আমরা পান করছি ডাইনোসরের মূত্র, পানি নয়!
বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, আমরা প্রতিদিন যে পানি পান করছি তা নাকি ডাইনোসরের প্রস্রাব! ইউটিউবে বিজ্ঞানভিত্তিক চ্যানেল কিউরিয়াস মাইন্ডস (Curious Minds) বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে একটি ভিডিও তৈরি করেছে। এতে দেখানো হয়েছে লাখ লাখ বছর পরও পৃথিবীর পানি কীভাবে অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। প্রতি বছর ভূপৃষ্ঠে বৃষ্টি আকারে পানি পড়ে প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার ঘনমাইল। তার মানে এই পরিমাণ পানি সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ায় বা বণ্টিত হয়।
ডাইনোসররা ছিল মধ্যজীবীয় যুগে (Mesozoic era)। ধারণা করা হয়, যুগটি স্থায়ী ছিল প্রায় ১৮ কোটি ৬০ লাখ বছর। আর মেসোজয়িক যুগ ধরা হয় এখন থেকে ২৪ কোটি ৮০ লাখ থেকে ৬ কোটি ৫০ লাখ বছর আগের সময়।
অর্থাৎ ডাইনোসররা দীর্ঘ সময় পৃথিবী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। আর এসময় নিশ্চয় তারা পৃথিবীর প্রায় সব পানিই পান করেছে।
কিন্তু মানবজাতি পৃথিবীতে বসবাস করছে মাত্র দুই লাখ বছর; ডাইনোসরের তুলনা খুবই কম সময়।
‘দ্য বিগ থার্স্ট’ বইয়ে চার্লিস ফিশম্যান বলেছেন, পানির অণুগুলো অনেক বেশি প্রত্যাবর্তনশীল। এগুলো এমনকি লাখ লাখ বছর বয়সীও হতে পারে।
কিউরিয়াস মাইন্ডসের এক সদস্য বলেছেন, বেশিরভাগ পানির অণু এখনো কোনো মানুষ পান করেনি। কিন্তু দীর্ঘ সময় জীবিত ডাইনোসর বেশিরভাগ পানিই পান করেছে।
এর অর্থ হলো পান করার জন্য গ্লাসে যেই পানিটা নিয়েছেন তা ইতোমধ্যে কোনো ডাইনোসর পান করেছে এবং তা প্রস্রাবে বের করে দিয়েছে।
স্টিভ ম্যাক্সওয়েল এবং স্কট ইয়েটস যৌথভাবে লিখিত ‘দ্য ফিউচার অব ওয়াটার: স্টার্টলিং লুক এহেড’ বইয়ে একই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, আমরা এখন যে পানি পান করছি তা ডাইনোসররা পান করে গেছে। অর্থাৎ আমরা যা পান করছি তা আসলে ডাইনোসরের মূত্র! জীবাস্ম জ্বালানি পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পানি তো থেকে যাচ্ছে। তার মানে ডাইনোসরের মূত্র আমরা পান করছি। এর পর হয়ত অন্য কোনো প্রজন্ম এসে আমাদের মূত্র পান করবে!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন
মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু
মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন
স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন