়- এমন অভিযোগ এনে বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী দুই তরুণী। মামলায় অভিযুক্ত একজন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে সাফাত আহমেদ। সাফাতসহ পাঁচ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
ওই ঘটনার পর আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ‘অবৈধ সম্পদ’ খুঁজতে তার প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। এছাড়া বিভিন্ন মহল থেকে আপন জুয়েলার্স বর্জনেরও দাবি ওঠে।
শুল্ক গোয়েন্দারা গত ১৪ ও ১৫ মে আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের পাঁচটি শো-রুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৩.৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে সাময়িকভাবে জব্দ করে। এগুলো পরে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেয়া হয়।
আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে তিনবার সুযোগ দিলেও তারা কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। তবে আপন জুয়েলার্স মালিকপক্ষের দেয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন প্রকৃত গ্রাহককে মেরামতের জন্য জমা রাখা প্রায় ২.৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন