আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে: অভিযোগ নরেন্দ্র মোদীর

কয়েকটি ‘হতাশ’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং কালোবাজারের কারবারিরা এনডিএ সরকারের স্থায়িত্ব নষ্টের ষড়যন্ত্র করেছে বলে অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, তাঁর বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসাও ওই ষড়যন্ত্রেরই অঙ্গ। তবে চক্রান্ত করে তাঁকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করা যাবে না।
ওড়িশায় আজ কৃষকদের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা সম্প্রতি দেখেছেন, কয়েকজন সবসময় আমার সমালোচনা করছেন। মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়েছে, তা তাঁরা সহ্য করতে পারছেন না! একজন চা-ওয়ালা কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেল, তা ওঁদের হজম হচ্ছে না।’’ কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নাম না জানালেও মোদী জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কয়েকটি সিদ্ধান্ত কিছু সংস্থা এবং ব্যক্তির বিরুদ্ধে গিয়েছে বলেই তাঁকে বিরোধিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্র কিছু সারে নিম মেশানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে যে সব সংস্থা কৃষকদের লুট করছিল, তারা মোদীর উপর ক্ষুব্ধ হবে না? তারা তো মোদী-বিরোধীদের সমর্থন করবেই! তারা মোদীর বিরুদ্ধে চিৎকার করবে না!’’
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির তহবিল নিয়েও আজ প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, বিদেশ থেকে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অর্থ সাহায্য পায়। সরকার এবার সেই বিষয়েও খোঁজখবর নেবে। মোদী বলেন, ‘‘যখনই আমরা টাকার হিসাব চাই, তখনই স্লোগান ওঠে— মোদীকে মারো! দেশ জানতে চায়, ওই টাকা কোথা থেকে আসছে, কীভাবে তা খরচ হচ্ছে।’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রী কারও নাম না করলেও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির পাশাপাশি তাঁর লক্ষ্য ছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরাও। আগামী পরশু থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। সংসদে দলের কৌশল ঠিক করতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির আগামিকাল বৈঠকে বসার কথা। অধিবেশন মসৃণ করতে আগামিকালই সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন সংসদ বিষয়কমন্ত্রী এম বেঙ্কাইয়া নায়ডু। পরশু থেকেই শুরু বাজেট অধিবেশন। ২৯ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাধারণ বাজেট পেশ করবেন। তার আগে ২৫ তারিখ রেল বাজেট। এবারের অধিবেশনে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ঘিরে বিতর্কের পাশাপাশি হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলিত ছাত্র ভেমুলা রোহিত চক্রবর্তীর আত্মহত্যা, অরুণাচলপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসন, পঠানকোট হামলা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে তৈরি হচ্ছে বিরোধীরা।
বিরোধীদের হট্টগোলে গত দু’টি অধিবেশনের অনেকটাই নষ্ট হওয়ায় লোকসভায় পাঁচটি এবং রাজ্যসভায় অন্তত ১১টি বিল আটকে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি), আবাসন, লোকপালের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল। বাজেট অধিবেশনে জিএসটি বিল পাশ করানো না গেলে আগামী অর্থবর্ষে তা চালু করতে বিপাকে পড়বে সরকার।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন