‘আমি মনে করি, সাকিবের আবার ক্যাপ্টেন্সি করা উচিত’
২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় মোহাম্মদ আশরাফুলকে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অধিনায়কত্ব পান মাশরাফি। আর সহ-অধিনায়ক করা হয় সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু মাশরাফির জন্য কষ্টের ছিল সে সফরটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ফিরে আসেন দেশে। এতে সফরের বাকিটুকুতে দায়িত্বভার দেওয়া হয় সাকিবকে। পরের বছর মাশরাফি সুস্থ হয়ে উঠলে আবারো নেতৃত্ব ফিরে পান তিনি।
দুজনেই খেলেছেন একে অন্যের অধিনায়কত্বে। তবে বর্তমান বাংলাদেশ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মনে করেন সাকিবের আবারো ক্যাপ্টেন্সি করা উচিত। এছাড়াও তার মতে সাকিবের সামর্থ্য অনুযায়ী ক্যাপ্টেন্সি না করলে সেটা দলের জন্যেই ক্ষতি। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন মাশরাফি।
মাশরাফি বললেন, ‘আশরাফুলের পর আমি আবার যখন ক্যাপ্টেন হলাম, চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার পর সাকিব ক্যাপ্টেনসি পেল। আমি তখনই ওকে বলেছি, “বাংলাদেশ টিমের ক্যাপ্টেন্সি কিন্তু তোকেই করতে হবে।” আমি চাইতাম, ও-ই যেন সব সময় ক্যাপ্টেন্সি করে। কারণ ওর যে সামর্থ্য, তাতে ও ক্যাপ্টেন্সি না করলে বাংলাদেশ টিমের বড় ক্ষতি।’
তিনি আর বলেন, ‘এখন হয়তো আমি করছি, তবে আমি দেখতে চাই ও-ই বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিক। এটা কিন্তু ও দলের সেরা পারফরমার বলে নয়। অভিজ্ঞতা বলেন, ওর প্রতি দলের অন্যদের সম্মান বলেন, সব দিক বিচার করে ভবিষ্যতে ওকেই ক্যাপ্টেন্সি করতে হবে। সেটা আমি চলে গেলেই হবে কি না জানি না। ওর মনে কী আছে, তা-ও জানি না। তবে আমি মনে করি, ওর আবার ক্যাপ্টেন্সি করা উচিত।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন সময়ে হঠাত করেই অধিনায়কত্ব পেয়েছেন সাকিব। অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও উজ্জ্বল পারফরম্যান্স দেখান তিনি। মাশরাফির মতে, অধিনায়কত্ব করতে মানসিক প্রস্তুতি দরকার হয়। অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবে পারফর্মও করা যাগে যা কিনা সাকিব করে দেখিয়েছে।
বললেন, ‘দেখেন, ও যতটুকু ক্যাপ্টেন্সি করেছে, কঠিন পরিস্থিতিতে করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমি চোট পাওয়ার পর ও ক্যাপ্টেন্সি পেয়েছে। ক্যাপ্টেন্সি করতে একটা মানসিক প্রস্তুতি লাগে। কিন্তু দুবারই ও মাঠ থেকে হঠাৎ ক্যাপ্টেন্সি পেয়েছে। সুইচড অফ একটা মানুষের হঠাৎ করে সুইচড অন হয়ে ক্যাপ্টেন্সি করা অনেক কঠিন, সঙ্গে আবার নিজে পারফর্ম করা। ও সেখানে দারুণভাবে কিছু ম্যাচ জিতিয়েছে। বাংলাদেশ টিমের ক্যাপ্টেন্সি করা কিন্তু অনেক কঠিন। এখানে অনেক কিছু খেয়াল রাখতে হয়। ওই সময়ই আমার মনে হয়েছে, ও যদি লম্বা সময়ের জন্য বাংলাদেশ টিমের ক্যাপ্টেন্সি না করে, বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সেটি বড় ক্ষতি হবে। ক্রিকেট বোর্ড যদি ওকে দিতে চায়, ওর চিন্তা করা উচিত
যদিও আবারও ক্যাপ্টেন্সি চান কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরটা সাকিব অবশ্য এড়িয়েই গেলেন। হেসে বললেন, ‘এ নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।’
তবে সাকিবের বিচারে মাশরাফিই এগিয়ে। তার মতে, মাশরাফি বিন মুর্তজার গেম সেন্স খুবই ভাল। বললেন, ‘মাশরাফি ভাইয়ের গেম সেন্স খুবই ভালো। অধিনায়কের জন্য যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে উনি যেহেতু সবার সঙ্গেই খুব ভালোভাবে মিশতে পারেন, মাঠের বাইরে ড্রেসিংরুমে দলকে উদ্বুদ্ধ করার কাজটাও ওনার জন্য খুব সহজ হয়।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন