‘আমার ছেলে আইএস জঙ্গি হলে আমি আত্মহত্যা করব’
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আব্দুর রহিম তার নিখোঁজ ছেলে জঙ্গি প্রমাণিত হলে আত্মহত্যা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন । ১ বছর ধরে তার ছেলে জুনেদ হাবিব ওরফে জুনেদ আহমদ সস্ত্রীক নিখোঁজ রয়েছেন।
জুনেদের বাবা আব্দুর রহিম জানান, ‘আমার ছেলে আইএস জঙ্গি হলে আমি আত্মহত্যা করব। আমি জানি আমার ছেলে জঙ্গি না। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই|’
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাঁক ইউনিয়নের বনকাদিপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মাওলানা জুনেদ স্ত্রীসহ দীর্ঘ ১ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
জুনেদ স্থানীয় নুরগাঁও রুহুল উলুম কওমি মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করেছেন। গোপনে বিয়ে করেছিলেন মাদ্রাসাছাত্রী কোরআনে হাফিজ মরিয়ম বিবিকে।
নিখোঁজ অনেকেই জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে তার বাবা গত ২২ জুন নবীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেছেন।
বাবা আব্দুর রহিম ও মা অজুফা বিবি সাংবাদিকদের জানান, জুনেদ স্থানীয় নুরগাঁও রুহুল উলুম কওমি মাদ্রাসা থেকে টাইটেল পাস করেছে। ২০০১ সালে অপারেশন ক্লিনহার্টের সময় সে গ্রেফতার হয়। সব সময় সে একাই চলাফেরা করতো এবং গ্রামের কারোর সাথে মিশতো না, কম কথা বলতো। সবাই তাকে হুজুর ডাকতো। একা একা মসজিদে বসে থাকতো। মাঝে মধ্যে কোন হুজুর আসলে তাদের সাথে মসজিদে বসে কথা বলতো।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, দিনারপুর পাহাড়ে একদল মাদ্রাসাছাত্রকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে জুনেদও প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণের কিছুদিন পর দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনাবাহিনী তাকে পাহাড় থেকে গ্রেফতার করে। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। সিলেট নিরাময় পলি ক্লিনিকে ২ বছর চাকরি করার পর বেতন ভাতা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় তিনি বাড়ি চলে আসেন।
গোপনে বিয়ে করেন মাদ্রাসাছাত্রী মরিয়ম বিবিকে। বিয়ের কিছুদিন পরই র্যাব-৯ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। দুই দিন র্যাব ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আবারো বাড়িতে ফেরত দিয়ে যায়।
কেন র্যাব তাকে ধরে নিয়ে গেছিল এ বিষয়ে তার বাবা তাকে জিজ্ঞাসা করলে ওইদিন রাতেই তিনি কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে যায়। আর তিনি বাড়ি ফিরে আসেনি। এর কিছুদিন পরেই ঢাকার ব্লগার হত্যা মামলার সন্দেহজনক আসামি হিসাবে তার নাম আসে। এসময় ডিবি পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে পায়নি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খালেদ হোসেন দুলন বলেন, ‘মাওলানা জুনেদ একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে। র্যাব ও সেনাবাহিনী জঙ্গি সন্দেহে তাকে আটক করেছে। তারপর সে মুক্তিও পেয়েছে। এখন আল্লাহই জানেন জুনেদ কোথায় আছে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বানিয়াচং উপজেলায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে, ৩ জনে মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রেবিস্তারিত পড়ুন
হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
হবিগঞ্জের মাধবপুরের হরিতলা বাদশা গেইট এলাকায় ট্রাক ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন
‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে’ গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে’ এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করাবিস্তারিত পড়ুন