আমাদের বাড়িতে এসেছে, খেয়েছে, খুনও করেছে
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে যারা হত্যা করেছে, তারা নানা সময় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে এসে আতিথেয়তা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এরা কারা তাদের নাম জানাননি তিনি।
শেখ রাসেলের ৫২তম জন্মদিনে সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিরতণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এই আয়োজনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক নানা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কারও তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে আক্রমণ করে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্যদেরকে হত্যা করে সেনাবাহিনীর বিপথগামী কয়েকজন সদস্য। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেদিন বিদেশে থাকায় বেঁচে যান তারা।
শেখ রাসেলের জন্মদিনের আয়োজন হলেও প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে ছিল বিষাদের ছোঁয়া। কথা বলতে বলতে নানা সময় আবেগে কণ্ঠস্বর ধরে আসে বঙ্গবন্ধু পরিবারের বড় সন্তানের। তিনি বলেন, ‘তারা তো আমাদেরই মানুষ। প্রতিনিয়ত তারা আমাদের বাড়িতে এসেছে, খেয়েছে, তারাই খুন করেছে। কী দুর্ভাগ্য আমাদের।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঘাতকের দল রাসেলকেও ছাড়েনি। তাদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তের একটা চিহ্নকও যেন না থাকে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটুক আর চাই না। ১৫ আগস্ট যে ঘটনা ঘটেছে একমাত্র কারবালার সঙ্গেই তা তুলনা করা যায়। কারবালাতেও মনে হয় শিশুদের হত্যা করা হয়নি। ১৫ আগস্ট যে তিনটা বাড়িতে আক্রমণ করা হয় সেখানেও সব শিশুদের হত্যা করা হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধটা কী ছিল তাদের? অপরাধ একটাই বাংরাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন জাতির পিতা। পরাজিত বাহিনী এবং তাদের দোসরররা মিলিয়ে এই হত্যা চালায়।’
তবে খুনিরা সফল হয়নি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করেছিল। কিন্তু আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি।…সব ব্যাথা বুকে নিয়েও এই বাংলাদেশটাকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু লেখাপড়া শিখবে, উন্নত জীবন পাবে। তারা জ্ঞান বিজ্ঞানে সবার সমকক্ষ হবে, ঘরবাড়ি-চিকিৎসা পাবে।’
শিশুদেরকে পড়াশোনায় মনযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে, মানুষের মত মানুষ হতে হবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ হতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ যে পর্যায়ে এসেছে সেটা আনতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। অনেক ত্যাগ, সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমি বলবো, দেশের জন্য, জাতির জন্য সব সময় ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ত্যাগের মধ্য দিয়েই মহান উদ্দেশ্য অর্জন করতে হয়।…আর মনযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কারণ, শিক্ষিত জাতি না হলে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া যাবে না।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন