বড় জয় দিয়ে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) উড়ন্ত সূচনা করেছিল আবাহনী লিমিটেড। দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই হোঁচট খেল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে। গত মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় শেষ বলে শেখ জামালের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল পাঁচ রানের। তবে সেদিন ম্যাচের শেষ বলে তাসকিন আহমেদের বলকে বিশাল এক ছক্ক হাঁকিয়ে শেখ জামালকে নাটকীয় জয় পাইয়ে দেন মুক্তার আলী।

মঙ্গলবার মিরপুরে অনেকটা আবাহনীর কাছ থেকে এক প্রকার ম্যাচটি ছিনিয়ে নিয়েছে শেখ জামাল। তাই পুরানো ওই ম্যাচটির কথা আর না ভেবে, সামনের দিকে দৃষ্টি রাখতে চান তাসকিন। শনিবার বিকেএসপিতে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে খেলবে আবাহনী। তাই সামনের ম্যাচে ভালো বোলিং করে ঘুরে দাঁড়াতে চান তিনি।

প্লেয়ার্স ড্রাফটে এবার সেরা দল গড়েছে আবাহনী। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ভালো খেললেও দ্বিতীয় ম্যাচে এসে পরাজয়ের স্বাদ পেল আবাহনী। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের তৃতীয় রাউন্ডে জয়ের ধরায় ফিরতে মরিয়া ক্লাবটি। তাই শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমী ভবন মাঠে ঘাড় ঝরিয়েছেন জুবায়ের-তামিমরা। পরে অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তাসকিন আহমেদ।

আগের ম্যাচের শেষ বলের প্রসঙ্গে তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আর আগের সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবছি না। আমাদের দৃষ্টি রয়েছে সামনের ম্যাচের দিকে। সামনের ম্যাচে ভালো বোলিং করে দলের জয়ে অবদান রাখতে চাই।’

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এ পর্যন্ত মাত্র দুই রাউন্ডের খেলা সম্পন্ন হয়েছে। এখনো প্রথম পর্বে নয় রাউন্ডের খেলা বাকি আছে। তাই একটি ম্যাচ হেরে গেলে শিরোপা রেস থেকে ছিঠকে পড়েনি আবাহনী। তবুও সামনের ম্যাচে সতর্ক আবাহনী।

এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘শেখ জামালের কাছে হেরে যাওয়ায় লিগের প্রতিটি ম্যাচই এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখন আমাদের আর পয়েন্ট হারালে চলবে না। ব্যাটসম্যানদের যেমন ধারবাহিকভাবে ভালো বোলিং করতে হবে। তেমনি বোলারদের পারফরস্যান্স থাকবে চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে আগামী ম্যাচগুলোতে ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করে নিজের হারানো আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে নিয়ে চাই। বলতে পারেন ঢাকা লিগের সামনের ম্যাচগুলো আমার জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর বড় রকমের চ্যালেঞ্জ। তাই আমি এই চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে চাই। ’

গত মঙ্গলবার শেখ জামালের শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ রানের। প্রথম ৫ বলে ২ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে মাত্র ২ রান। তাই সেদিন শেষ বলে প্রযোজন দাঁড়ায় ৫ রান। কিন্তু তাসকিনের শেষ বলে ছক্কা হয়ে যায়।

এ বিষয়ে তাসকিন বলেন, ‘ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। সেদিনের ঘটনায় আমাকে দারুণ পীড়া দিয়েছে। তাই বলে একটুও ভেঙ্গে পড়েনি। ক্রিকেট ম্যাচে আপনি একদিন জিতবেন তো পরের দিনে আবার হারবেন। তবে ওই ঘটনা থেকে আমাকে সামনের ম্যাচগুলোতে আরো ভালো বোলিং করতে উৎসাহ যোগাবে।’