‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র দূত হিসাবে আমির খানকে সরিয়ে দেওয়ার সমর্থনে যুক্তি দিলেন কেন্দ্রীয় শিল্পনীতি এবং উন্নয়ন দফতরের (ডিআইপিপি) সচিব অমিতাভ কান্ত।

আজ অমিতাভ টুইট করেন, ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলে অনেক দায়িত্ব বর্তায়। যে পণ্যের প্রচার আপনি করছেন, তাকে আপনি ডোবাতে পারেন না। তাতে সেই ব্র্যান্ডের ক্ষতি হয়’। গতকাল গুজরাতের আমদাবাদে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদস্থ আমলা বলেছিলেন, ‘‘উনি (আমির) দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন।’’

প্রসঙ্গত, অসহিষ্ণুতা বিতর্কে মুখ খুলে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছেন আমির। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী কিরণ রাও তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাঁদের এই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত কি না। কিরণ তাঁর সন্তানদের জন্য ভয় পাচ্ছেন বলেও জানিয়েছিলেন আমির। চাঁচাছোলা এই বক্তব্যের জন্য বিভিন্ন মহলের প্রশংসা জুটলেও তীব্র সমালোচনাও শুনতে হয়েছে তাঁকে। ঘটনাচক্রে, ওই বিতর্কের পরেই পর্যটনমন্ত্রকের ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র বিজ্ঞাপন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আমিরকে। তা নিয়েও জলঘোলা কম হয়নি। গতকাল আমদাবাদে অমিতাভ বলেন, ‘‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর যদি নিজের দেশকে অসাধারণ বলে প্রচার করেন, তাহলেই বিদেশি পর্যটকেরা এই দেশে আসবেন। কিন্তু ভারতের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর যদি নিজেই নিজের দেশকে অসহিষ্ণু বলেন, তাহলে বলতেই হবে যে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন না।’’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ আমলা হিসাবেই অমিতাভ পরিচিত। ‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া’-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত। সেদিক থেকে অমিতাভের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি গতকাল আরও বলেন, ‘‘তাঁর (আমিরের) কথা শোনার পর লোকে আর এ দেশে আসবে না। একজন দূতের কাজই হল পণ্যের প্রচার করা। বদনাম

করা নয়।’’
কেন্দ্রের তরফে অবশ্য কখনওই পর্যটন-প্রচার থেকে আমিরকে ‘বাদ দেওয়ার’ বিষয়টি স্বীকার করা হয়নি। জানানো হয়েছে, ওই প্রচারচিত্রের জন্য যে সংস্থার সঙ্গে কেন্দ্রের চুক্তি ছিল, তা শেষ হয়ে গিয়েছে। ওই বিজ্ঞাপনের দূত হিসাবে অমিতাভ বচ্চন, অক্ষয় কুমারের নাম শোনা যাচ্ছে।