“আমাকে বাঁচতে দিন, ওদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করুন”
দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সল আরেফিন দীপনের পরিবারে সম্প্রতি বেড়ে গেছে গণমাধ্যমকর্মীদের যাতায়াত। কিন্তু তা এতোটাই মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এই মুহূর্তে সাংবাদিকদের উৎপীড়ন থেকে মুক্তি চেয়েছেন নিহতের স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান।
শোকাহত ডা. রাজিয়া বলেন, ‘দয়া করে সাংবাদিকদের অত্যাচার থেকে আমার ছেলেকে দূরে রাখুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরকে বলেছি, যে আমি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চাই না। আমি কোনো সাহায্য চাই না, শুধু আমার জন্য এতটুকু করুন।’
জানা গেছে, স্বামী দীপনকে হারানোর পর থেকে শান্ত থাকলেও, মঙ্গলবার শ্বশুর প্রফেসর আবুল কাসেম ফজলুল হকের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে শ্বশুরের সামনে এভাবে মনের ক্ষোভ ঝেরেছেন রাজিয়া।
শুধু সাংবাদিক নয়, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষকও ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিহত দীপনের বাড়িতে বসে আছেন এবং অবান্তর সব প্রশ্ন করেন।
রাজিয়া আরও বলেন, ‘দীপন মারা যাওয়ার পর থেকে আমি শান্ত ছিলাম। তবে এখন সাংবাদিকদের এসব অবান্তর প্রশ্নের সামনে আর শান্ত থাকতে পারছি না।’
সাংবাদিকদের বাড়াবাড়ির বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে গেলে তারা আমার কাছে ছবি তোলার অনুমতি চায়। এমনকী আমার বেডরুম, আমার বাড়ি এমনকী ছেলের পড়ার ঘরেও ছবি তুলতে চায়। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে আপনার ছেলের উচ্চতা কতো? আমি বুঝি না, আমার ছেলের উচ্চতা তাদের কী কাজে আসবে। আমার বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বসে এসব প্রশ্ন করার কোনো অধিকার কি তাদের আছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন আমার ছেলের পরীক্ষা চলছে। তাকে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে দিন। সাংবাদিকরা এসব প্রশ্ন করলে আমি স্বাভাবিক থাকতে পারি না। আর আমাকে কান্নাকাটি করতে দেখলে আমার ছেলের পরীক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
পুত্রবধূ রাজিয়াকে শান্ত করার চেষ্টা করে অধ্যাপক কাসেম বলেন, ‘সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত প্রয়োজনে এখানে আসছে। তোমার ছেলেকে তাদের সামনে আনবে না।’
রাজিয়া আবারও মনে করিয়ে দেন যে, গণমাধ্যম এবং ক্যামেরা দেখলে তার ছেলে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। দীপনের জানাজায় আপনারা দেখেছেন সে কিভাবে ঘাবড়ে গিয়েছিল।
এমনকী সেই সময়েও একজন সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘সবে মাত্র তোমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। এমন সময় পরীক্ষা দিতে তোমার কেমন লাগলো?’
‘কিভাবে একজন সাংবাদিক একটি ছোট ছেলেকে এমন প্রশ্ন করতে পারে?’ এই প্রশ্ন রাখেন রাজিয়া।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন
কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন
উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না
দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন