আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এটাই সত্যি
বরাবরই দেখেছি, দেখা থেকে বলেছি ও লিখেছি, তামিম ভালো না খেললে এসব ম্যাচ আমরা জিততে পারি না। আজকে ব্যতিক্রমের আশা করেছি। হয়নি।
একজনের ওপর এত বড় নির্ভরতা অবশ্যই আদর্শ কিছু নয়। কিন্তু আপাতত এটাই বাস্তবতা। বিদেশের মাটিতে এরকম রান তাড়া করতে হলে তামিম ছাড়া আমাদের চলেই না। এভাবে তো দিনের পর দিন চলবে না। একটা সময় শুরু করতে হবে, টপ অর্ডারে সৌম্য, সাব্বিরদের ব্যাটে একই নির্ভরতা দেখতে চাইব। আপাতত সেই অপেক্ষায় থাকতে পারি আমরা।
শ্রীলঙ্কা যেভাবে শুরু করেছিল, তার পর আমাদের বোলাররা দারুণ ভাবেই ফিরেছিল। ক্যাপ্টেন্সির প্রশংসাও করতে হয় (নতুন কিছু না)। শেষ দিকে থিসারা পেরেরা সব গড়বড় করে দিয়েছে। থিসারা রিদমে থাকলে যে কোনো অ্যাটাককেই ভোগতে পারে। ওরাও খেলতেই নেমেছে। কিছু তো করবেই!
প্রয়োজন ছিল গোছানো রান তাড়া। ১১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে সব অগোছালো। জয়টা তখনই প্রায় অসম্ভব। ইনিংস গড়তে বা এগিয়ে নিতে গোলমাল পাকালে সেসব নিয়ে আলোচনা করা যায়। শুরুতেই আউট হলে তেমন কিছু বলার থাকে না।
সৌম্য সেট হয়ে আরও একবার আউট হয়েছে। তবে ডেলিভারিটিও অসাধারণ ছিল মানতে হবে।
সাকিব যে শটে আউট হয়েছে, সেটি ফিল্ডারের ওপর দিয়ে গেলেই আমরা বলতাম দারুণ ইনসাইড আউট শট। পারেনি, আউট হয়েছে। তার আগে যেভাবে রিস্ক ফ্রি খেলেছে, আমার দারুণ লেগেছে। পি সারায় সেই ৮ বলের পাগলামির পর থেকেই দারুণ আস্থায় খেলছে, এটাই সবচেয়ে ভালো লাগছে। একটাই শুধু একটু আপত্তি, মোসাদ্দেক আউট হওয়ার পরের ওভারেই ওই শট খেলার চেষ্টা না করে আরেকটু পরে করলেই পারত!
জাতীয় দলে আসার আগে থেকে আমরা বলেছি, লিখেছি মিরাজের সবচেয়ে বড় সম্পদ তার মাথা। কিন্তু হায়দরাবাদ টেস্টের ফিফটি আর আজকের ইনিংসটি বলে দিচ্ছে, শুধু মাথাটাই ভালো নয়, তার কলিজাটাও বিশাল। লড়াই করতে জানে।
আজকে টস নিয়ে আপত্তি করার লোকও দেখতে পাচ্ছি।
অথচ দুই অধিনায়কই বলেছেন টস জিতলে বোলিং নিতেন। এসএসসিতে উইকেট পরে আরও ভালো হয় ব্যাটিংয়ের জন্য। এছাড়া দিনের ম্যাচ, পরে আলো কমে যাওয়া, বৃষ্টির শঙ্কা মিলিয়ে ডিএলের হিসাব হতে পারত। ১০ বার টস জিতলে ১০ বারই ফিল্ডিং নেওয়া উচিত। কেউ কেউ বলছেন, সিরিজ নিধারণী ম্যাচে রান তাড়ার চাপ আমরা নিতে পারি কিনা। কিন্তু তিন ম্যাচের সিরিজে সব ম্যাচই তো চাপ। আজকে বরং শ্রীলঙ্কাই চাপে ছিল বেশি। আর আমাদের টপ অর্ডার কেউ চাপে বা রান বাড়ানোর তাড়াহুড়োয় আউট হয়নি।
টেস্ট সিরিজও ছিল ১-১। আমরা কত খুশি ছিলাম! ওয়ানডে সিরিজ ১-১। আমরা বেজার। টেস্ট আর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বাস্তবতা আলাদা, এটা অবশ্যই একটা কারণ। ওয়ানডেতে আমরা অনেক বেশি ভালো। তবে আরেকটা কারণ ওই এগিয়ে থাকা, পিছিয়ে থাকাও। টেস্টে পিছিয়ে থেকে সিরিজ ড্র করেছি। ওয়ানডে সিরিজও পিছিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত সমতায় শেষ করলে আমরা উচ্ছ্বসিতই থাকতাম!
অবশ্যই বড় দল হয়ে উঠতে হলে এসব অজুহাত বা যুক্তি চলবে না। আমরা আজকে বাজে ব্যাটিং করেছি, এটিই শেষ কথা। তবে এগিয়ে যাচ্ছি, সেটির প্রতিফলন এই সিরিজেও ছিল অনেক জায়গাতেই।
টি-টোয়েন্টিতে সম্ভবত ম্যাথিউস, মালিঙ্গা, ডিকভেলা ফিরবেন। এগিয়ে থেকে হোক বা পিছিয়ে থেকে, টি-টোয়েন্টি সিরিজও ১-১ হলে দারুণ খুশি থাকব!
টি-টোয়েন্টির তিন নতুন মুখ সাইফউদ্দিন, মিরাজ ও সানজামুলের জন্য শুভকামনা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন