শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

আমি ক্যামেরার সামনে নয়, ক্যামেরার পেছনে কাজ করতে চাইঃ ডিপজলের মেয়ে

ডিপজল

ওলিজা মনোয়ার, অভিনেতা ডিপজলের বড় মেয়ে। যিনি দীর্ঘদিন লন্ডনে মেকআপ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং এ বিষয়ে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। তাঁর একটাই উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি। ভিন্ন ধারার এই মেকআপ আর্টিস্ট ক্যামেরার সামনে নয়, ক্যামেরার পেছনে কাজ করতে বেশি আগ্রহী। বিশেষ করে, সিনেমায় স্পেশাল ইফেক্টের মেকআপ নিয়েই তিনি কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আলাপকালে ওলিজা জানিয়েছেন, কেন এই মেকআপের প্রতি তাঁর এত ভালোলাগা এবং এ ধরনের মেকআপ নিয়ে তিনি মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির উন্নতিতে কতটা ভূমিকা রাখতে পারবেন।

প্রশ্ন : অভিনেতা ডিপজল আপনার বাবা, বাবা সম্বন্ধে কিছু বলুন?

ওলিজা মনোয়ার : আমার বাবাকে সবাই চেনেন। আমি বলব, বাবা আমাদের দেশের খুবই জনপ্রিয় একজন অভিনেতা। তবে তিনি আমার দেখা সবচেয়ে ভালো মানুষ। তিনি সবার জন্য কিছু না কিছু করার চেষ্টা করেন, তাঁর সাধ্যে যতটুকু থাকে। আমার জন্য আমার বাবা পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা মানুষ।

প্রশ্ন : অভিনেতা ডিপজল অভিনীত কী কী সিনেমা আপনি দেখেছেন?

ওলিজা মনোয়ার : আমি আমার বাবার প্রায় সব সিনেমাই দেখেছি। এর মধ্যে ‘চাচ্চু’, ‘হাবিলদার’, ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘টাকার পাহাড়’ আমার অনেক পছন্দের সিনেমা। আর হ্যাঁ, ‘আম্মাজান’ সিনেমাটিও আমার খুবই ভালো লেগেছে।

প্রশ্ন : আপনার কি বাবার মতো অভিনয়ে আসার আগ্রহ আছে?

ওলিজা মনোয়ার : আমি ক্যামেরার সামনে নয়, ক্যামেরার পেছনে কাজ করতে চাই। কারণ, কাউকে না কাউকে তো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উন্নতিতে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই ক্যামেরার সামনে কাজ করলে একসময় দেখা যাবে, নায়ক-নায়িকার সংখ্যা বেড়ে যাবে। অথচ ক্যামেরা থেকে শুরু করে পরিচালনা—সবকিছুতেই উন্নতির প্রয়োজন আছে। তাই আমি অভিনয়ে নয়, পরিচালনায় আসতে চাইছি।

প্রশ্ন : পড়াশোনা করেছেন কোন বিষয় নিয়ে?

ওলিজা মনোয়ার : আমার মূল পড়াশোনা হলো বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু আট বছর আগে আমার ফুল বিউটিশিয়ানের কোর্স কমপ্লিট হয়ে গিয়েছিল। লন্ডন থেকেও মেকআপের ওপর আমার ১২টি ডিগ্রি আছে। বিউটি ও মেকআপের প্রতিটি বিষয়ই আমি শেখার চেষ্টা করেছি। আসলে আমি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ফ্যাশন ডিজাইনিং ও মেকআপ—তিনটি বিষয়েই পড়াশোনা করেছি।

প্রশ্ন : ভীতিকর মেকআপ শেখার আগ্রহ কেন হলো?

ওলিজা মনোয়ার : আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকে আমার বাবাকে সিনেমায় কাজ করতে দেখেছি। আমি প্রায়ই বাবার সঙ্গে শুটিংয়ে যেতাম। তখন থেকেই আমার কাছে বাংলা সিনেমার কিছু বিষয়ে সব সময়ই ঘাটতি আছে বলে মনে হতো। আমি অনেক বিদেশি সিনেমা দেখতাম। এখনো দেখি। ওই সব সিনেমা আমাদের দেশের সিনেমার থেকে অনেক উন্নত। ওদের মেকআপের ধরনও ভিন্ন। ওরা চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে মেকআপে স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করে। অথচ আমাদের দেশের সিনেমার মেকআপে তেমন কোনো ইফেক্ট দেখা যায় না। এই যেমন, বাংলা সিনেমায় দেখা যায় একটা অ্যাকশন দৃশ্যে ঘুষি লেগে রক্ত বের হয়ে যায়। কিন্তু একটা ঘুষি লাগলে কখনোই প্রথমে রক্ত বের হবে না। সেই জায়গাটা নীল বা লাল হয়ে যাবে। মেকআপের এই ইফেক্টটা আমাদের দেশের সিনেমায় এখনো ঠিকমতো দিতে পারে না। এগুলো দেখার পর থেকেই আমি মেকআপ নিয়ে গবেষণা করি। লন্ডনে গিয়ে মেকআপের খুঁটিনাটি সবকিছু শেখার চেষ্টা করি।

আমি প্যারিস ফ্যাশন শোতে কাজ করেছি। আমার কাজ করা ফিল্ম ‘সামান্থাস চয়েজ’ কান চলচ্চিত্র উৎসবে গেছে। বর্তমানে আমি ফ্যাশন, ক্যাটওয়াক, এডিটরিয়াল সব ধরনের মেকআপই করি। এমনকি শর্ট ফিল্মের মেকআপও করি। স্পেশাল ইফেক্টের মেকআপ সবাই করতেও পারে না এবং নিতেও পারে না। কারণ, এ ধরনের মেকআপে হরিফিক একটা ভাব থাকে। এ বিষয়টাই আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। আমি লন্ডনে এ ধরনের মেকআপ অনেক করেছি। আসলে আমাদের দেশের সাধারণ মেকআপই ততটা উন্নত নয়। তাই আমি চিন্তা করেছি, মেকআপের একটা প্যাকেজ নিয়ে আসি, যেখানে সব ধরনের মেকআপই থাকবে।

প্রশ্ন : স্পেশাল ইফেক্টের মেকআপ ও সাধারণ মেকআপের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

ওলিজা মনোয়ার : দুটোর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। হ্যালোইনের মেকআপ বা স্পেশাল মেকআপ আমাকে ল্যাবে বসে করতে হয়। প্রথমে মানুষটির মুখের মাপ নিতে হয়। এর পর সেখানে আমি ডিজাইন করি। এটা তৈরি করতে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগে। আমার মনে হয়, এটা একটা আর্ট। এ কারণে সাধারণ মেকআপ থেকে এটি পুরোই আলাদা।

প্রশ্ন : আপনি কেন এমন একটি মেকআপ শিখলেন, যার প্রয়োগ বাংলাদেশে নেই?

ওলিজা মনোয়ার : শেখার কোনো শেষ নেই। আমি মানছি ঢাকায় এর এতটা প্রয়োগ এখন নেই, তবে আসতে বেশিদিন সময়ও লাগবে না। আর আমি যেহেতু শিখে এসেছি, সেহেতু এখন থেকে এর প্রয়োগ হবে। আমার বাবার মতো এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁরা ১০ থেকে ১৫ বছর আগে নিজেদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তাঁরা এখন মোটামুটি শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন। এখন নতুন প্রজন্মকেই এই ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই আমরা যদি পুরোনো মেকআপ সিস্টেম নিয়ে পড়ে থাকি, তাহলে দর্শক সিনেমায় নতুন কিছু খুঁজে পাবে না। আর ইন্ডাস্ট্রিরও উন্নতি হবে না। আমি হয়তো সিনেমার মেকআপের উন্নতির জন্য এগিয়ে এসেছি, কেউ হয়তো ক্যামেরার বিষয়ে এগিয়ে আসবে, কেউ প্রোডাকশনের দিকে নজর দেবে, কেউ হয়তো পরিচালনার বিষয়ে মনোযোগ দেবে। এভাবেই এ ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হবে।

প্রশ্ন : আপনার শিক্ষা দেশের কী কাজে লাগবে বলে মনে করেন?

ওলিজা মনোয়ার : সাধারণত এই মেকআপ করতে হলে আমাদের বিদেশি শিল্পী লাগে, যা অনেক ব্যয়বহুল একটি সিনেমার জন্য। কারণ, সিনেমার বাজেট অনেক কম থাকে। এখন তারা এই স্পেশাল ইফেক্টের মেকআপ বাংলাদেশে পাবে আমার কাছে। এতে করে এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হবে। আমাদের গোটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছাড়াও টিভি, থিয়েটার, এমনকি একটা ব্যানারেও যখন স্পেশাল ইফেক্ট যোগ করা হবে, তখন এটি আরো বেশি আকর্ষণীয়ও হবে। আমি মনে করি, এই শিক্ষা পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেবে।

প্রশ্ন : স্পেশাল ইফেক্টের মেকআপের বাইরে আর কী ধরনের মেকআপ শিখেছেন?

ওলিজা মনোয়ার : ফিল্ম মেকআপ, টিভি মেকআপ, থিয়েটার মেকআপ, প্রসথেটিকস মেকআপ আমি শিখেছি। এর পাশাপাশি চুলের এক্সটেনশন ও চোখের আইল্যাশ এক্সটেনশনও শিখেছি।

প্রশ্ন : স্পেশাল ইফেক্টের মেকআপে নিজে সাজতে পছন্দ করেন, না অন্যকে সাজাতে আনন্দ পান?

ওলিজা মনোয়ার : আমার অন্যকে সাজাতে বেশি ভালো লাগে। এই মেকআপে সাজলে এতটাই হরিফিক একটা বিষয় থাকে যে অন্যের সামনে যেতে ভালোই লাগে। তবে এ ধরনের মেকআপ নিজের ওপর করাটা ভীষণ কঠিন। কিছুদিন আগে আমি মুখের একপাশে এই মেকআপ করেছি যে, স্কিনটা একপাশ থেকে গলে যাচ্ছে। আমি চাইলেও চোখের ওপর দিয়ে এই মেকআপটা করতে পারিনি। কারণ, আমি এক চোখ দিয়ে এই মেকআপ নিজেই ভালো করে দেখতে পারছিলাম না। তাহলে করব কী করে? এ কারণেই আমার কাছে মনে হয়, এটা খুবই কঠিন একটা কাজ।

প্রশ্ন : স্পেশাল ইফেক্টের মেকআপে কী ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন?

ওলিজা মনোয়ার : এ ধরনের মেকআপে কোনো ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার বা কন্টোরিং প্যালেট ব্যবহার করা হয় না। এক ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে এই মেকআপ করা হয়। যদিও এই কেমিক্যাল ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়।

প্রশ্ন : এই মেকআপের প্রশিক্ষণের সময় কেমন অভিজ্ঞতা ছিল?

ওলিজা মনোয়ার : প্রথমে আমি জানতাম না, এ ধরনের মেকআপ করতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগে। এটা একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য। আর আমি লন্ডনে অনেক বিখ্যাত মেকআপ আর্টিস্টের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। নীল গটন, ড. হুর মতো বড় বড় মেকআপ আর্টিস্ট আমার প্রশিক্ষক ছিলেন। এত গুণীজনের কাছ থেকে শিখতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, এ প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর আমি লন্ডনের রেড ব্রিজ নামে একটি সরকারি কলেজের শিক্ষক হয়ে গেলাম। ওই খানে আমি এশিয়ান ব্রাইডাল মেকআপের লেকচারার ছিলাম। এর সঙ্গে আমি আরো ছয়টি বেসরকারি ইনস্টিটিউটেও পড়াতাম।

প্রশ্ন : স্পেশাল ইফেক্টের মেকআপ শেখার সময় কী কী সমস্যা হয়েছিল?

ওলিজা মনোয়ার : তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ, ছোটবেলা থেকেই মেকআপের ওপর আমার অন্য রকম আকর্ষণ ছিল। তাই যা শিখেছি, মন দিয়ে শেখার চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন : ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

ওলিজা মনোয়ার : লন্ডনে আমার নিজস্ব একটা কোম্পানি আছে। তাই সেখানে আমার যাওয়া-আসা থাকবে। আর আপাতত বাংলাদেশেই স্থায়ীভাবে আছি। জানুয়ারির মধ্যে সর্বসাধারণের জন্য একটা মেকআপ স্টুডিও করার পরিকল্পনা করছি। আর আমার মহাখালী ডিওএইচএসের অফিসে ফিল্ম আর্টিস্টদের জন্য একটা মেকআপ স্টুডিও করেছি। যেখানে শুধু সিনেমার আর্টিস্টরা আসতে পারবেন। এ ছাড়া ফিল্মের প্রতিও আমার আলাদা টান রয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগির বাংলা সিনেমার পরিচালনায় আসব। এনটিভির সংবাদ

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা

শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন

শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে

আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন

আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?

গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • বাবা দিবসে কাজলের মেয়ে শৈশবের ছবি পোস্ট করলেন
  • চলে গেলেন অভিনেত্রী সীমানা
  • শাকিবের সঙ্গে আমার বিয়ের সম্ভাবনা থাকতেই পারে: মিষ্টি জান্নাত
  • এবার পরিবারের পছন্দে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন শাকিব খান
  • বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, সেখানে একটি মেয়েও আছে: সুরুজ বাঙালি
  • এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
  • অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন
  • এক রোমাঞ্চকর অসমাপ্ত ভ্রমণ গল্প
  • পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন
  • শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষের জায়গা নেই: বুবলী
  • সিনেমা মুক্তি দিতে হল না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নায়ক
  • বিশাখাপত্তনমে কয়েকদিন