আফগানিস্তানের মত দলের বিপক্ষে কবে বিগ ইনিংস খেলবেন ব্যাটসম্যান তামিমরা!

বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা কি আফগানিস্তানের মত আইসিসির সহযোগি সদস্য দেশ গুলোর সাথে খেলার সময় একটু বেশি আত্মতুষ্টিতে ভোগেন? নাকি মনোসংযোগের মাত্রা কম থাকে?
পরিসংখ্যান কিন্তু তাই বলবে। আইসিসির সহযোগি সদস্য আফগানিস্তানের সাথে চার ম্যাচে বাংলাদেশের কারো সেঞ্চুরি নেই। সর্বাধিক ৮০ রান তামিম ইকবালের। চলতি সিরিজের প্রথম খেলায় ইনিংসের ৮৯ বল বাকি থাকতে শতরান থেকে ২০ রান দুরে আউট হয়েছেন দেশের এক নম্বর ওপেনার।
শুধু আফগানিস্তানই নয়। এ মুহুর্তে আইসিসির অপর যে দুই সহযোগি সদস্য দেশ ক্রিকেটের উঠতি শক্তি, সেই আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের লম্বা ইনিংস কম। স্কটিশদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যে চার ম্যাচ খেলা হয়েছে, তাতে শতভাগ সাফল্য থাকলেও একজন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান এখন পর্যন্ত তিন অংকে পৌছাতে পারেননি।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত এক ম্যাচে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইনিংস (৯৫) তামিম ইকবালের। এখন পর্যন্ত কোন সেঞ্চুরি নেই। তবে ২০১৫ সালের ৫ মার্চ নেলসনে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ৪ উইকেটে জয়ের অন্যতম রূপকার তামিমের ওই ইনিংসটি।
তবে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সেঞ্চুরিয়ান দু`জন। যার একজন জুনায়েদ সিদ্দিকী। আর অন্যজন তামিম ইকবাল। শক্তি, সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতায় অনেকটা পথ পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাট জ্বলে উঠুক- এটা যে শুধুই ভক্ত ও সমর্থদের প্রত্যাশা তা নয়, টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজারও চাওয়া।
তবে তার সে চাওয়া এখনো অপূর্ণ। তিনি মনে করেন, তুলনামুলক দূর্বল দলগুলোর সাথে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি বেশি বড় ইনিংস খেলা উচিৎ। শুক্রবার প্রেস কনফারেন্সে এমন কথা বেরিয়ে এসেছে মাশরাফির মুখ থেকে।
তার ব্যাখ্যা, `আমি লক্ষ্য করেছি, কুমারা সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়বর্ধনে আমাদের সাথে সেঞ্চুরি করতে পারলেই ডাবল সেঞ্চুরি কিংবা দেড়শোর করার চিন্তায় থাকতেন। করেছেনও বেশ কবার। আমার আশা, আমাদের ব্যাটসম্যানরাও আমাদের চেয়ে দূর্বল ও কমজোরি বোলিং শক্তির বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পেলেই দীর্ঘ ইর্নিস সাজাবে।’
মাশরাফির দাবি, এটা নিয়ে ক্রিকেটারদের সাথে তার কথা হয়েছে। তিনি তাদের বলেছেন, `কার সঙ্গে হলো সেটা বড় নয়। রেকর্ড রেকর্ডই। যার বিরুদ্ধেই হোক না কেন, বড় ইনিংস খেললে সেটাই রেকর্ডের পাতায় লিখা থাকবে। কাজেই তুলনামূলক কমজোরি বোলিং শক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশি বড় ইনিংস সাজানোর চেষ্টা থাকা উচিৎ।`
এক্ষেত্রে মাহেলা জয়বর্ধনে ও কুমারা সাঙ্গাকারাকে অনুসরণের কথা বলেছেন মাশরাফি, ‘আমাদের পেলেই সাঙ্গাকারা ও জয়বর্ধনের রান ক্ষুধা বেড়ে যেত। ও লম্বা ইনিংস খেলার আগ্রহও থাকতো বেশি। আমাদেরও তেমন হওয়া উচিৎ।’
টাইগার অধিনায়কের কথা সত্য। সাঙ্গাকারার একমাত্র টেস্ট ট্রিপল সেঞ্চুরি বাংলাদেশের বিপক্ষে। একজোড়া ডাবল সেঞ্চুরিও আছে। অধিনায়ক মাশরাফির প্রত্যাশা কবে মিটবে কে জানে?
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এমনিতেই বড় ইনিংস কম। আর নিজেদের চেয়ে দূর্বল বোলিং শক্তির বিরুদ্ধে যদি বিগ হান্ড্রেড হাঁকাতে না পারে, বড় শক্তি গুলোর বিরুদ্ধে সে সম্ভাবনা দিনকে দিন আরও কমবে। অতএব, এখনই সুযোগ।
আফগানিস্তানের সাথে এবার ঘরের মাঠে দুই ম্যাচে হয়নি। শেষ ম্যাচ কেউ সেঞ্চুরি করলেও বোঝা যাবে অধিনায়কের প্রত্যাশা মেটাতে ব্যাটসম্যানরা তৎপর। সচেষ্ট। শনিবার শেষ ম্যাচে কেউ কি শতরান করতে পারবেন?
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।বিস্তারিত পড়ুন

বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথমবিস্তারিত পড়ুন

শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ৫ নম্বর সড়কে আওয়ামী লীগ সভাপতিবিস্তারিত পড়ুন