সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

আমরা হয়তো প্রথম সাইবার বিশ্বযুদ্ধের কাল পার করছি!

প্রায়ই একজন ঐতিহাসিকের কাজ হলো প্রশস্ত ধারণা এবং প্রবণতাগুলো একত্রে জড়ো করা। এরপর সেগুলোকে এমন একটি ছোট শিরোনামে উপস্থান করা যা লোকে সহজেই শনাক্ত করতে বা বুঝতে পারবে।

আর এভাবেই “রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন” বা “হিটলারের উত্থান এবং তৃতীয় রাইখ” এর মতো শিরোনাম সৃষ্টি হয়।
যারা ইতিহাস পড়েন তাদের মধ্যে এই কৌতূহল কাজ করে যে, ভবিষ্যতের ঐতিহাসিকরা কীভাবে আমাদের সময়কে দেখবেন। সাইবার যুদ্ধ নিয়ে কোনো ইতিহাস লেখা হলে আমাদের সময়টিকে হয়তো বিশ্বের প্রথম সাইবার যুদ্ধের কাল হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আর এর সুচনা বিন্দু ধরা হবে ২০০৭ সালকে। সে বছরই প্রথম এস্তোনিয়ার ওপর সম্মিলিতভাবে সিরিজ সাইবার হামলা চালানো হয়। ধারণা করা হয় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সহায়তায় ওই হামলা চালানো হয়। আর এ কারণটি ঐতিহাসিকদের মধ্যে সাইবার যুদ্ধ নিয়ে সীমাহীন বিতর্কের জন্ম দেবে।
সাইবরা যুদ্ধ স্পষ্টতই এমন একটি ফ্রন্ট যেখানে জতিরাষ্ট্রগুলো একে অপরের ওপর সুবিধা লাভ করার চেষ্টা করবে। এবং অনবরত পরস্পরকে আক্রমণ ও প্রতিরক্ষার পরিকল্পনা করবে। কিন্তু গোয়েন্দা জগতের মতো এই জগতটিও একটি অস্পষ্ট জগত যেখানে ঠিক কী ঘটছে তা বাইরের লোকদের পক্ষে বুঝা সম্ভব নয়। জাতিরাষ্ট্রগুলো খুব কমই প্রকাশ্যে হ্যাকিংয়ের দায় স্বীকার করেন।
২০০৮ সালে সমুদ্রের তলদেশে ইন্টারনেট সংযোগ লাইনের তার কেটে দেওয়ার ঘটনাকেও ঐতিহাসিকরা একটি বৈশ্বিক সাইবার যুদ্ধের অংশ হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। এতে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অনেকের ধারণা জাহাজের ঘর্ষণে এমনটা ঘটেছে। তবে ঘটনাটি এখনো রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। তবে এই সন্দেহও করাও হচ্ছে, কোনো রাষ্ট্র হয়তো এতে জড়িত। কারণ এতে যে ধরনের যন্ত্রপাতি দরকার তা শুধমাত্র কোনো রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের কাছেই থাকা সম্ভব। আবার এটি কোনো হাঙ্গরের কাণ্ডও হতে পারে।
২০১০ সালে স্টুক্সনেট ওয়ার্ম ব্যবহার করা হয় ইরানের পরমাণু কর্মসুচিতে হামলা চালানোর জন্য। পরমাণু কর্মসুচিতে ব্যবহৃত মাইক্রোসফট উইন্ডোজ মেশিনগুলোকে টার্গেট করে ওই হামলায় চালানো হয়। এতে ইরানের পরমাণু কর্মসুচির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ওই কম্পিউটার ভাইরাসটি এতটাই উন্নত ছিল যে, বিশ্লেষকরা সেসময় ভেবেছিলেন যে এর পেছনে নিশ্চয় কোনো রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের হাত রয়েছে। ধারণা করা হয় যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল ওই হামলায় জড়িত ছিল।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, ২০১০ সালে উইকিলকস কর্তৃক আমেরিকান দূতাবাসের ক্যাবল ফাঁস। যা ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে ছাপা হয়। ওই ঘটনাটিকেও ঐতিহাসিকরা সাইবার যুদ্ধের অন্তর্ভুক্ত করতে কার্পণ্য করবেন না।
এই ঘটনা সাইবার যুদ্ধকে একটি ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে। এই ঘটনায় দেখা গেছে জাতিরাষ্ট্র, প্রেশার গ্রুপ, হুইসেলব্লোয়ার বা তথ্য ফাঁসাকারী এবং হ্যাকারদের সঙ্গে মিলে সাইবার যুদ্ধ পরিচালনা করছে।
এই ঘটনার ইতিহাস লিখতে গিয়ে বিশেষ রাষ্ট্রযন্ত্রের পাশাপাশি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, চেলসিয়া ম্যানিং, এডওয়ার্ড স্নোডেন এর মতো ব্যক্তি এবং অ্যানোনাইমাস ও সিরিয়ান ইলেকট্রনিক আর্মির মতো পক্ষগুলোর নামও উচ্চারণ করতে হবে।
আমরা এমন একটি বিষয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যা চরিত্রের দিক থেকে বৈশ্বিক।
দক্ষিণ কোরিয়া কুটনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে হ্যাকিংকে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ২০১৪ সালে এফবিআই অভিযোগ করেছে, দক্ষিণ কোরিয়া সনি পিকচার্স কম্পানির অতি গোপনীয় কিছু তথ্য হ্যাক করেছে। একটি এশিয়ান রাষ্ট্র কর্তৃক জাপানিজ কম্পানি হ্যাক করার এটাই প্রথম ঘটনা। একটি সিনেমা ইস্যুতে কম্পানিটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপে প্রয়োগের উদ্দেশে ওই হ্যাকিং কাণ্ড ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়া।
এছাড়া ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ভাইরাস আক্রান্ত ইউএসবি কী বিতরণের ঘটনাটিও উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের একটি ফ্যাসিলিটিতে চীনের দাপ্তরিক প্রতিনিধি বাহিনীর ল্যাপটপ চুরি যাওয়ার ঘটনাও ইতিহাসে ঠাই পাবে।
আর ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণার সময় ইমেইল হ্যাকিংয়ের ঘটনাও ঐতিহাসিকরা এড়িয়ে যেতে পারবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের ভোট গণনার মেশিনগুলোতেও হ্যাক করার চেষ্টা করেছে এক বিদেশি শক্তি।
অদূর ভবিষ্যতে হয়তো রাশিয়া, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরাশক্তিগুলো ছোট জাতিরাষ্ট্রগুলোরও সাইবার যুদ্ধে সক্ষমতা গড়ে ওঠার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করবে। এমনকি জাতিসংঘে একটি আচরণবিধি তৈরি বা সাইবার যুদ্ধবিরোধী সমঝোতা স্মারক সই করার ঘটনা ঘটাও অসম্ভব নয়।
আর আরেকটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ইন্টারনেটে মূলত প্রতিরক্ষা গবেষণা থেকে এসেছে। পারমাণবিক হামলা চলাকালে যোগাযোগ সম্ভবপর করে তোলার জন্যই এটি উদ্ভাবন করা হয়। সুতরাং আজ থেকে ১০০ বছর পরে ঐতিহাসিকরা প্রধানত সামরিক উদ্দেশ্যেই ইন্টারনেট প্রযুক্তির কথা স্মরণ করে তাতেও বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন

মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু

মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন

স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ

নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন

  • অবশেষে বাংলাদেশে ১৯ অক্টোবর থেকে পে-প্যাল সেবা
  • রবি গ্রাহকদের জন্য সুখবর ! ছাড় পাবেন উবারে !
  • মেধাসত্ত্ব সংরক্ষণের দাবি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে
  • লক খুলবে মুখ দেখেই আইফোন ৮
  • ফেসবুক এবং গুগলের যুগে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম পরিকল্পনা করলে ভুল-ই হবে
  • এবার থেকে হোয়াটসঅ্যাপেও টাকা লেনদেন! জেনে নিন কীভাবে
  • ফেসবুক হ্যাক হয় যেভাবে
  • ধর্ষণ থেকে আত্মহত্যা! সবই পাওয়া যাচ্ছে গেমে
  • এলিয়েন তাড়ালেই নাসাতে মিলবে কোটি টাকার চাকরি
  • রাত্রে বিছানায় মোবাইল নিয়ে ঘুমনো অভ্যেস? জানেন না, কতবড় ভুল করছেন
  • দিনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন ১০০ কোটি মানুষ
  • ফেসবুকে দামি গাড়ি, গয়নার ছবি পোস্ট করেছেন? সর্বনাশ!