আফ্রিদিরা কলকাতায়, যেভাবে-
শনিবার রাতে আফ্রিদিরা এলেন কলকাতায়, রাতের কলকাতাকে চিনতেই পারছিলেন না শাহিদ আফ্রিদি! মনে করা হচ্ছিল দীর্ঘ নাটকের পর আসা পাকিস্তান টিমকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু সিএবির শীর্ষ কর্তারা তা করেননি। সিএবির প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ধারেকাছেও দেখা যায়নি এ সময়।
অবশ্য কৌতূহলী সাংবাদিকদের সিএবির একজন কর্মকর্তা জানালেন, আইসিসির টুর্নামেন্ট খেলতে আসা টিমকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর রেওয়াজ নেই। দুই স্থানীয় ম্যানেজার মইন বিন মকসুদ ও দানিশ শেঠ ছাড়া তাই সিএবির কোনো প্রতিনিধিত্ব এই রাতে ছিল না।
আফ্রিদিদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবশ্য পুরোদমেই ছিল দমদম বিমানবন্দর এবং টিম হোটেলে। অভিবাসন কাউন্টার থেকে টিম বাস—এই রাস্তাটা আসতেই আফ্রিদিদের পেরোতে হয়েছে নিরাপত্তার চার-চারটি স্তর।
সিআইএসএফ, বিধাননগর পুলিশ স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ, কলকাতা পুলিশের কমান্ডো ও র্যাফ মিলিয়ে প্রায় দেড়শো জনের নিরাপত্তা বাহিনী। ছিল স্নিফার ডগও। বিমানবন্দর থেকে আলিপুরের হোটেলে আফ্রিদিদের নিয়ে আসার সময় গোটা রাস্তা টিম বাসের সামনে ছিল সেই কমান্ডো বাহিনী। এমনকি একটা ডামি বাসও!
আবুধাবি থেকে এসে রাত পৌনে ৮টা নাগাদ শহরে পা দেওয়া, সাড়ে ৯টায় আলিপুরের টিম হোটেলে ঢোকা— প্রায় দুই ঘণ্টার যাত্রাপথ ছিল অবশ্য একেবারেই ঝঞ্ঝাটহীন। বিমানবন্দরে শ’দুয়েক ক্রিকেট পাগল পাক তারকাকে দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন বিকেল থেকেই। টার্মিনাল থেকে বেরোতে না বেরোতেই তাদের চিৎকারে প্রথমে কিছুটা হতভম্ব দেখাল পাক অধিনায়ককে। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে জমায়েতের উদ্দেশে হাত নেড়ে বাসের দিকে হাঁটা দিলেন আফ্রিদি। তার একটু পরেই দীর্ঘকায় পেসার মোহাম্মদ ইরফান। শহরের ক্রিকেটভক্তদের প্রথমটায় একবার ভালো করে মেপে নিয়ে তারপর তাদের দিকে চোখ টিপে উঠে পড়লেন বাসে। এই দুজনের ফাঁকে, কেউ ভালোভাবে নজর কড়ার আগেই বেরিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ আমির। ভিড়টা কিন্তু তার পরেও খুঁজে গেল পাক পেসারকে!
আফ্রিদিরা যে কতটা ফুরফুরে মেজাজে, বোঝা গেল বাস ছাড়ার পর। স্থানীয় ম্যানেজারের কাছে পাক ম্যানেজার ইন্তিখাব আলম জানতে চান গুলাম আলির কলকাতা-কনসার্টের ব্যাপারে। নিউটাউনের রাস্তায় ঢুকতে না ঢুকতেই নাকি আফ্রিদি বলে ওঠেন, ‘আরে! তোমাদের শহরটাকে তো রাতে চেনাই যাচ্ছে না। চারদিকে এত আলো! সত্যি কলকাতা অনেক পাল্টে গিয়েছে।’
রাস্তার দুধারের বহুতলগুলো দেখতে দেখতে আবার আমিরের রসিকতা, ‘জানেন, আমিও কিন্তু ধনী পরিবারের ছেলে। বাড়িতে ১১১টা মোষ আছে। যার প্রত্যেকটা তিরিশ কেজি দুধ দেয়!’ যা নিয়ে বাসের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় ইরফানদের হাসাহাসি। যার রেশ চলল হোটেল পর্যন্ত।
একটা ব্যাপারে অবশ্য প্রচণ্ড সিরিয়াস নির্বাসন কাটিয়ে টিমে ফেরা পাক পেসার। গোটা টিম যখন স্থানীয় সিম কার্ড নিতে ব্যস্ত, শুধু তিনি তা একেবারেই নিতে চাইলেন না। বরং স্থানীয় ম্যানেজারকে বলে দিলেন, ‘ও সব থেকেই যত ঝামেলা! আমার দরকার নেই। আপনার মোবাইল থেকেই না হয় বাড়িতে ফোন করে দেব।’
টিম ডিনারে আবার দেখা গেল পাক সৌজন্য। দুই স্থানীয় ম্যানেজারের জন্য টিম জার্সি নিয়ে নামেন আফ্রিদি। তাদের ডেকে নেন টিমের ‘নো কার্বোহাইড্রেট, নো ডেজার্ট’ নৈশভোজে। এভাবেই আফ্রিদিরা কলকাতায় মানিয়ে নিলেন নিজেদের।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন