‘আমি তো বাবা ডিজিটাল না, অ্যানালগ’
সাংবাদিকদের প্রতি বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভালোবাসা দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে স্পিকার থাকাবস্থায় সংসদের সাংবাদিক লাউঞ্জে দায়িত্ব পালন করা সাংবাদিকেরা অন্যদের চেয়ে ভালো জানেন। তবে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই ভালোবাসা মোটেও কমেনি হাওর অঞ্চলে বেড়ে ওঠা এই রাজনীতিকের।
কারণ যখনই তিনি প্রয়োজনে সংসদে আসেন তখনই নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে সোজা চলে যান সাংবাদিক লাউঞ্জে। অল্প সময়ের জন্য হলেও সবার সঙ্গে মেতে উঠেন পুরানো আলাপে। ব্যক্তিজীবনের সুখ দুঃখের কথাও সাংবাদিকদের কানে দিতে ভুলেন না সদালাপী এই মানুষটি।
বৃহস্পতিবার ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের দিনে বিকাল ৪টা ২০মিনিটে জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ তলায় সংবাদিক লাউঞ্জে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেখানে তিনি ১০ মিনিট অবস্থান করেন।
তবে এই অল্প সময়ের মধ্যে নানা বিষয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। সরকার ডিজিটাল হলেও নিজে এখনো এনালগ বলে দাবি করেন তিনি।
নিজেকে এখনো এনালগ দাবি করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এগুলো আমি বুঝতেই পারি না। এগুলো এখনো আমার কাছে ‘আন-নোয়িং’ (অপরিচিত)। নিজের মোবাইল ফোনটি প্যান্টের পকেট থেকে বের করে রাষ্ট্রপতি দেখান আমার মোবাইলটাও এনালগ। স্মার্টফোন না। স্মার্ট ফোন একটা টিপলে আর একটা আহে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড আমি বুঝি না। আমি টেহাও জমা দেই চেকের মাধ্যমে।
এসময় একজন সাংবাদিক বলেন, স্যার সরকার তো ডিজিটাল। একথা বলার পর রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি তো বাবা ডিজিটাল না, অ্যানালগ।
রাষ্ট্রপতি কুশলাদি বিনিময় করার সময় একজন সাংবাদিক তার জীবনী লেখার কথা জানতে চাইলে বলেন, আমার আগে জিল্লু সাহেব শেষ করতে পারেন নাই, মারা গেছে। আমি শুরু করেছি, মরার আগে করতে পারব…।
এ সময় তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সাংবাদিকের কুশল জানতে চান। সাংবাদিকেরাও রাষ্ট্রপতিকে কাছে পেয়ে তার শরীরের খোঁজ খবর নেন। এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি যখন এখান থেকে যাই, তখন ছিলাম ৬৮ কেজি, এখন ৬৯ কেজি। এই কয়েক বছরে এক কেজি বাড়ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই এক কেজি বাড়ছে খোয়াড়ের (নিরাপত্তা বলায়ে থাকার কথা বুঝিয়েছেন) মধ্যে থাকি তো। খোয়াড়ের মধ্যে থাকলে ওজন বাড়ে।
এসময় রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের খোঁজ খবর নেন। লাউঞ্জে সব সুযোগ সুবিধা আছে কি না জানতে চান।
রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জনকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি উত্তম চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নিখিল ভদ্র, অর্থ সম্পাদক কাজী সোহাগ রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
সংসদের অধিবেশনে এ নিয়ে ৫ম বারের মতো রাষ্ট্রপতি সাংবাদিকদের লাউঞ্জে এসে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। স্পিকার থাকার সময়ও আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট প্রায়ই সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতেন।
এসময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদিন, সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসসহ তার দপ্তরের কর্মকর্তারা ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
বেতন বাড়ছে নারী ক্রিকেটারদের, কে কত পাবেন?
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা নারী ক্রিকেটারদের বেতন বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটবিস্তারিত পড়ুন
‘বিপিএল মিউজিক ফেস্ট’ থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা পাবেন রাহাত ফতেহ আলী
প্রথমবারের মতো বিপিএলের তিনটি ভেন্যুতে মিউজিক ফেস্ট করতে যাচ্ছে বাংলাদেশবিস্তারিত পড়ুন
কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে শাহবাগের অবরোধ কর্মসূচিবিস্তারিত পড়ুন