আপু রিকশায় উঠলে ওড়নাটা সাবধান!
সাধারণ মানুষের জন্য কম খরচে আয়েসে চলাচলের একমাত্র বাহন পরিবেশ বান্ধব রিকশা। অদূরে যেতে গাড়ির ভেতর গরমে সেদ্ধ হওয়া বা ঠেলাঠেলি করার চেয়ে ছোট্ট রিকশায় করে যাতায়াতই নিরাপদ। কিন্তু এই নিরাপদ নিরীহ বাহনটি কখনো হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। একা যেতে বেখেয়ালে বা দুজনে গল্প মত্ত থাকা অবস্থায় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। রিকশার চাকায় ওড়না বা শাড়ির আঁচল পেচিয়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা অনেক বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাকায় কাপড় জড়ানো হতে পারে মৃত্যুর কারণ! সেজন্য রিকশায় চলাচলের সময় সাবধান থাকতে হবে। ওড়নাটা সাবধান রাখুন আর নিরাপদে রিকশায় চলতে-
* একা যাওয়ার সময় নিজের কাপড় ভালো করে গুছিয়ে বসতে হবে।
* হাতের ব্যাগ দিয়ে ওড়না বা আঁচল চাপা দিয়েও রাখতে পারেন, যাতে বাতাস লেগে বারবার উড়ে না যায়।
* একটু পর পর পরনের কাপড় উড়ে চাকার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে কিনা দেখে নিতে হবে।
* সঙ্গী থাকলে গল্পে মত্ত হয়ে যাওয়া ঠিক নয়। মনোযোগ গল্পের মধ্যে বেশি থাকলে সাবধানতার ঘাটতি হতে পারে।
* হাতে অনেক জিনিস থাকলে তা পায়ের কাছে রেখে নিজের ওড়না বা আঁচল গুছিয়ে কোলের ওপর রাখুন।
* সঙ্গে বাচ্চা থাকলে নিজের ও বাচ্চার কাপড় গুছিয়ে তবে চালককে রিকশা চালানোর অনুমতি দিন।
* রিকশায় চলার সময় অবশ্যই চালকের সিটের নিচের রডে পা ঠেস দিয়ে বসুন, যাতে ছোট খাটো দুর্ঘটনায় নিজের শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।
* পরনের কাপড় সিনথেটিক হলে অবশ্যই সেফটিপিন লাগাতে হবে। এতে করে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কম থাকে। কারণ, সেফটিপিন ছাড়া সিনথেটিক কাপড় সামলানো কষ্টকর হয়।
* রিকশায় চলার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা বা ফেসবুকিং করার সময় এধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই যথা সম্ভব সাবধানে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
* রিকশার কোনো যাত্রীকে এধরণের দুর্ঘটানার সম্মুখিন দেখলে অবশ্যই তাকে সাবধান করতে হবে। অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার মুখে যেন কেউ না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন