আমি বাঙালি মানুষ, সাদামাটা খাবারেই খুশি : কাঞ্চন মল্লিক
আড়ালে-আবডালে অনেকে অনেক কথাই বলে। কেউ বলে ‘তালপাতার সেপাই’, আবার কেউ বলে ‘সজনে ডাঁটা’। কিন্তু এসব কথায় কিছু যায়-আসে না তাঁর। বরং নিজের কাজটা আরো মন দিয়ে করে দিনের পর দিন দর্শকদের কাছে হাসির অন্যতম ভাণ্ডার হয়ে উঠেছেন টলিউডের অন্যতম কৌতুকাভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক।
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রা শুরু বহুদিনের। অভিনয় থেকে সঞ্চালনা—সবেতেই পারদর্শী তিনি। কাঞ্চন মল্লিক মানেই দর্শকদের বাড়তি চাহিদা। কাঞ্চন মল্লিক মানেই দমফাটা হাসির বিস্ফোরণের অপেক্ষা। দুই বাংলা ঘিরে রয়েছে তাঁর অফুরন্ত ভক্ত।
সেই কাঞ্চন মল্লিক এবার ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলে (কালার্স বাংলা) অভিনেত্রী অপরিজাতা আঢ্যর সঙ্গে হাতে হাতা-খুন্তি নিয়ে সঞ্চালকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। ‘রান্নাঘরে রকস্টার সিজন টু’ নামক টিভি শোতে কাঞ্চন মল্লিকের এই নতুন ভূমিকা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের কাছে ধরা দিয়ে বললেন, ‘আমি কিন্তু মোটেই রাঁধতে পারি না। তবে ভোজনরসিক হিসেবে আমার কিন্তু কোনো তুলনা নেই।’
কথায় কথায় নিজের ব্যক্তিজীবনের ঝাঁপি খুলতেও বিন্দুমাত্র পিছপা হলেন না কাঞ্চন। বললেন, ‘রান্নার মধ্যে চা, ম্যাগি অবধি টেনেটুনে যেতে পারি। তবে রান্নাঘরে আমি কিন্তু খুব ভালো জোগাড়ে। যেমন ধরুন, রান্নাঘরে জোগাড়ের কাজে নেমে দারুণ মাংস ম্যারিনেট করতে পারি। আটা, ময়দা মাখতে পারি। এমনকি রুটি, পরোটা লুচিও করতে পারি। তেকোনা নিমকিও বানাতে পারি। আসলে বিবাহিত পুরুষ রান্নাঘরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিষয়টাই অন্য রকম আনন্দের।’
স্ত্রী পিংকির রান্নাঘরেও মাঝেমধ্যে যে তাঁকে ঢুকতে হয়, সে কথা জানিয়ে কাঞ্চন বললেন, ‘তা না হলে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে তো!’ তবে রান্না করাটা যেমন আর্ট, তেমনি রান্নাঘরে হেল্প করাটাও একটা আর্ট বলে মনে করেন কাঞ্চন। জীবনে নাকি একবার রান্না নিয়ে বেশ ফেঁসেছিলেন তিনি। বললেন, ‘একদিন বাড়িতে কাজের মাসি আসেনি, বউও বাড়ি নেই। মেয়ের জ্বর আর বাবা চোখে দেখেন না। ফলে রান্না করতে ঢুকতে হলো রান্নাঘরে। তবে সে যাত্রা আলু সেদ্ধ আর ভাত করেই চালিয়ে নিয়েছিলাম।’
তবে রান্না নিয়ে বেশি এক্সপেরিমেন্টের মধ্যে নেই কাঞ্চন। বললেন, ‘আমি বাপু বাঙালি মানুষ, সাদামাটা খাবারেই খুশি।’ তবে স্ত্রী পিংকি রান্না নিয়ে বেশ এক্সপেরিমেন্ট করে ভালো ভালো খাবার তৈরি করে সে কথাটাও ফাঁক বুঝে জানিয়ে রাখতে ভুললেন না।
কথা প্রসঙ্গে বললেন, ‘আমার ছানা (ছোট ছেলে) বড়ই ভালো। ওর রান্নায় খুব ইন্টারেস্ট। ছানা দিব্য মায়ের কোলে চেপে অমলেটের ডিম ফাটিয়ে চাটুতে ঢালে, ম্যাগিতে মেশায়। ফলে আমার কাজ অনেকটাই সেভ করে দেয় আমার ছানা।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন