আবার শিক্ষক হত্যার চেষ্টা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনো কাটেনি। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো শোকের আবহ বিদ্যমান। অথচ তার এক মাস না পেরোতেই আবারও আক্রান্ত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুজ্জামান ও তাঁর বন্ধু বাউলভক্ত হোমিও চিকিৎসক সানাউর রহমান। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালায়। সানাউর ঘটনাস্থলেই মারা যান। সাইফুজ্জামানকে গুরুতর অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুপুর পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, তাঁকে ঢাকা আনার প্রস্তুতি চলছে। আর কত? এখন এই একটাই প্রশ্ন শিক্ষাঙ্গনসংশ্লিষ্ট ও সংস্কৃতিপ্রেমী প্রত্যেক মানুষের মনে। এদিকে প্রগতিশীল লেখক, প্রকাশক, ব্লগার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছয়জনের ছবি প্রকাশ করে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। কিন্তু একের পর এক ঘটে চলা হত্যাকাণ্ড তাতে থামবে কি? আর হত্যাকাণ্ড চলতে থাকলে পুলিশ কি নিয়মিতভাবে এমন পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে যেতেই থাকবে?
অনলাইনে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, দুজনই বাউলভক্ত ও খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। এর আগেও বাউল মতের অনুসারী অনেকের ওপর হামলা করেছে মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠী। গতকালের ঘটনাটি এমন নয় যে সামনে পড়ে যাওয়ায় হঠাৎ করেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর জন্য হামলাকারীরা নিশ্চয়ই সময় নিয়ে পরিকল্পনা করেছে। তারা আগে থেকেই জেনেছে যে এই চিকিৎসক প্রতি শুক্রবার শিশিরপাড়া মাঠ এলাকায় দরিদ্র রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিতে যান। তারা তাঁর যাওয়া-আসার পথে নজর রেখেছে এবং পরিকল্পিতভাবেই হামলা চালিয়েছে। কিন্তু পুলিশ বা গোয়েন্দারা তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেনি। যেমন জানতে পারেনি অতীতের ঘটনাগুলোতেও। এই ব্যর্থতার দায় কি পুলিশ অস্বীকার করতে পারবে? আমরা জানি, আমাদের পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সংখ্যা কম, তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট কম, সুযোগ-সুবিধাও কম। কিন্তু তার চেয়েও কম হচ্ছে অপরাধ দমনে তাদের আন্তরিকতা। ফলে অপরাধ দমনের চেয়ে ব্যক্তিগত লাভের দিকেই তাদের আগ্রহ বেশি। এ ধারায় পরিবর্তন না আনা গেলে অপরাধ বাড়তেই থাকবে বলে মনে করেন অপরাধবিশেষজ্ঞরা। সে ক্ষেত্রে পুরস্কার ঘোষণা করেও খুব একটা লাভ হবে না। পুলিশই বলছে, অনেক খুনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কিভাবে গেল? তাদের ধরা গেল না কেন? এই ব্যর্থতা কার? কাজেই পুরস্কার ঘোষণাতেই দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে—এমন ভাবলে হবে না। পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সততা, আন্তরিকতা ও জবাবদিহি বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। আর যাতে এমন একটি ঘটনাও না ঘটে সেই লক্ষ্য নিয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে—এমনটাই প্রত্যাশিত।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রোজার দ্বিতীয় দিনেও বাজারে নেই সয়াবিন তেল
রোজার মাসখানেক আগে থেকেই বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দেয়,বিস্তারিত পড়ুন

টানা ৩ দিন কমতে পারে দিন ও রাতের তাপমাত্রা
সারাদেশে আগামী ৩ দিন টানা দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতেবিস্তারিত পড়ুন

ফেনীতে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
ফেনীতে একটি হাসপাতালে রোগীর জরায়ুতে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায়বিস্তারিত পড়ুন