‘আমার শরীর নোংরা করেছে বেস্ট ফ্রেন্ডের বাবা’
প্রথমে ঠাকুরদা, পরে বাবা। বন্ধুর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের হাতে বার বার শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন এই তরুণী। সামাজিক চোখ রাঙানি ও লোকলজ্জার ভয়ে কোনও ঘটনার প্রতিবাদ করতে পারেননি। অবশেষে লিখেছেন বেনামী চিঠি।
মনের নিভৃত কোণে ঘাঁটি গেড়ে থাকা তিক্ত স্মৃতির ঝাঁপি খুললে বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর অতীতের টুকরো ছবি। কখনও প্রকাশ্যে না আসা এই সমস্ত গোপন কথা দিনের আলো দেখতে পায় শুধুমাত্র চিঠির হাত ধরে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র দপ্তরে পৌঁছানো এমনই নানা চিঠির বয়ান প্রকাশিত হয় ‘সোল কারি’ শিরোনামে। বর্তমান চিঠির লেখিকা এক যুবতী জানিয়েছেন, কৈশোরে বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে কীভাবে তার ঠাকুরদা ও বাবার হাতে যৌন লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছিল।
‘বন্ধুর মায়ের কাছে পড়তে আসত বাচ্চা ছেলেটি। একদিন দেখলাম তার ঠোঁটে চুমু খেলেন আমার বন্ধুর ঠাকুরদা। কিন্তু তখনও ভাবিনি, কিছু দিন পর আমার পালাও আসবে। তখন বুঝতে পারিনি উনি আসলে কী করছেন। কিন্তু আমাকে খামচে ধরে দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটের উপর ঠোঁট চেপে ধরে রাখার পর যখন ছাড়া পেলাম, এক অচেনা গা-ঘিনঘিনে উপলব্ধি আমায় আচ্ছন্ন করেছিল। আরও পরে বুঝেছিলাম, তিনি আমার শ্লীলতাহানি করেছিলেন।
বাড়ি এসে মা-কে সব বলার পর শুনলাম- ওই বাড়িতে এখন সপ্তাহ খানেক যেও না। ব্যাস ওইটুকুই। না কোনও প্রতিবাদ, না পদক্ষেপ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিছুই করেননি অভিভাবকরা। মায়ের কাছে নিছক একটি চুমু হলেও সেই অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়লে এখনও গায়ে কাঁটা দেয়। আসলে মেয়ে হিসাবে সেই বয়সেই বুঝেছিলাম, ওই স্পর্শের ভিতরে খারাপ কিছু রয়েছে।
ভেবেছিলাম এমন অভিজ্ঞতা আর হবে না। কিন্তু চমকের আরও বাকি ছিল। তবে এবার আর পিতামহ নন, আমার শরীর ছুঁলেন সেই বন্ধুরই বাবা। একদিন সন্ধেবেলা বন্ধু ও তার মায়ের সঙ্গে বসে টিভি দেখছি, ঠিক হল ঘরের আলো নিভিয়ে দেওয়া হবে। ঠিক সেই সময় বন্ধুর বাবা এসে আমার পাশে বসলেন। একটু পরেই পায়ের পাতায় তাঁর হাতের স্পর্শ পেলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম অজান্তে, কিন্তু ক্রমেই টের পেলাম ব্যাপারটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সেই হাত ধীরে ধীরে আমার শরীরের অন্যত্র খেলা করতে থাকল। বাধা দিতে গেলে কোনও লাভ হল না।
ততক্ষণে ঘামতে শুরু করেছি। গলা শুকিয়ে কাঠ অথচ কোনও আওয়াজ বেরোচ্ছে না। হঠাত্ দাঁড়িয়ে উঠলাম। ঘোষণা করলাম, বাড়ি যেতে হবে তখনই। বন্ধু আর ওর মা তো অবাক। কিন্তু কোনও ব্যাখ্যা সেদিন দিইনি। স্রেফ ওই বাড়িতে এর পর আর কখনও যাইনি।
এই দুটি ঘটনা এখনও আমায় তাড়া করে। অনেক দিন হয়ে গেলেও এই অন্যায় মেনে নিতে পারিনি। এমন ঘটনা হয়তো অন্য অনেকের জীবনেও ঘটে। আমার মতো তাঁরাও য়েন অকপটে এখানে সব জানায়। বিচার না হোক, ব্যাথাটা তো ভাগ করে নিতে পারি আমরা। তাই না?’সুত্র:এইসময়
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন