‘আমি ভুল করে যে পথে গিয়েছিলাম সেটা ছিল অন্ধকার পথ’
‘আমি ভুল করে যে পথে গিয়েছিলাম সেটা ছিল অন্ধকার পথ। আমি ভুল বুঝতে পেরে ফিরে এসেছি। আমি জঙ্গীবাদে বিশ্বাস করি না।’ এটা হলো বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার কামারপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল হাকিমের সরল স্বীকারোক্তি। বগুড়ায় হাকিমের সঙ্গে আরও একজন আর যশোরে আরও সাত জন জঙ্গীবাদ ছেড়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসার জন্য আত্মসমর্পণ করেছে। এই আলোর পথে যাত্রাকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের মানুষ।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিম (২২) ও গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হাটভরতখালি গ্রামের মামুদুল হাসান বিজয় (১৭) বুধবার আত্মসমার্পণ করেন। আব্দুল হাকিম নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সদস্য ছিল। সে গত ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলায় নিহত জঙ্গী বগুড়ার শাজাহানপুরের খায়রুল আলম বাঁধন ওরফে পায়েলের বন্ধু। সে হাকিমকে অন্ধকারের পথে নিয়ে আসে। অপরজন গাইবান্ধার মাহমুদুল হাসান। দুজই আত্মসমর্পণ করতে এসে নিজেদের ভুল বুঝতে পারে।
অন্যদিকে যশোরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে শহরের পুরাতন কসবা কদমতলার আব্দুল আজিজের ছেলে তানজিব ওরফে আশরাফুল (২৬), তার ভাই তানজির আহমেদ (২২), বোন মাছুমা আক্তার (২৮), শহরতলীর খোলাডাঙ্গা কদমতলা এলাকার শফিয়ার রহমানের ছেলে সাদ্দাম ইয়াসির সজল (৩২), ধর্মতলা মোড়ের আবদুস সালামের ছেলে রায়হান আহমেদ (২০) এবং খোলাডাঙ্গা কদমতলার এ কে এম শরাফত মিয়ার ছেলে মেহেদি হাসান পাশা (২০)। যশোর শহরের আরবপুর এলাকার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ফখরুল আলম তুষার (২২)।
এর আগে গত ১১ আগস্ট নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীরের তিন নেতা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। সাদ্দাম ইয়াসির সজল, মেহেদী হাসান পাশা ও রায়হান আহমেদ এই তিনজনকে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের কাছে তার অভিভাবকরা হস্তান্তর করেন। তারা তিনজনই হিযবুত তাহরীরের নেতা। এদের মধ্যে সাদ্দাম ইয়াসির সজলের পদবি ‘মোশরেক’। বাকি দুইজন ‘শাবাব’ পদবিধারী।
গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলা এবং শোলাকিয়া ঈদ জামাতে জঙ্গী হামলার পর মানুষ পরিষ্কার বুঝতে পারে। এরা বাংলাদেশের শান্তি বিনষ্ট করতে চায়।
মিরপুরের পল্লবীতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জাহিদুলকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিতে সাধারণ মানুষই সব থেকে বেশি কাজ করেছে। যেখানেই যাকে সন্দেহ হচ্ছে সেখানেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করেছেন বাংলাদেশ কোন সন্ত্রাসী উগ্রবাদীর ঘাটিতে পরিণত হবে না। তিনি সামাজিকভাবে এই সব ভ্রান্ত পথে পরিচালিত মানুষদের প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন