ক্রিকেটারদের কাছে ক্রিকেট সবসময় প্রধান অগ্রাধিকারে থাকে। তবে ক্রিকেটের বাহিরে, খেলা-ধুলার জগত ছাড়াও প্রত্যেক ক্রিকেটারের আলাদা একটা জীবন আছে। অন্যদিকে ক্রিকেট মাঠের বাহিরেও নানা রকম কাজে বাংলাদেশের ক্রিকেট সুপারস্টার সাকিব আল হাসান আলোচনায় থাকেন।

ক্রিকেট ছাড়াও অনেক কিছুর সাথে জড়িত আছেন এই অলরাউন্ডার। আছে বাবা, স্ত্রী, কন্যা ও ভাইবোনদের সঙ্গে একটি সুদৃশ্য পরিবার। এছাড়া আছে অনেক সামাজিক কার্যক্রম, অঙ্গীকার, পণ্যের উপস্থাপনা। পাশাপাশি রয়েছে নিজের রেস্তোরাঁ – সাকিব’স। তাই স্বভাবতই অনেক কিছু নিয়ে ভাবার কথা সাকিবের।

কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাকিব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটের বাহিরের জীবন নিয়ে তিনি তেমন চিন্তা-ভাবনা করেন না এবং ক্রিকেট তার জীবনে সবসময় প্রধান অগ্রাধিকারে থাকবে।

ক্রিকেটের বাহিরের জীবন কতোটা ভাবায় সাকিবকে? এমন এক প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘না, একদমই না। আমি বলতে চাইছি সবাই একটু তো চিন্তা করেই। কিন্তু আমি যদি ক্রিকেটের বাহিরের কার্যক্রম নিয়ে অনেক চিন্তা করি, তাহলে আমি উদ্বিগ্ন হয়ে যাই, যা আমার জন্য বিরক্তিকর। তাই আমি অবিলম্বে বিষয়টি ভুলে যাই।’

এছাড়া সাকিব তার রেস্তোরাঁ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এমনকি আমি আমার রেস্তোরাঁ নিয়েও ভাবি না। আমি জানিই না কি হচ্ছে! প্রথম কিছুদিন প্রতিদিনের লাভ-লোকসানের একটা হিসাব ম্যাসেজ আকারে আমি পেতাম। কিন্তু একমাস কিংবা দুইমাস পর আমি ওদের বলি, “ভাই, এইসময় ম্যাসেজ দেয়া বন্ধ কর। আমি আর এগুলো দেখতে চাই না।” আমি তাদের বলেছি, মাস শেষে একটা রিপোর্ট যেন আমাকে জমা দেয়। আর এখন আমি ওগুলোও শুনতে চাই না (হাসি)।’