আপিল খারিজ, দায় স্বীকার বার্সা কোচের
রেফারির প্রতি আপত্তিকর প্রতিক্রিয়া জানানোর শাস্তি হিসেবে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা মেনে নিয়েছেন বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক। তবে একই ধরনের আচরণে অন্য কোচদের প্রতিও সমান বিচার করতে রেফারিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রিয়াল বেতিসের মাঠে খেলতে গিয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সেলোনার জার্মান কোচকে।
২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিতর রকেকে ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করে বেতিসকে পেনাল্টি দেন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। ভিএআর মনিটরে অনেকটা সময় নিয়ে রিভিউ দেখে এই সিদ্ধান্ত নেন রেফারি। তখন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোয় লাল কার্ড দেখেন ফ্লিক।
ম্যাচ শেষে রেফারি আলেহান্দ্রো মুনিয়েস রুইস অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ফ্লিক চিৎকার ও আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করে তার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য বার্সা কোচ বলেন, তার ওই প্রতিক্রিয়া রেফারির উদ্দেশে ছিল না।
তিনি বলেন, “আমি কাউকে কিছু বলিনি। এটি কেবল আমার নিজের একটি প্রতিক্রিয়া ছিল।”
তবে তাতে মুক্তি মেলেনি এই কোচের। লাল কার্ডে পর লিগের পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্যও তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় লা লিগায় কর্তৃপক্ষ। এই শাস্তি থেকে রেহাই পেতে আপিল করেছিল বার্সেলোনা, কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে ফ্লিকের ওপর শাস্তি বহাল রেখেছে লিগ কর্তৃপক্ষ। ফলে রবিবার লেগানেস ও তার পরের ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ডাগআউটে দেখা যাবে না বার্সা বসকে।
লেগানেস ম্যাচের আগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন চলাকালে ফ্লিকের শাস্তির প্রসঙ্গটি তোলেন এক সাংবাদিক। উত্তরে নিজের শাস্তি মাথা পেতে গ্রহণ করেছেন বলে জানান এই জার্মান কোচ।
তিনি বলেন, “আমার প্রতিক্রিয়া যে সঠিক ছিল না, তা আমি মেনে নিচ্ছি। মৌসুমের শুরুতে আমি নিজেই বলেছিলাম, রেফারির সঙ্গে তর্ক করা ঠিক নয়। কারণ রেফারি যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তা আর পরিবর্তন হয় না। ফলে তর্ক করে শক্তি ও সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। তাই লাল কার্ড ও শাস্তি মেনে নিচ্ছি। (লা লিগায়) আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই লাল কার্ড খেয়ে বসলাম। বিষয়টি নিয়ে আর কিছু বলার নেই। আমার হয়তো নিজের আচরণের ওপর কাজ করতে হবে।”
শাস্তি মেনে নিলেও একই ধরনের কর্মকাণ্ডে অন্য কোচদের সঙ্গেও যেন সমান বিচার করা হয়, সেই আবেদনও জানিয়ে রাখলেন ৫৯ বছর বয়সী এই কোচ। তিনি বলেন, “আমি চাই, অন্য দলগুলোর সঙ্গেও রেফারিরা একই কাজ করুক। তবে (এক্ষেত্রে) রেফারিদেরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। আমরা সবাই মানুষ এবং ভুল করে থাকি। আমি লাল কার্ড দেখেছি এবং তা মেনে নিয়েছি। আবেগের ওপর আমার আরও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।”
ফ্লিকের অধীনে দুর্দান্তভাবে মৌসুম শুরু করলেও সম্প্রতি সেই ছন্দ হারিয়েছে বার্সেলোনা। লা লিগায় সবশেষ পাঁচ ম্যাচের মাত্র একটিতে জিততে পেরেছে তারা, বাকি চার ম্যাচের দুটি হেরেছে ও দুটি ড্র করেছে। তারপরও লিগ টেবিলে শীর্ষে রয়েছে কাতালান ক্লাবটি। ১৭ ম্যাচে ১২ জয় ও দুই ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে কাতালান জায়ান্টরা। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ রয়েছে মাত্র দুই পয়েন্ট পেছনে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
গবেষণা: শৃঙ্খলাহীন ঘুম ডেকে আনে হার্ট অ্যাটাক-স্ট্রোক
কারও কারও ঘুমানোর সয়ম একেবারে বাঁধা। কেউ সে সবের ধারপাশবিস্তারিত পড়ুন
তারেক রহমান: জনসমর্থন থাকায় বিএনপি অনেকের হিংসার কারণ
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন বিএনপি’র সঙ্গে রয়েছে দাবি করে দলটিরবিস্তারিত পড়ুন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা: নরেন্দ্র মোদির ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানাবে ঢাকা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন