শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

আমি দুই বাংলাই মেয়ে: নুসরাত ফারিয়া

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘আশিকী’র মাধ্যমে দুই বাংলার চলচ্চিত্রে অভিষিক্ত হয়েছেন মিষ্টি মেয়ে নুসরাত ফারিয়া মাজহার। ১৯ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে আরেকটি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘হিরো ৪২০’। নুসরাত অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা। সম্প্রতি নিজের নতুন সিনেমা আর ক্যারিয়ার নিয়ে আলাপ করলেন গ্লিটজের সঙ্গে।

গ্লিটজ: শুক্রবার বাংলাদেশে ‘হিরো ৪২০’ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। এই সিনেমাকে ঘিরে প্রত্যাশা কতটুকু?

নুসরাত ফারিয়া: প্রত্যাশা তো অনেক বেশি। প্রতিটি অনলাইন, খবরের কাগজ, টেলিভিশন ও এফএমরেডিও স্টেশনে আমরা এই সিনেমার খুব ভালো প্রচার করেছি যেনো আমাদের দশর্কের খুবই কাছে যেতে পারি। এখন তো বাকিটা আল্লাহর হাতে।

গ্লিটজ: টালিগঞ্জ সাধারনত বাংলাদেশের শিল্পীদের তেমন উদার ভাবে গ্রহণ করে না। আপনার বেলায় কেমন ছিল ব্যাপারগুলো?

নুসরাত ফারিয়া: আমাকে তো তারা খুবই ভালোভাবেই গ্রহন করেছে। সিনেমার প্রিমিয়ার শেষ হওয়ার পরে প্রেক্ষাগৃহে আগত সব সাংবাদিক, শিল্পী ও অতিথিদের মুখে একটাই কথা ছিলো – ফারিয়া কোথায়? যখন এই খবর ওম ও স্যাভি আমাকে দিয়েছে তখনই আমি বুঝেছি তারা আমাকে এই সিনেমার মাধ্যমে কতোটা ভালোমত গ্রহন করেছে। এছাড়াও সেখানকার সাধারণ মানুষের মুখেও আমার জন্য প্রশংসা শুনেছি।

গ্লিটজ: প্রথম সিনেমা ‘আশিকী’তে করা ভূলগুলো থেকে পাওয়া শিক্ষা কি ‘হিরো ৪২০’ সিনেমাতে কাজে লাগাতে পেরেছেন?

নুসরাত ফারিয়া: আসলে ভূল ছাড়া তো মানুষ হয় না। আমি সব সময়ই চেষ্টা করি যেনো আমার সীমাবন্ধতার মধ্যে থেকে আমার সবোর্চ্চ ভালোটুকু উপহার দিতে পারি।‘হিরো ৪২০’ সিনেমাতেও আমি তেমনটিই করেছি। কাজ করতে গেলে কিছু ভূল ত্রুটি তো হবেই। ভূল যদি নাই হয় তাহলে দোষ ধরবে কে। তবে এই সিনেমায় যতটুকু সীমাবদ্ধতা ছিলো তার মধ্যে থেকেই আমি আমার কাজের ক্ষেত্রে শতভাগ ভালো পারফর্ম্যান্স দেয়ার চেষ্টা করেছি।

গ্লিটজ: অংঙ্কুশ হাজরা ও ওম – কার সঙ্গে রসায়ন বেশি জমে উঠে ছিলো বলে মনে করেন?

নুসরাত ফারিয়া: ওমের সঙ্গে আমার এক ধরনের রসায়ন আর অংঙ্কুশের সঙ্গে আমার আরেক ধরনের রসায়ন। প্রেমের রসায়ন দুই সিনেমায় দুই রকম। ‘আশিকী’ ও ‘হিরো ৪২০’ দুটি সিনোমাই ফুল অফ কেমিস্ট্রি। ওদের সঙ্গে কাজ করা দুটো সিনেমাই প্রেমের হওয়ার সুবাদে এখানে প্রেমটা বাঞ্ছনীয়। ‘আশিকী’ সিনেমায় অংঙ্কুশের সঙ্গে আমাকে দেখার পর দর্শকরা বলেছে আমাকে ন্যাচারাল লাগছে আর ‘হিরো ৪২০’ সিনেমায় ওমের সঙ্গে দেখার পরও দর্শকদের মুখে একটাই কথা মেড ফর ইচ আদার।

গ্লিটজ: সুচিত্রা সেনের নাতনী ও মুনমুন সেনের কন্যা রিয়া সেনের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অস্বস্তি বোধ করেন নি তো?

নুসরাত ফারিয়া: এটা আমার কাছে সম্মানের বিষয় যে, সুচিত্রা সেনের নাতনী ও মুনমুন সেনের কন্যা রিয়া সেনের সঙ্গে এই সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি। তিনি কখনোই আমাকে কোনো অভিযোগ করেননি কিংবা কাজের ক্ষেত্রে তার কোনো অস্বস্তি ছিলো না। বরং কাজের ক্ষেত্রে তার ছিলো আমার প্রতি সহযোগী মনোভাব। তিনি সব কিছু জেনেই এই সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন। তাই সবকিছু মিলিয়ে আমি বলতে চাই এটা আমার কাছে খুবই সম্মানের। কারণ তিনি এই সিনেমায় থাকা সত্ত্বেও আমি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি।

গ্লিটজ: ভারতীয় গনমাধ্যমে কেমন প্রাধান্য পাচ্ছেন?

নুসরাত ফারিয়া: তারা আমাকে স্বানন্দে গ্রহন করেছে। আমার ‘আশিকী’ ও ‘হিরো ৪২০’ – দুটো সিনেমার ক্ষেত্রেই ভারতীয় টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকা ও রেডিওগুলোয় আমাকে যথেষ্ট কভারেজ দিয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকাসহ প্রতিটি গনমাধ্যমের প্রত্যেকটি জায়গাতেই আমি তাদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি।

গ্লিটজ: কলকাতায় বলে আপনাকে বলা হয় ‘তুমি তো আমাগো মাইয়্যা’। আপনি কোন পাড়ের মেয়ে হয়ে থাকতে চান?

নুসরাত ফারিয়া: আমি যখন ওদের কাছে যাই তখন ওরা আমাকে ওদের মেয়ে ভাবে আবার যখন আমি বাংলাদেশে থাকি তখন আমি এখানকার মেয়ে। আসলে আমি দুই বাংলারই মেয়ে। আমাকে যে কেউ আপন করে নিতে পারে। যখন যে আমাকে আপন করে নেবে আমি তখন তার। আসলে আমার জন্য এটা আশীর্বাদ ছাড়া তো আর কিছুই না।

গ্লিটজ: আপনাকে নাকি টালিগঞ্জের এমরান হাশমি ডাকা হচ্ছে?

নুসরাত ফারিয়া: আসলে বিষয়টা এমন নয়। সিনেমাতে গল্পের প্রয়োজনে যখন অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখানো হয় সেক্ষেত্রে চুম্বনটা খুবই গুরুত্ব বহন করে থাকে। এর মাধ্যমে দর্শককে বোঝানো হয় সিনেমার নায়ক-নায়িকার মধ্যে গভীর ভালোবাসার বন্ধন রয়েছে। যেহেতু আমাকে প্রত্যেকবারই লাভার গার্লের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়, তাই সিনেমার খাতিরে এটা আসলেই প্রয়োজনীয়। এজন্য আমি সব সময় খুব মজা করে বলি যে, আমার প্রত্যেক সিনেমাতে একটি চুম্বন দৃশ্য থাকে।

গ্লিটজ: সিনেমাতে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয়ের বিষয়টিতে ব্যক্তিগতভাবে কিভাবে দেখেন?

নুসরাত ফারিয়া: সত্যি বলতে আমি সব ধরনের সিনেমা দেখে থাকি। সিনেমার গল্পের প্রয়োজনে যা দরকার তা সেখানে গুরত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে আমি ব্যক্তিগতভাবে যদি মনে করি, এমন দৃশ্যে আমি নুসরাত ফারিয়া অভিনয় করবো না তাহলে তো হবে না। বরং এখানে চিন্তা করতে হবে আমি শ্রুতি কিংবা আমি রাই যে কৃষকে ভালোবাসে। এক্ষেত্রে রাই ও কৃষের প্রেমের মধ্যে কি হবে এটাতো রাই ও কৃষের মধ্যের চিন্তার বিষয়। তাই একজন তরুণ অভিনেত্রী হিসেবে আমি মনে করি, গল্পের প্রয়োজনে সিনেমায় যা করা প্রয়োজন একজন আর্টিস্টকে তাই করতে হবে।

গ্লিটজ: ‘গাওয়াহ দ্যা উইটনেস’ সিনেমার কাজ কতদূর এগুলো?

নুসরাত ফারিয়া: বতর্মানে ‘বাদশা’ ও ‘প্রেমী ও প্রেমী’ সিনেমা দুটি আমার হাতে রয়েছে । এগুলোর কাজ শেষ করে আমি ‘গাওয়াহ দ্যা উইটনেস’ সিনেমার কাজ শুরু করবো। কারণ যেহেতু আমি একটি প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সেহেতু আমার দিক থেকে তো কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা

শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন

শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে

আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন

আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?

গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • বাবা দিবসে কাজলের মেয়ে শৈশবের ছবি পোস্ট করলেন
  • চলে গেলেন অভিনেত্রী সীমানা
  • শাকিবের সঙ্গে আমার বিয়ের সম্ভাবনা থাকতেই পারে: মিষ্টি জান্নাত
  • এবার পরিবারের পছন্দে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন শাকিব খান
  • বুবলী আগে থেকেই বিবাহিত, সেখানে একটি মেয়েও আছে: সুরুজ বাঙালি
  • এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা
  • অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন
  • এক রোমাঞ্চকর অসমাপ্ত ভ্রমণ গল্প
  • পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন
  • শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষের জায়গা নেই: বুবলী
  • সিনেমা মুক্তি দিতে হল না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নায়ক
  • বিশাখাপত্তনমে কয়েকদিন