মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

‘আব্বা, তুমি ভিক্ষা করে টাকা পাঠাও, নইলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে’

“আব্বা, তুমি ভিক্ষা করে টাকা পাঠাও। নইলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে মেডিকেলে নিয়ে আমার কিডনি বিক্রি করে ফেলবে।”

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাব-৩-এর দপ্তরে সাংবাদিকদের সামনে এভাবেই ছেলের দুঃসহ প্রবাসজীবনের বর্ণনা দিচ্ছিলেন সিলেটের দরিদ্র কৃষক কনু মিয়া। চাকরির নামে বিদেশ পাঠিয়ে কানুর ছেলেকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করছিল পাচারকারীরা।

কানু জানান, ছেলেকে মুক্ত করতে নিজের শেষ সম্বল দুই কানি জমি দেড় লাখ টাকা, বিয়াইয়ের দেওয়া গরু সাড়ে ১৭ হাজার টাকা বিক্রি করেও পাচারকারীদের চাহিদা মেটাতে পারছিলেন না। পরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি র‌্যাবের শরণাপন্ন হন। তিনি বলেন, “আমার সব শেষ, আর কিছু নেই।”

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার।

এর আগে সুদান ও লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- আবদুল কাইয়ুম, খোকন আহমেদ আজগর ওরফে আলী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. নাসির উদ্দিন, ফারুকুল ইসলাম রাসেল, মো. রুবেল হাওলাদার ও মো. বাদল হাওলাদার।

খন্দকার গোলাম সারোয়ার বলেন, “ছেলে সমর আলীকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কানু মিয়াকে কাইয়ুমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন পাশের গ্রামের দিদার খাঁ। সাড়ে চার লাখ টাকায় ছেলেকে লিবিয়ার ভিসা দেয়া হবে বলে রফা হয়। সে অনুযায়ী বিমানবন্দরের ওপেন হোটেলে কাইয়ুমকে দুই লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন কনু মিয়া। বাকি দুই লাখ টাকা বিদেশে যাওয়ার পর দেয়া হবে বলে মৌখিকভাবে চুক্তি হয়। জাল পাসপোর্ট দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ভিজিট ভিসায় সমর আলীকে সুদানে পাঠায় ওই চক্রটি। এর দুই দিন পরে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে সমর আলী তার বাবাকে ফোন করে বলেন, “আব্বা আমি সুদানে আসছি। কিন্তু কাইয়ুমের লোকজন আমাকে মারধর করছে।” এরপর কনু মিয়া ঢাকায় এসে কাইয়ুমের সঙ্গে যোগাযোগ করে চার কিস্তিতে পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু তার পরও কাইয়ুম তার কাছে আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন।

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আবদুল কাইয়ুম, ফারুকুল ইসলাম রাসেল ও জাহাঙ্গীর আলমের সহযোগিতায় খোকন সুদানে অবস্থানকারী শাহিন, দেলোয়ার, অলিল, সোহাগ, জহির ও লিটন- এই চক্রের সহযোগিতায় সুদানে দুই-তিন মাসের ভিজিট ভিসার ব্যবস্থা করে দেয়। যে নামে ভিসা বের করত, কাইয়ুম সেই নামেই জাল পাসপোর্ট তৈরি করত। রুবেল ভুয়া জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতা করত। অন্যদিকে কাইয়ুমের অপর সহযোগী টিকেট করে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার করার বিষয়ে সহযোগিতা করত। খোকন প্রথমে সুদানে যাত্রীদের আটক রেখে তার পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায় করত। পরে পাসপোর্ট নিজেদের কাছে নিয়ে লিবিয়ার একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে ট্রাকে করে লিবিয়ায় পাচার করত।

খন্দকার গোলাম সারোয়ার বলেন, কানু মিয়ার ছেলে সমর আলী এখন লিবিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাসে আছেন। সমর আলী শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাকে বাংলাদেশের দূতাবাসের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন

জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন

  • শাকিব: আমার ক্যারিয়ারের সব বিগ হিট সিনেমা ঈদ ছাড়াই এসেছে
  • এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯%
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১০ মৃত্যু
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার পরামর্শ কমিশনের
  • দেশের সংকটে যে সমাধান দেখছেন তারেক রহমান
  • যে কারণে প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • ‘হেফাজতের আপত্তির মুখে’ নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা বন্ধ
  • স্বর্ণের দামে ফের বড় লাফ, এগোচ্ছে নতুন রেকর্ডের দিকে
  • টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
  • রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
  • যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা