আমাদের কোনো ব্যর্থতা নেই: সিইসি
বিগত ৫ বছরে নির্বাচন কমিশনের কোনো ব্যর্থতা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
তিনি বলেছেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনই আমরা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।’
শুক্রবার বিকালে কুমিল্লায় আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল মোমেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, নোয়াখালীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসেন, চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল আল-মামুন, ফেনী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন প্রমুখ।
সিইসি বলেন, ‘আমরা অনেক নির্বাচন করেছি। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে- যিনি হারেন, তার কাছে নির্বাচন পছন্দ হয় না। সেজন্য আমরা সবাইকে খুশি করতে পারি না, সেটা সম্ভবও না।’
তিনি বলেন, ‘যিনি হারবেন তিনি অবশ্যই অসন্তুষ্ট হবেন। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি এবং সবগুলো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জে প্রার্থী, দল ও ভোটারসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হয়েছে।’
কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, ‘দুটি নির্বাচন আমরা করেছি প্রথমবারের মতো। উপজেলা সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য নির্বাচন- যেটা আগে কখনও হয়নি, অপরটি জেলা পরিষদের নির্বাচন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্মার্ট কার্ড তৈরির ক্ষেত্রে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও চোখের কণিকার ছবি সংরক্ষণ করছি এবং এগুলো অতিমাত্রায় উন্নতমানের ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে দু’বার কারও ভোটার হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই এবং কাউকে শনাক্ত করতে অসুবিধা হবে না।’
বর্তমানে এ ডাটাবেজের মাধ্যমে অনেক দুষ্কৃতকারী ধরা পড়ছে বলেও জানান সিইসি।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রযুক্তিগত উন্নতিতে বিশ্বাস করি। ইভিএম মেশিনে ভোট নেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এ মেশিনে কিছু দুর্বলতা ও সমস্যা ছিল।’
সিইসি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা চিন্তা করেছি ভোট গ্রহণে উন্নত মেশিন তৈরি করার, এটার নাম হবে ‘ডিজিটাল ভোটিং মেশিন’। সে মেশিন এখন উদ্ভাবনের পথে। এ মেশিন তৈরি ও কারিগরি দিক পরীক্ষার জন্য দেশের নামকরা ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের দিয়ে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ মেশিন উদ্ভাবন করে ভোট গ্রহণ করা হলে কেউ কারচুপি বা জালভোট দিতে পারবে না। এ মেশিন কেউ হ্যাক করতেও পারবে না। এ মেশিন ভেঙে ফেললে কিংবা পানিতে ডুবিয়ে দিলেও এর ব্লাকবক্সের মাধ্যমে ভোটের সুষ্ঠু হিসাব পাওয়া যাবে। স্বচ্ছ নির্বাচন ও জালভোট ঠেকাতে আগামীতে আসছে এ ডিজিটাল ভোটিং মেশিন।’
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এক সঙ্গে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মামলা জটিলতার কারণে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, একটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে ৪০ দিন সময় প্রয়োজন। যেহেতু আমাদের মেয়াদ আগামী ৮ ফেব্রয়ারি শেষ হয়ে যাচ্ছে- তাই পরবর্তী কমিশনের অধীনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে কাজী রকিবউদ্দীন ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কুমিল্লা আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন ভবনের উদ্বোধন করেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন