আবেগময় জয় পাকিস্তানের
ক্রিকেটীয় দৃষ্টিতে খুব সাধারণ একটা ম্যাচ, অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের সাধারণ একটা জয়।
কিন্তু আরেক দিক দিয়ে পাকিস্তানের জন্য এ জয়টা আবেগময়। একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য ছয় বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। অপেক্ষার প্রহর শেষ হওয়াটা নিশ্চয় আনন্দের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ প্রত্যাবর্তনটা স্মরণীয় করেই রাখল পাকিস্তান। জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফ্রিদির দল।
ম্যাচ শেষে শহীদ আফ্রিদি তাই বললেন, ‘এটা বিরাট এক উপলক্ষ্য। সে উপলক্ষ্যকে আরও বড় করে তুলেছে এ জয়।’ এমনিতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে উৎসবের আবহ। তবে উৎসব হলো কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই। পথে পথে কড়া নিরাপত্তা, ক্রিকেটপাড়ার আশপাশে বন্ধ সব দোকানপাট আর হাজার হাজার পুলিশে ঘিরে থাকল স্টেডিয়াম।
জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনার আহমেদ শেহজাদ-মুখতার আহমেদ যেভাবে এগোচ্ছিলেন, তাতে জিম্বাবুয়ের সামনে বড় পরাজয়ই চোখ রাঙানি দিচ্ছিল। ৮০ বলে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি তুলল ১৪২ রান। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ ১৪২ রান তুলেছিল কামরান আকমল-সালমান বাট, বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আজ আকমল-বাটের রেকর্ড ছুঁলেন শেহজাদ-মুখতার।
৫৫ রান করে শাহজাদ ফিরলে হঠাৎ ছন্দপতন। ২৭ রানে পড়ল পাকিস্তানের ৫ উইকেট। অবশ্য শেহজাদ-মুখতার যেভাবে ভিত গড়ে দিয়েছিলেন, তাতে সাময়িক বিপর্যয়ের পরও জয়ের দেখা পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের। পাকিস্তানের ইনিংসের বড় দিক ছিল মুখতারের ৪৫ বলে ৮৩ রান। দারুণ ইনিংস খেলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হলেন ম্যাচসেরা। ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ১২ চার ও ৩টি ছয়ে।
এর আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানের সামনে ছুড়ে দেয় ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জ। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা আর ভুসি সিবান্দার ৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটি বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে জিম্বাবুয়েকে। ২৭ বলে ৩ রান করেন মাসাকাদজা। সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ সামির পরপর দুই বলে মাসাকাদজা ও সিবান্দা আউট হয়ে গেলেও সেই ধাক্কার আঁচ লাগেনি জিম্বাবুয়ের ইনিংসে।
দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে ৩৫ বলে ৫৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা। জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ হয় ৬ উইকেটে ১৭২ রানে। ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান মোহাম্মদ সামি। অবশ্য মুখতার-শেহজাদের নৈপুণ্যে জিম্বাবুয়ের চ্যালেঞ্জিং ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত বৃথাই গেল। তথ্যসূত্র: টেন ক্রিকেট।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন